Entertainment
বাংলা বিনোদন জগতে কি হচ্ছে? সিনেমার নতুন রিলিজ, তারকাদের সাক্ষাৎকার এবং আরও অনেক কিছু একসঙ্গে।
নন্দীগ্রামের মহম্মদপুরে বিজেপির পূর্ণ আসনজয়: শাসনের নাট্যশালায় আদর্শের খেলা!
নন্দীগ্রামের মহম্মদপুরে বিজেপির সদগতি দেখে মনে হয়, গণতন্ত্রের লড়াইতে দইয়ের কাছে কাপড়ের মূল্যবান। ৯টি আসনে বিজেপির বিজয়, তৃণমূলের গলার স্বর গায়েব, যেন এক নাটকীয় পর্ব। রাজনৈতিক পাখিরা যে সুরে গান গায়, তা কি বাঙালির হৃদয়ে অনুরণিত হয়? জনগণের সচেতনতায় নতুন আলো, অথবা পুরোনো অন্ধকার?
“শূন্য থেকে শুরু: বলিউডের নতুন পথে পা রেখেছে ‘১২তম ফেল’ এর প্রিক্যুয়েল!”
আইফা ২০২৪-এ নির্মাতা বিদু বিনোদ চোপড়া ঘোষণা করলেন তার নতুন ফিল্ম 'জিরো সি শুরুওয়াত' এর, যা '১২ তম ফেইল' এর প্রিক্যুয়েল। এই ছবির মূল চরিত্রে ফিরে আসছেন বিক্রান্ত মেসি, যা পুনর্নবীনের প্রতি সমাজের প্রেরণা ও সংগ্রামের গল্প বলে। কিন্তু চোপড়া পুরস্কারের প্রসঙ্গে বলেন, "জিতলে ভালো, না হলে তাতে কি!"—এতে কি সত্যিই ফিল্মের মূল্য বিচার হয়? চলচ্চিত্রের আসল পুরস্কার কী, তা ভাবনার খোরাক নিয়ে আসে।
মমতার চাদর ও ঠান্ডা লাগছে না?—রাজনীতি ও সংযোগের কাহিনী, মানবতার ছোঁয়া নাকি ক্ষমতার খেলা?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অসহায় মানুষের চাদর প্রাপ্তিতে যেন সমাজের দুঃখের প্রতি একজন নেতার চেকপোস্ট। ঠান্ডা লাগছে না? প্রশ্নটি যেন প্রকৃত প্রস্তাবনার চেয়ে নাটকীয়তা বেশি। প্রশাসনিক বৈঠকে পারস্পরিক উষ্ণতার অভাব স্তব্ধ করে, রাজনৈতিক নাটকের পর্দায় মানবতা ভুলে যাওয়ার অভিশাপ চাপিয়ে। জনতা এখন এমন সংস্কৃতির সন্ধানে, যেখানে নেতা নিজের স্বার্থের চেয়ে মানুষের গভীর বেদনা বুঝবে।
“ঢাকা ভারতীয় মুভির নতুন দিগন্ত: মানব পাচারের থিম নিয়ে আসছে ‘Delhi Crime 3’!”
ডেলি ক্রাইম ৩-এর শুটিং শুরু হয়েছে, যেখানে হুমা কুরেশির সংযুক্তি নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। নতুন মৌসুমটি মানব পাচারের মতো গম্ভীর একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, যা সামাজিক সমস্যাগুলোর প্রতিফলন ঘটায়। বর্তমান সময়ের বলিউডে কাহিনীর গভীরতা ও সমাজের প্রতি চলচ্চিত্রের দায়িত্বশীলতা ক্রমশই বাড়ছে, যা দর্শকদের অনুপ্রাণিত করছে নতুনভাবে চিন্তা করতে।
ডাক্তারদের উপর হামলা: পুলিশ কমিশনারের হাসপাতাল সফরে প্রশ্নবিদ্ধ হলো শাসনের নৈতিকতা!
আহারের এই যুগে, যখন চিকিৎসা আতঙ্কে কাঁপছে, পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার হাসপাতাল অভিযানে সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় যুক্ত হয়েছে এক নতুন দানব। রোগীর পরিজনদের হাতে জুনিয়র ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সমাজের গভীরে, মানবিকতার প্রতি আমাদের অবহেলারই এক চিত্র। আরজি করের হুমকি কেবল চিকিৎসকদের নয়, বরং আমাদের সভ্যতার উপরও একটি প্রবল প্রশ্ন তুলে দেয়: কোথায় গেল স্বাস্থ্যসেবার প্রতি শ্রদ্ধা? মুখে শান্তির বুলি, অথচ অজস্র বেদনাকে গোপন করার ডাক—এ সংখ্যায় এর চেয়ে বড় রাজনৈতিক নাটক আর কী হতে পারে!
“গোবিন্দের দুর্ঘটনা: সুরক্ষার অভাব, অগ্নিসংযোগের সিনেমার পর্দায় অন্য একটি সত্যটি উন্মোচন!”
বুড়ো বলিউড তারকা গোপিন্দা मुंबईতে আতঙ্কের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সকালে এক দুর্ঘটনায় তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল থেকে বের হওয়া গুলি তার পায়ে লেগেছে। তবে এই ঘটনার পর গোপিন্দা সারাক্ষণ তার ভক্তদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং চিকিৎসক ও প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমনকি তিনি প্লে-ব্যাক শিল্পের ভেতরের গোপন কথা তুলে ধরে বললেন, তার পায়ের আঘাত গুরুতর নয়, কিন্তু এই দুর্ঘটনা বলিউডের নিরাপত্তা ও দায়বদ্ধতার প্রশ্ন তুলে ধরছে। সমাজে তারকা খ্যাতির প্রভাব, মিডিয়ার মনোভাব এবং এর ফলে কিভাবে দায়বদ্ধতার বার্তা ভাইরাল হয়েছে, সেটাও ভাবার বিষয়।
“নিরাপত্তা থাকতেই হাসপাতলে হামলা! নেতৃত্বের ব্যর্থতা কি নৈতিকতার সংকটের ইঙ্গিত?”
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতি সত্ত্বেও হামলার ঘটনা ঘটার পর, নির্ভরযোগ্যতা ও অদক্ষতার চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান নিরাপত্তা সংস্থাকে দুষছেন, অথচ প্রশ্ন উঠেছে—যেখানে সরকার আরেকটু মনোযোগ দিত, সেখানেই ভিড় জমায় নির্মম রাজনীতি। মিডিয়ার চাপে সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে, নিরাপত্তা শুধু বাহিনীর নয়, বরং সমাজের বিশ্বাসেরও।
“কামারহাটির হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর হামলা: স্বাস্থ্য খাতের নৈরাজ্য আর সমাজের ক্ষোভের তীব্র প্রকাশ”
কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতাল যেন একটি নাটকের মঞ্চ, যেখানে রোগীর মৃত্যু হলো মৃত্যুর চিত্রায়ন। চিকিৎসকদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ—এ যেন আমাদের সমাজের বিরূপ প্রতিফলন। ক্ষমতার আসনে যারা, তাদের রক্তের স্বাদ পেয়ে আমাদের বোধ কি কেবল ক্ষোভ? আন্দোলনের এই অঙ্গীকারে, মানবিকতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে কতটা অবক্ষয়?
গভিন্দার বিপন্ন মুহূর্ত: হাসির পেছনে লুকিয়ে আছে দায়িত্ব এবং সুরক্ষা!
বলিউডের প্রিয় অভিনেতা-রাজনীতিক গোবিন্দা সম্প্রতি অ্যাক্সিডেন্টে পা-এ গুলি খেয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা ছাড়ার আগে বন্ধুক পরিষ্কার করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত গুলি চলে যায়। বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৮০ ও ৯০ এর দশকের প্রিয় এই কমেডি অভিনেতার আকস্মিক ঘটনার ফলে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে, যা আরও একটি বার্তা দেয়—পুনরাবির্তিত চলচ্চিত্রের প্রতিভা ও শিল্পী জীবনে বাস্তবতার অন্ধকার দিকগুলি। দর্শকরা হয়তো আরও সচেতন হয়ে উঠবে ছায়াছবির মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্বের গুরুত্বের।
“নেতার ফোন নম্বর খোঁজার ব্যর্থতায় রাজনৈতিক সংকটের পুনরাবির্ভাব: টাকার বিনিময়ে নষ্ট হচ্ছে জনশক্তির আশা!”
নতুন রাজনৈতিক নাটকের জালে বুণা, যেখানে নেতা গণ মানুষের সংখ্যা গুনতে ব্যস্ত, অনুব্রতর সম্প্রতি মন্তব্য যেন এক গভীর সৃষ্টিশীল তীব্র বিদ্রূপ। গেস্টহাউজের কমরেডেরা পরিচিতির তালিকায় কেবল ফোন নাম্বার নয়, কিন্তু জনতার অসন্তোষও সেভ করতে ভুলে যাচ্ছেন। এভাবে কি চলবে, প্রশ্ন উঠছে সমাজে; যে জনতা এখন সতর্ক, তাদের হতাশা কি নেতৃত্বের সুমধুর গীতিমালীতে হারিয়ে যাবে?