Entertainment
বাংলা বিনোদন জগতে কি হচ্ছে? সিনেমার নতুন রিলিজ, তারকাদের সাক্ষাৎকার এবং আরও অনেক কিছু একসঙ্গে।
বলিউডের নতুন ড্রাগ বিতর্ক: আযাজ খানের নাম, অভিনয়ের আড়ালে কি আসলে ‘অন্ধকারের’ কাহিনি?
মুম্বাই-এর বিনোদন জগত তোলপাড় হয়ে উঠেছে কারণ বিগ বস প্রতিযোগী আজাজ খানের নাম উঠেছে একটি মাদক মামলায়। তার কর্মচারী সুরজ গৌদের গ্রেফতারের পর, ১০০ গ্রাম এমডিএমএ নিয়ে একটি বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আজাজের ফোন রেকর্ড পরীক্ষা করে তার মাদকের সাথে জড়িত থাকার তথ্য বের করার চেষ্টা করছে। এটি আজাজের প্রথম আইনসিদ্ধ সমস্যা নয়; পূর্বে তিনি মাদক রাখার অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন। সমাজে বিনোদন জগতের এই বিপর্যয় দিন দিন পরিবেশের হতাশা বাড়াচ্ছে, যেখানে শিল্পের পরিবর্তন ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্বের অভাব স্পষ্ট।
বিচারপতির চোখে পরিবারের কল্যাণ, তবে রাজনীতিতে নাড়াচাড়া বন্ধ! – রাজনীতি বা সমাজের পরিণতি কি কোন দিন বদলাবে?
বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের বেঞ্চে চলা মামলার প্রেক্ষাপটে বাবা-মায়ের ego ত্যাগের আহ্বান, যেন আমাদের সমাজের রাজনৈতিক চরিত্রের এক অদ্ভুত প্রতিফলন। নেতারা পরিবারবর্গের কল্যাণের কথা বললেও, বাস্তবতার নির্মমতায় সংসারের টানাপোড়েন নিয়ে গার্হস্থ্য যুদ্ধে নিপতিত হন। আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে দু'দিনের সাক্ষাৎ, মানবিক সম্পর্কের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি—তবে কি আসলেই আমাদের নেতারাও তাদের দায়িত্ব ও মানবিকতা অতিক্রম করতে প্রস্তুত? তীব্র বিতর্ক, সামাজিক চাপ, সম্ভবত এখানেই প্রকৃত খেলা ঘোরাতেই।
“বলিউডের নাচ-গানের বাগদানে, বিতর্কিত গল্পে দুটি নতুন সিনেমার আবির্ভাব: ভালো নষ্ট না, নষ্ট ভালো!”
বলিউডের সাম্প্রতিক নতুন ছবিগুলোর প্রতিযোগিতায়, "জিগ্রা" এবং "ভিকি বিদ্যা কা Woh Wala Video" একটি নতুন মরশুমের সূচনা করতে প্রস্তুত। "জিগ্রা", আলিয়া ভাটের অভিনয়ে এবং সিবিএফসির অনুমোদন পেয়ে, কিছু সহিংস দৃশ্য নিয়ে বিতর্কিত; যদিও "ভিকি বিদ্যা" একটি অন্তরঙ্গ ভিডিওকে ঘিরে কাহিনী তুলে ধরেছে অথচ পারিবারিক দর্শকদের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেছে সিবিএফসি। দর্শকরা এখন গল্পের গভীরতায় এবং সমাজিক প্রসঙ্গের প্রতিফলনে আগ্রহী, যা ভারতীয় সিনেমার পরিবর্তনশীল চরিত্রকে নির্দেশ করে।
“পুজো মণ্ডপে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’: লালবাজারে আন্দোলন, রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে মানবাধিকারের অমানিষা!”
গতরাতে পুজো মণ্ডপের সামনে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দেওয়ার কারণে গ্রেফতার হওয়া প্রতিবাদীদের মুক্তির দাবিতে লালবাজারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই ঘটনাটি শুধু সরকারের সারল্য নয়, বরং সমাজের ভিতরের অসন্তোষের চিত্রও তুলে ধরে, যেখানে সরকারের সম্প্রীতির চাদরের নিচে চাপা পড়া ক্ষোভের আগুন ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে।
বলিউডের ‘বিগ বস ১৮’ নিয়ে পশু অধিকার সংগঠনের আবেদন: সল্লু ভাইয়ের মানবিকতার জয়বার্তা!
বিগ বস ১৮-এর হোস্ট সালমান খানের কাছে পেটা একটি খোলামেলা চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে অনুরোধ করা হয়েছে শোতে প্রাণী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য। শোতে একটি গাধার উপস্থিতি নিয়ে ঘটে যাওয়া বিতর্কের পর পেটা জনসাধারণের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। গাধার জন্য চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করে পেটা বলেছে, এমন একটি পরিবেশে প্রাণীদের জন্য ভালো নয় এবং বিনোদনের জন্য তাদের ব্যবহার অনৈতিক। শোয়ের প্রযোজকদের দয়া দেখাতে আহ্বান জানিয়ে তারা দাবি করেছে, সালমানের উচিত প্রাণী অধিকার রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নেওয়া। তাই চলচ্চিত্র শিল্পের এ ধরনের ব্যবহার সমাজে কী বার্তা দেয়, তা ভাবার সময় এসেছে।
“নবান্নের পুজো তালিকা: রাজনীতির আড়ালে ধর্মের খেলা, কর্তৃপক্ষের নতুন ‘সন্ধানী’ উদ্যোগ!”
নবান্নের সদ্য জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি, যেখানে কলকাতা এবং শহরতলির বিভিন্ন পুজোর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে যেন রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্বের সূচনা। সদর্থক শাসনাদর্শের সুরে, পুজো নাকি জনতার সৌহার্দ্যের প্রতীক– অথচ পেছনে লুকানো বিতর্ক আর ক্ষমতার খেলার কাহিনি আমাদের প্রবাদে নতুন মাত্রা যোগ করছে, জনগণের সুমধুর হাসি মুখোশে ভরা।
কল্যাণের মুখে মীনাক্ষীর বিরুদ্ধে তীর: ‘তাণ্ডবের জন্য পালিত ধৃতদের সাথে ডিওয়াইএফআই-এর আপ্যায়ন!’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টিতে, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় যেন অপরাধীদের মুকুট পরিয়ে তাঁদের স্বাগত জানাতে আসেন। রাজনীতির এই নাটকের পালে বেগ দিচ্ছে সংঘর্ষের বীজ। আমাদের জীবনের প্রতি সদা নজর রাখতে হবে, নইলে মঞ্চের এই খেলা একদিন বাস্তব হয়ে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক শালীনতার অন্তর্হিতি কেবল সম্পাদকদের দুর্দশা নয়, সমগ্র সমাজের নৈতিক সমুদ্রে গহ্বর কাটছে।
“রতন টাটার স্বপ্নের ন্যানো: সিঙ্গুরে রাজনীতির পরিবর্তন ও জনমতের প্রতি আসন্ন প্রশ্নচিহ্ন”
রতন টাটার ন্যানো স্বপ্ন যেমন সিঙ্গুরের মাটি চষে নতুন উদ্যমের কারণে রাজনীতির চিত্র পাল্টে দিতে চেয়েছিল, বাস্তবে তা যেন বুকে একটি শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। কল্পনায় যখন উন্নতির সুর বাজছিল, তখন বাস্তবে অনিশ্চয়তা আর পতনের গুরুগম্ভীর ছায়া। স্থানীয় সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষার যে উড়ান, তা এবার ফুরিয়েছে; ফুটে উঠেছে রাজনৈতিক নেতাদের কার্যকরীর অভাব ও জনগণের হতাশা। প্রকল্পের আগমন ও প্রস্থান যেন এক নাটকের কাহিনী, যেখানে মুক্তির বাণী শুধুই কথার অবসানে।
বিনোদনের রঙ্গাঙ্গনে আদল বদলের নাটক: “ভিকি বিদ্যা का वो वाला ভিডিও” বিতর্কের ইঙ্গিত বহন করছে!
রাজ শাহন্দরিয়া তার আসন্ন ছবি 'ভিকি বিদ্যা কা ওয়াহালা ভিডিও' নিয়ে গুজব সৃষ্টি হওয়ার পর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আইনি পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৯০-এর দশকের পটভূমিতে নির্মিত এই কমেডি, এক নববিবাহিত দম্পতির অশ্লীল ভিডিও চুরি হওয়ার গল্প নিয়ে, একাধিক বিতর্কের শিকার। প্রযোজক সঞ্জয় তিওয়ারি এবং লেখক গুল বানো খানের অভিযোগ, তারা ২০১৫ সালে তাদের গল্পের কপিরাইট রেজিস্টার করেছিলেন। সম্প্রতি, শাহন্দরিয়া বলেছেন, এটি সম্পূর্ণরূপে একটি কাল্পনিক গল্প যা বাস্তব ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই ঘটনা চলচ্চিত্রের জগতে শিল্পীদের মধ্যে কিভাবে চিন্তা ও সৃজনশীলতা সংকুচিত হচ্ছে, তা তুলে ধরে।
“শাসনের নাট্য मंचে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠক, চিঠির আবরণে চাপের খেলা!”
রাজ্যের তৈরি টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের বৈঠক চলাকালীন একটি চিঠির আবির্ভাব যেন রাজনৈতিক নাটকের নতুন অধ্যায়। ৮-১০ জন প্রতিনিধির উপস্থিতি, সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির নিপুণ কৌশল। ঐ বৈঠক সম্ভবত সিস্টেমের অন্তঃসরণের চিত্রায়ণ, যেখানে জনতা যেন নীরব দর্শক, আর নেতারা নিজেরাই তৈরি করছে নতুন সংকটের নাটক। এই মূহূর্তে প্রশ্ন উঠছে, কি করণীয় - শাসনের আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এগিয়ে যাবে, না নীরবে অতীতের পথে অগ্রসর হবে?