Ajker Khabor
দেশের সর্বশেষ ঘটনা ও বিশ্লেষণ নিয়ে আসুন। সব খবর একজায়গায়, রাজনৈতিক সংবাদ থেকে বিনোদনের খবর পর্যন্ত।
“কল্যাণের কান্না: ১৮ বছর পর ‘খোসলা কা খোসলা’র ফিরে আসার আনন্দে নতুন প্রজন্মের উল্লাস!”
১৮ বছর পর বড় পর্দায় ফিরে আসছে ‘খোসলা কা খোসলা’, যা বাস্তবতার সাথে হাস্যরসের একটি আদর্শ উদাহরণ। অনুপম খের এবং রানবীর শোরের মতো অভিনেতার উচ্ছ্বাস, এবং চলচ্চিত্রের সমাজসংক্রান্ত বার্তা আবার নতুন প্রজন্মের মনে জীবন্ত হয়ে উঠতে চলেছে। এই পুনর্মুক্তি শুধু নাটকীয়তাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং গ্রামে-গঞ্জে যেখানে জমি দখলের সমস্যা আজও বিদ্যমান, সেই বাস্তবতার প্রতিফলন। সিনেমার মুক্তি এবং আলোচনা ভারতীয় সাংস্কৃতিক চেতনায় এক বিশাল মাত্রা যোগ করছে।
“ফুলবাগানে যুবকের পা কেটে সমাজের মুখোশ খুলে দিল, রাজনৈতিক গাফিলতি কি পায়ের শিকল ভাঙ্গবে?”
ফুলবাগানে এক যুবকের পা কাটা পড়ার ঘটনা যেন রাজনীতির কূটকৌশলের চাক্ষুষ উদাহরণ। হাসপাতালের গাফিলতিতে পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থা উন্মোচিত, আর তাদের কান্না যেন সমাজের নৈতিক সংকটের ব্যাপক প্রতিবিম্ব। গরিবত্বের অন্ধকারে টলমল করে চলা সমাজের প্রতি, নেতাদের সদর্থক পদক্ষেপের অভাব এক প্রশ্নবিদ্ধ সচেতনতা তৈরি করছে। সরকারির চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্বলতা বরাবরই আলোচনায়, তবে মন্ত্রীরা নিশ্চুপ, যেন কোন অন্ধ দোলাচলে।
“ঐতিহাসিক নাট্যে ভরপুর ‘ছাওয়া’: রাজার coronation-এ মুগ্ধতা, সুরের স্রোতে এলো কলকাতার হারিয়ে যাওয়া সুরেলা যুগ!”
বলিউডে নতুন এক মহাকাব্য ধাঁচের সিনেমা 'ছহাওয়া', যেখানে ভিকি কৌশল ও রাশমিকা মন্দান্না চিত্রিত করবেন চট্ট্রপতি সাম্ভাজি ও তার স্ত্রী নিয়েসুবাইয়ের চরিত্র। বিখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের সংগীত ও বিশাল ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সের মাধ্যমে পরিচালক লক্ষ্মণ উটেকর তৈরি করেছেন এক বর্ণময় চূড়ান্ত অনুষ্ঠান, যা আমাদের ঐতিহাসিক সংস্কৃতির দর্শক হিসেবে ভাবতে বাধ্য করছে। ১৬৭০-এর দশকে পটভূমি নিয়ে নির্মিত এই ছবিটি দর্শকদের কাছে ঐতিহাসিক ঘটনার খানিকটা বাস্তব উপস্থাপন করে তুলে ধরবে, যদিও হলিউডি প্রভাব এবং নতুন গল্প বলার ধরন বলি ইন্ডাস্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের ভাবনার সুযোগও রাখে।
“বৈদ্যুতিক পোস্টে যুবকের আত্মপ্রকাশ: সমাজের অবস্থান কি, পুলিশের হাস্যকর উপস্থিতি!”
এক যুবক বৈদ্যুতিক পোস্টে চড়ে বসে যখন মজার পরিবেশের সৃষ্টি করে, তখন পাড়া ঢিবি হয়ে যায়। পুলিশ এসে রসিকতা থামাতে নির্দেশ দেয়, আবারও বুঝিয়ে দেয়, আমাদের সমাজে বাঁচার চেষ্টায়ই জীবন দোলাচ্ছে। মানবতার আকাঙ্ক্ষা আর মানসিক চাপের মধ্যে সম্পর্কের খেলা চলছে; কারও জন্য এটি হাস্যরস, অন্যের জন্য বিপদের চরম উপস্থিতি। আমরা কি জানি, রাজনীতি কিংবা সমাজের ব্যবস্থাপনা কোথাও আটকে পড়েনি?
এপি ধিল্লনের ‘দ্যা ব্রাউনপ্রিন্ট’ ট্যুর: ইতালীয় সংস্কৃতির আভায় বলিউডের নতুন অধ্যায়ের সূচনা!
পাঞ্জাবি সঙ্গীত শিল্পী এপি ধিলন এই ডিসেম্বরে ভারতে ফিরছেন, তাঁর নতুন EP "দ্য ব্রাউনপ্রিন্ট" নিয়ে একটি প্রত্যাশিত ট্যুরের ঘোষণা দিয়েছেন। মুম্বাই থেকে শুরু হয়ে, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়ে পরিবেশন করতে যাচ্ছেন তিনি। এই ট্যুরে 360 ডিগ্রি মঞ্চ ডিজাইন ব্যবহার করা হবে, যা দর্শকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ তৈরি করবে। ধিলনের গানগুলি, যেমন "ব্রাউন মুন্ডে" ও "এক্সকিউজেস", ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করছে। বর্ষীয়ান বলিউড তারকাদের সঙ্গে তাঁর সহযোগিতার ফলে সঙ্গীত জগতে নতুন বৈচিত্র্য ও সীমা ছাড়ানোর প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে, যা চলচ্চিত্র শিল্পের ধারাবাহিক পরিবর্তন ও দর্শকদের অভিজ্ঞান বোঝাতে সহায়ক হবে।
“ঢাকায় ধর্মীয় মৌলবাদী মিছিলে স্বাধীনতার ডাক: হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় বিজেপির বন্ধুত্বের আহ্বান!”
ঢাকার উত্তরাতে ধর্মান্ধদের মিছিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের হিন্দুরা যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে। হিজাবের কড়াকড়ি, হিন্দু দোকান থেকে দূরে থাকার আহ্বান—এগুলো কি সমাজের জন্য অশনি সংকেত? রাজনীতির গপ্পোতে, ধর্মীয় গোঁড়ামি যেন আমাদের সংস্কৃতির শিকড়কেই সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় ফেলে দিচ্ছে। মানসিকতার পরিবর্তনের সময় এসেছে, নাকি আমরা শুধুই নতুন নাটকীয়তার অপেক্ষায়?
“আইফা পুরস্কারে ঐশ্বর্যা রাইয়ের রূপালী রূপ, কেঁপে ওঠে বলিউডের নতুন ধারা; কি সত্যি বদলাচ্ছে আমাদের চলচ্চিত্রের গল্প?”
আইফা পুরস্কার ২০২৪-এ এশ্বর্য রাই গাঢ় কালো কেপ গাউনে সোনালী বর্ণের বিস্তারিত নিয়ে শাহীন নিখুঁত শৈলীতে প্রবেশ করেন, যা শুধু তার স্টাইল নয়, বরং বর্তমান বলিউডে নারীদের প্রভাব ও চলচ্চিত্রের নতুন ধারার প্রতিফলনও। এই অনুষ্ঠান দেখা দেয় অভিনেত্রীদের সৃজনশীলতার এক নতুন অধ্যায়ের যাত্রা, যেখানে তাঁরা সমাজের চাহিদা ও চলচ্চিত্রের গতিশীলতাকে একত্রে মেলানোর চেষ্টা করছেন।
“সিবিআইয়ের হাতে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ: অভিজিতের আদালত এ আগুনে রাজনীতির রহস্য উন্মোচন!”
সিবিআইয়ের দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং অসচ্চন্দভাবে এফআইআর দায়েরের জন্য অভিযুক্ত করে, শিয়ালদা আদালতে আজ পেশ হলো তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডল। এখানেই কি শেষ? এই ঘটনাপ্রবাহে আমাদের শাসনের চরিত্র কতটা বদলাচ্ছে, আর নেতাদের পারফরম্যান্স কি সত্যিই জনমানসে আস্থা ফিরিয়ে আনবে? রাষ্ট্রীয় বাক্যবাণের মধ্যেও লুকিয়ে আছে জনগণের অভূতপূর্ব ক্ষোভ।
“যশ চোপড়ার ৯২তম জন্মদিনে বলিউডের ভবিষ্যৎ গড়ার নতুন উদ্যোগ: শিক্ষাবৃত্তি প্রোগ্রাম!”
বলিউডের বিশাল জাঁকজমক ও বিলাসিতা ছিছাঁটে, যশ চোপড়া ফাউন্ডেশনের বিশেষ উদ্যোগ—যশ চোপড়া স্কলারশিপ প্রোগ্রাম—হাসিল করবে নিম্নআয়ের ফিল্ম কর্মীদের সন্তানদের জন্য নতুন দিগন্ত। উচ্চশিক্ষার জন্য ৫ লাখ টাকার সহায়তা নিশ্চিত করবে, যাতে সমাজের পেছনের যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও উন্নতি ঘটে। এভাবে, সিনেমা জগতে পেশাদারিত্বের নতুন স্বর সন্ধান দিয়ে, নতুন প্রজন্মের কাছে স্বপ্নের সিঁড়ি উন্মুক্ত করছে ভারতীয় চলচ্চিত্রের অঙ্গন।
“মমতার কাছে সিবিআইয়ের প্রশ্ন: কলকাতা পুলিশের ‘ফাইল ফাটিয়ে’র নাটক, পুলিশমন্ত্রীর পদে টিকে থাকার ভিত্তি কী?”
কলকাতা পুলিশের তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগে সিবিআইয়ের গ্রেফতারির ঘটনাটি যে শুধু আইনশৃঙ্খলার চিত্রই নয়, বরং শাসকের দুর্বলতার এক অঙ্গিকারের প্রতীক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন উঠছে, তাঁর সরকারের নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতার দালিলিক সাক্ষ্য কতটুকু দৃঢ়? যখন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী আসন আঁকড়ে আছেন, তখন বিষয়টি জনগণের মননে শাসনের সংকটমূলক উপস্থিতি।