সামাজিক সচেতনতা
“বিশ্বাসঘাতক পুরনো গল্প: অনুরাগীদের না হয় রূপালী পর্দার সুরের সাথে যেতে দিন!”
এখন বলিউডে পরিস্থিতি বেশ নাটকীয়। জনপ্রিয় পরিচালক আজানীজ বাজমীর পুরনো চলচ্চিত্র 'নাম' মুক্তি পাচ্ছে এমন সময়, যখন তাঁর 'ভুল ভূলইয়্যা ৩' সর্বত্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অথচ দুই দশক পরে ফিরে আসা এই ছবি শিল্পী ও দর্শকদের প্রতি অশ্রদ্ধার মতো। বাজমী বলেন, "দর্শক আজ পরিপক্ক, তারা শোষিত হতে দেবেন না," সমাজ ও সিনেমার মধ্যে সেতুবন্ধন তুলে ধরে দর্শকদের সচেতনতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
“নতুন হেলমেট নিয়মে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার বাঁকা আয়নায় উঠে এল জনগণের নিরাপত্তা বনাম প্রশাসনিক গতিবিধির দ্বন্দ্ব!”
নতুন হেলমেট নিয়মে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আইন, যেন এক নাটকীয় দৃশ্য, যেখানে ট্রাফিক পুলিশের হাতে মহিলাদের সুরক্ষার প্রতীক হেলমেটও নিরাপদ নয়। রাজনীতির অলিতে গলিতে এ কান্ডে চলছে আলোচনা, সরকারী নীতির চৌহদ্দি থেকে কোথায় আমাদের স্বাধীনতা? জনগণ কি অভিনেতার সাজ-পোশাক, নাকি তাঁরা সত্যিকার অর্থে মানুষ?
“এখনকার রাজনীতিতে অশোক স্তম্ভের পরিবর্তে হাওয়াই চটি; সুকান্তের বিতর্কিত মন্তব্যে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ!”
নির্বাচন কমিশন সুকান্ত মজুমদারকে নোটিশ পাঠিয়েছে তার অশোক স্তম্ভ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, যেখানে তিনি তৃণমূলকে দালালি করার অভিযোগ তুলে অশোক স্তম্ভের ছোট খাটো অপমান করেছেন। এই মন্তব্যে ধরা পড়েছে আমাদের রাজনৈতিক দৃশ্যে গভীর হতাশা, যেখানে নেতাদের মুখে জাতির আভিজাত্য হারিয়ে যাচ্ছে এবং রাজনৈতিক চেতনা হাওয়াই চটির সমতলে দেবে যাচ্ছে। অসহিষ্ণুতা ও অবজ্ঞার এই নাটকে, জনগণের অনুভূতির প্রতি অদৃষ্টবিহারী নেতাদের উদাসীনতা এক নতুন ধরনের সাংস্কৃতিক সংকট সৃষ্টি করছে।
“ব্রাত্যবাবুর অভিযোগ: কেন্দ্রের ১২০০ কোটি টাকার বকেয়া, শিক্ষার ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?”
শনিবার ব্রাত্যবাবুর অভিযোগে প্রকাশিত হলো কেন্দ্রের নীতির মুখোশ—শিক্ষা ও মিড ডে মিলের ১২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক এই অবস্থায় সরকারের অনীহা যেন আমাদের প্রাপ্যতার প্রতি তাচ্ছিল্য; অর্থের অভাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। একটি সমাজের উন্নতি যেখানে টাকা আর বিবেকের সাথে সম্পর্কিত, সেখানে খরচের হিসেবে কীভাবে দুই বিভাজন তৈরি হয়, তা ভেবে দেখা উচিত।
“সুকান্তের তীর্যক মন্তব্য: বিজেপি এলে কীভাবে বদলাবে পশ্চিমবঙ্গের ধর্ষকবিরোধী লড়াই!”
বাংলার রাজনৈতিক দৃশ্যে আজের আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে সুকান্তর এমন কড়া মন্তব্য, যেখানে তিনি বিএনপি সরকারের উপর আক্রমণ চালিয়েছেন। ‘ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার’ দাঁড় করানোর সুস্পষ্ট অঙ্গীকারে যেন গোঁড়া শাসনের নতুন মন্ত্র খুঁজছেন তিনি। অদ্ভুত এই পথে, কি মানুষের নিরাপত্তা, কি সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি—সমস্ত কিছুই যেন ঝুঁকিতে, আর গুণগানগীদের কণ্ঠে সমাজের অবসন্নতা প্রকাশ পাচ্ছে।
“আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইকে ১০টি কঠিন প্রশ্ন করল জুনিয়র ডাক্তাররা, কবে মিলবে সত্যের রহস্য?”
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট সিবিআইয়ের দিকে ১০টি তীব্র প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে রাজনৈতিক মহলকে নতুন করে বিপাকে ফেলেছে, এমনকি নির্যাতিতার দেহে পাওয়া তরলের DNA রিপোর্টের রহস্যও অদূরদিনে উন্মুক্ত হবে কিনা, তা নিয়ে জনমানসে উঠছে নানা জিজ্ঞাসা। আমাদের নির্বাচিত কর্তাদের সঠিক পদক্ষেপের আশা কি এখন শুধুই নিছক মহাকাব্যিক কল্পনা?
বলিউডের রাজার সিংহাসন: শাহরুখ-দীপিকার যাত্রা, সাফল্য ও প্রতিভার নতুন পর্ব!
শাহরুখ খানের বিশ্বজুড়ে ভক্তকুলের মধ্যে রাজত্ব বজায় রেখে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। ২০২৪ সালের পাওয়ার লিস্টে তিনি শীর্ষস্থানে, আর দীপিকা পাডুকোনও শক্তিশালী মহিলা তারকা হিসেবে স্থান পেয়েছেন। তাদের ছবিগুলি যেমন 'পাঠান' এবং 'জওয়ান' আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জন করেছে, তেমনি দীপিকার নতুন ছবি 'কাল্কি ২৮৯৮ এডি' বাজিমাত করার পথে। এই সাফল্য শুধু বিনোদনের জগতে তাদের প্রভাবকেই বৃদ্ধি করছে না, বরং সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে।
“দিওয়ালিতে গ্যাসের দামে রক্ষা পেলেও কলকাতার গৃহস্থের পকেটে খអ្នក তলানি, Subsidy পেতে ব্যাংকেও মৃত্যু?”
দিওয়ালির অছিলায় ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হলেও, কলকাতার গৃহস্থরা যেন পকেটে ছেঁড়া কাপড় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন—কারণ ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে রান্না। সরকারের অঙ্গীকারে কেবল ফাঁকা শ্লোগান, গ্যাসের ভর্তুকি সে সঙ্গে আজকের ঘটনা; অথচ ব্যাঙ্কে গ্যাসের ভর্তুকি নেই। এই অবস্থায় কি ভাগ্যবান আমরা?
“উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে উত্তাল ঢেউ: তৃণমূল নেতাদের ‘কড়া দাওয়াই’ ও উপনির্বাচনের চ্যালেঞ্জ”
দিনহাটায় তৃণমূলের সভা যেন এক নাটকীয়তা নিয়ে হাজির হয়েছে, যেখানে উদয়ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর কণ্ঠে দলের নেতা-কর্মীদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা, যেন সৃষ্টির হাতে দিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ। আর ১৩ নভেম্বরের উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা যেন আমাদের সমাজের গভীর রাজনৈতিক স্রোতের দিকে এক নজর। দক্ষতার অভাব অথবা দর্শনের আলোচনা, আটপৌরে রাজনীতির মঞ্চে এক মনোরম তামাশার জন্ম দেয়। জনগণের বিশ্বাস, নেতাদের বক্তব্য এবং নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়া আসছে, ততই যেন দর্শকের মাঝে তরঙ্গব্রেকের সুর উঠছে।
শিয়ালদা ট্রেনের সময় নয়, দেশের শাসকের প্রতিশ্রুতি পালনের অঙ্গীকার কি কখনও সময়মতো আসে?
শিয়ালদা থেকে ট্রেনের সময় নিয়ে এক পরিহাস বটে! সরকারিভাবে ঘোষণা করা সময়ের বাইরে, জনতার গন্তব্যের অস্থিরতা যেন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানের রাতে কেউ বুঝে উঠতে পারে না, যাত্রীদের উদ্বেগ কি শুধু ট্রেনের অপেক্ষায়, না কি রাজনৈতিক প্রতিজ্ঞার পূর্ণতার খোঁজে? নেতাদের প্রতিশ্রুতির সাধনা আর নাগরিকদের অসন্তোষ — এ যেন এক হাস্যকর নাটক, যেখানে পরীক্ষা দিতে হয় সাধারণ মানুষের।