সামাজিক উদ্বেগ
জগদ্ধাত্রী পুজোর আগের আগুন: নেতাদের ‘নীৰব সাহস’ বা জ্ঞানীর অদৃষ্টের খেলা? সমাজে সঙ্কটের আঁচ!
জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসনের মুহূর্তে বিরাট আগুনের তাণ্ডব যেন রাজনীতি ও সমাজের একটিমাত্র স্পর্শকাতর পাত্তা। গব্যনেতাদের উদাসীনতা দেখিয়ে দেয়, উৎসবের ঢলেও মানুষের জীবন কতটা মূল্যহীন। যখন অশান্তির দাবানল সমাজকে গ্রাস করে, তখন কি পান্ডাল সাজাতে জানলেও রাজনীতির দিশাহীনতা কি আমাদেরই জন্য?
“রাজারহাটের নার্সারিতে বেড়া স্পর্শে যুবকের উৎখাত, রাজনৈতিক নৈতিকতার মুখোমুখি সমাজের ব্যাকরণ!”
রাজাহাটের নার্সারিতে ঘটে যাওয়া একটি যুবকের দুর্ঘটনা, বেড়ার স্পর্শ করতে গিয়ে ছিটকে পড়ার ঘটনা, যেন আমাদের সমাজের ওপর রাজনৈতিক বেড়াগুলোই স্পষ্ট করে চলে আসে। এতোদিনে কতো নেতা আমাদের নিরাপত্তার অঙ্গীকার করেছিলেন, অথচ বেড়ার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমরা আঁকড়ে ধরলাম অসহায়ত্ব। গণতন্ত্রের আলোয় নিষ্প্রাণ হয়ে উঠছে প্রত্যাশাগুলি, অথচ আলোর উৎস আজ নিজেই আঁধারে। এ ভাবেই কি আমরা এগিয়ে যাব?
“দিওয়ালির ছুটির মাঝে সরকারের কর্মচারীদের আধুনিকতার ছোঁয়া: রাজনীতির পাণ্ডিত্য না কি নাগরিকের দুর্ভোগ?”
হালফিলে রাজনৈতিক দৃশ্যে যেন এক মহান রন্ধনশালা। দিওয়ালির ছুটির মধ্যে স্টক মার্কেটের বন্ধ থাকা আর পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অফিসের বন্ধের সিদ্ধান্ত মিলিয়ে বর্ষে বর্ষে ছুটি নিয়ে আলোচনা হলেও, নেতাদের কর্মফল জনগণের খরচা। ফলে, এই অপেক্ষা কবে শেষ হবে, তা নিয়ে সাধারনের প্রশ্ন উঠছে। সত্যি, আর কতদিন শূন্যতার মুর্তিতে আমাদের চলতে হবে?