সামাজিক আন্দোলন
নৃত্যশিল্পীদের উদ্ধার: শিল্পী সংগঠন বিএসএফইউ’র দাবি, রাজনীতির অন্ধকারে মানবিকতার আলোর সন্ধান!
নৃত্যশিল্পীদের উদ্ধারের ঘটনাটি যেন সমাজের অবস্থা নিয়ে এক শ্লোকের মতো। প্রবীণ পট্টনায়কের মাধ্যমে পুলিশের হস্তক্ষেপ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয় না হয়ে একটি মানবিক সঙ্কটকে সামনে এনেছে। দু’জনের গ্রেফতারি সেই চিরন্তন প্রশ্ন তুলে ধরে—আমরা কি সত্যিই সভ্য? রাজনীতির নাট্যদলে সমাজের নৃত্যশিল্পীদের সদা উপেক্ষার যুগে, কেবল ঘটনাবলি প্রতিপালনের পরিবর্তে মানবিক মূল্যবোধের অনুসন্ধানে একটি নতুন সূচনা কি হতে পারে?
“বাঙালির নারীর নিরাপত্তায় প্রশ্ন, রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজে র্যাগিংয়ের প্রেক্ষিতে আত্মপরিচয়ের খোঁজে ক্ষুব্ধ জনতা!”
গত অগস্টে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের রক্তাক্ত ঘটনায় বাংলার রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র তরঙ্গ। মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগে ৭ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে উঠেছে বিক্ষোভের ডাক। সমাজের মৃৎশিল্প, নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা এবং মিডিয়ার বিচরণে আজ জনগণের মনে প্রশ্ন, ‘শিক্ষার প্রতি আমাদের এই তাজ্জব স্বীকৃতি কি কেবলই ছল?'
“মমতা সেতু’র পাঁচ বছর: রাজনৈতিক ইতিহাসের গতি, কুণাল ঘোষের কথায় নেতাদের প্রতিশ্রুতি ও দর্শনের নাটক”
আজ 'মমতা সেতু'র পাঁচ বছর উদযাপন নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ আলোচনায় বললেন, সেতুর পেছনের ইতিহাস এবং সৃষ্টির উদ্দেশ্য। তবে, রাজনীতির জলচ্ছাসে এ এক সেতু, যে শুধু নদী নয়, বরং শাসনের সমসাময়িকতারও প্রতিনিধিত্ব করে। জনগণের আস্থা ও বিরোধিতা, উভয়ের মাঝে এখন ভিড়ের যাত্রা, আর রাজনৈতিক মহল যেন সেতু গড়তে ও ভাঙতে ব্যস্ত।
“পুলিশের তদন্তে দুর্ঘটনা: নিরাপত্তার বেহাল দশা ও বন্দরের প্রশাসনিক ব্যর্থতার সামনে সমাজের প্রশ্নবোধক চিহ্ন!”
পুলিশ দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত সবার সঙ্গে কথা বলে আসল কারণ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে, যেন নিরাপত্তার অভাবের চিত্র পরিষ্কার হয়। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রশ্ন উঠেছে; কিন্তু নেতাদের তালে তালে কি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, নাকি আবারও কেবল কসেরী কথা? রাজনীতির অঙ্গনে, যে সংকটগুলো খালি চোখে দেখা যায় না, সেগুলোই কি আমাদের সভ্যতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবল সংকট বয়ে নিয়ে আসছে?
“থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সিসিটিভি! সরকারি নির্দেশে কীর্তন গানের নতুন পদ! ডাক্তারদের রোষের ভয়ে পরীক্ষা?”
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কিঞ্জল নন্দ ও অন্যরা থ্রেট কালচারের বিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন, যখন ডাক্তাররা বলছেন, বহু জুনিয়র ডাক্তার পরীক্ষায় পাশ করার যোগ্য নয়। রাষ্ট্রের এই অব্যবস্থায় সিসিটিভি ব্যবস্থার আবির্ভাব, যেন সংস্কারের মুখোশে আড়াল। সমাজের মানসিকতা পাল্টানোর তাগিদ কী মাত্রা নেবে, বা রাজনীতির অভিনব নাটকে কারা হবে মূল চরিত্র, সেই ভাবনাই আজ আমাদের সামনে।
অভিযোগের তথ্য জানিয়ে দেবে মেসেজ, আদালতে কৃত্রিম যুক্তির নাটক শেষে কি মিলবে ন্যায়?
অভিযোগকারীর প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব ও আদালতের চক্করে কেটেছে সময়, যেন কোনো নাটকের চরিত্র। প্রশাসনের এই অব্যবস্থাপনা সত্যিই ভাবায়, যেখানে তদন্তকারী ও অভিযোগকারী উভয়েই প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে নিশ্চিত নয়। সরকারী ব্যবস্থার এই উদাসীনতা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির এক নগ্ন চিত্র, যা সুধীজনদের মনে গভীর প্রশ্ন শূন্য করে।
“মাংসের সংস্পর্শে অসুস্থ সমাজ: মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণে রোগীর প্রতিবাদ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার টালমাটাল!”
বসুদেব ঘোষের অভিযোগে উন্মোচিত হলো স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অযোগ্যতার কালো চিত্র; মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের বিতরণ, যেন সরকারী সেবা প্রদানের মহানীতির হাস্যকর লেশ। প্রান্তিকের ব্যথা উপেক্ষা করে, আমরা কি কেবলমাত্র জনতার প্রতিরোধের সুর ফেলার জন্য অপেক্ষা করছি? ইতিহাস কি আবারও আমাদের বাড়ির পোষ্য গরুর কাছে নিয়ে যাবে?
“পঞ্চায়েতের পথে প্রাণহানি: নিহতের মায়ের আহাজারি, রাজনীতির অন্ধকারে মৃত্যু যন্ত্রণার সংবাদ!”
মাঠে সভা শেষ হতে না হতেই এক মায়েবাবু জানালেন, পঞ্চায়েত যাওয়ার আগে তাঁর ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্ত্রীর কথায়, “শত্রু তো ছিলই না”, কিন্তু আমাদের রাজনীতির খেলার মাঠে কি সদ্ভাবের স্থান? সমাজে শান্তি খুঁজতে গিয়ে কি আমরা নিহতের মায়ের কান্না ম্লান করতে পারব? নেতাদের প্রতিশ্রুতি, আর ঘটনাবলী যেন বিচিত্র এক নাটকের কাহিনী, যেখানে মানবতা কেবল একটি পর্দার পেছনে ঢেকে থাকে।
বৃষ্টি, নদী ভাঙন ও সবার নজরে লাপাত্তা ফল বিক্রেতারা: কি জানালো আমাদের শাসন ব্যবস্থা?
পাঁশকুড়ার ফল বিক্রেতাদের জীবনে ভিন্ন বৃষ্টি ভাসানোর বদলে এই সরকারের উন্নয়নের ঢাকের শব্দ শুধুমাত্র কথারই আবরণ। শিলাবতী নদীর জল বাড়ার খবরে, রাজনীতির আবহে যেন নির্বিকার গুণগুন। অথচ ফলের বাণিজ্যে তারা কল্পনাও করেনি, যে স্রোত তাদের নিয়মিত জীবনে এনে দেবে সংকটের ঢেউ। সত্যিই কি এই প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা নিজেদের কূটনীতির সাজগোজে মাজা জঙ্গলে মগ্ন আছি?
“গো-সেবার নামে অমানবিক নাটক: আদালতে খুঁজে পাওয়া কি হবে পশুর হিত?”
অখিল ভারতীয় কৃষি গো সেবা কেন্দ্রের আবেদনে উঠে এসেছে বর্বরতার মাঝে মানবতার কল্যাণ চাওয়ার অদ্ভুত অসঙ্গতি। সরকার আর প্রশাসনের দলবাজিতে, পশুউদ্ধারের অঙ্গীকার মরে গেছে মন্দিরের অন্ধকারে। কি বিচিত্র, এই ক্ষেত্রেই তো 'গোবিন্দ ভজন' রহস্যময় কিছু হতে পারে, যখন আসল কর্তৃপক্ষ নির্বাক!