সংস্কৃতি
“টয় ট্রেনের যাত্রা: বিদেশি পর্যটকদের আগমনে সরকারের উন্নয়নের নেপথ্যে কী লুকিয়ে আছে?”
আজ ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে দার্জিলিঙের উদ্দেশে টয় ট্রেনের যাত্রা শুরু হল, যেখানে বিদেশি পর্যটকও অন্তর্ভুক্ত। তবে এই উদ্ভাসিত ছবির আড়ালে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত ঘাটতির বিবর্ণ কাহিনী লুকিয়ে। রাজনীতির নাট্য মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সাফল্য ও সমকালীন অসঙ্গতি নিয়ে ভাবনার আহ্বান তুলে এনে, বার্তা দিচ্ছে, সবুজ পতাকা তুলে ধরার সাথে সাথে কি আদৌ পরিবর্তনের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে?
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য নিয়োগে গোপন চক্রান্তের ছায়া, কি হচ্ছে শিক্ষার মুক্ত আকাশে?
রাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যখন সরকার ঢালাও বক্তব্যে ব্যস্ত, তখন শুধু দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আটকে রইল, সেখানেও কি অদ্ভুত খেলা চলছে! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা হয়েছে নামের লিস্ট, কিন্তু সেখানেও কি নিয়মের নিপুণ অলঙ্কার। ভেদাভেদে, সৃষ্টির পরিধি সংকুচিত হচ্ছে, সংস্কৃতির স্রোতে আমাদের শুভবুদ্ধির বৃদ্ধিও কি অন্ধকারে?
“ছটপুজোয় মমতার সুর, বাংলা পক্ষের তীর্থযাত্রা: সরকারের প্রতি ক্ষোভের সুর কি গেয়ে উঠবে জনগণ?”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছটপুজোর উপলক্ষে নিজের লেখা একটি গান প্রকাশ করে সংস্কৃতির বাহাসে জড়িয়ে পড়লেও, বাংলা পক্ষ তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে। যেন এক হালকা ঝোরো হাওয়ার মাঝে, রাজনীতির মাঠে আপাত সমরস্স্যের পর্দায় প্রকৃত অসঙ্গতির জঙ্গল ফুটে উঠেছে; তা দেখেই মনে হতে পারে, এলোমেলো সুরের মধ্যে নতুন কোনো বাস্তবতা খুঁজছেন সকলে।
“বিনোদনের নৃত্য: রাশমিকাকে দুই ছবির প্রতি সমর্পিত প্রেমের কাহিনি, যেখানেই কর্মসূত্রের বাঁধন!”
বর্তমানের বলিউডে রাশমিকা মন্দান্নার কাজের ব্যস্ততা ও প্রতিশ্রুতি সত্যিই নজরকাড়া। 'পুশ্পা ২' এবং 'সিকান্দার' নিয়ে তার ডাবল শিফটের কাজ সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি তৈরি করছে, যেখানে পারফরম্যান্সের অঙ্গনে কলাকুশলীদের তুলনায় শ্রোতাদের প্রত্যাশা বাড়ছে। সালমান খানের সঙ্গে দুটো গান এর মাধ্যমে সিনেমাটির গ্র্যান্ড স্কেল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা চলচ্চিত্রের ভুবনে নতুন ঢেউ আনতে পারে। দর্শকদের আলাদা গল্পের সন্ধান, আর অভিনেত্রীদের পরিশ্রমের মধ্যে সমাজের বাস্তবতা প্রতিফলিত হচ্ছে; রাশমিকার মতো শিল্পীদের প্রতিশ্রুতি বলিউডের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
“জিও স্টুডিওসের নতুন ত্রিভঙ্গি: ভারতীয় সংস্কৃতির অপরাজেয় প্রতীক, দীপাবলিতে আলোর দীপ্তি!”
এই দীপাবলিতে জিও স্টুডিওস নতুন লোগো এবং সিংহাম এগেনের মাধ্যমে বলিউডে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ২০২৪ সালে তাদের টানা সফলতা যেমন অর্কিটেল ৩৭০ ও স্ট্রি ২, তা ভারতীয় সংস্কৃতির গভীরতা ও বৈচিত্র্যকে তুলে ধরেছে। এই লোগো শুধু জিওর ব্র্যান্ড নয়, বরং তাদের গল্প বলার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ভারতীয়ত্বের প্রতীক।
“কালী ঠাকুরের ভাসান: অপশাসনের অশ্লীল নাচে, জনগণের মননের অগ্নিসংযোগ!”
কালী ঠাকুরের ভাসান চলাকালীন ঘটে গেল অবাক করা কাণ্ড—যেন রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্ব। নেতারা নিজেদের মহিমা জাহিরে ব্যস্ত, অথচ সাধারণ মানুষের হৃদয়ে উঠছে অসন্তোষের ঝড়। অযথা ছবি তোলার চেষ্টা আর জনতার শোক, যেন এক ভাস্কর্যের সামনে নৃত্য; কিন্তু সেই নৃত্যের অর্থ কি? জনগণের বিক্ষোভে কি গর্বের সংকেত খুঁজে পাবেন নেতারা, না কি আবারও কাটতে হবে রাজনীতির অন্ধকারে?
কলকাতা পুলিশের নারীকনস্টেবল নিয়োগ: নতুন প্রজন্মের নারী শক্তির প্রবেশ ও রাজনীতির নাটকীয় পরিবর্তন!
গোটা সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে যারপরনাই কথা হচ্ছিল, সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতা পুলিশের ৭৭৩ জন মহিলা কনস্টেবল এখন মাঠে। প্রশিক্ষণের মঞ্চে গড়া, এই নারী শক্তির থানায় পোস্টিং কেমন হবে, সেটাই এখন ভবিষ্যতের জল্পনা। কর্তব্যপালনের আড়ালে কি শক্তি আর দায়িত্বের আসল চিত্র ফুটে উঠবে?
“অক্ষয় কুমারের দানে উদ্ধার হলো হনুমানের সেবায় বহু বানরের জীবন, বলিউডের দানশীলতার নতুন অধ্যায়!”
আয়োধ্যার একত্রিত সংস্কৃতির মাঝে, অক্ষয় কুমারের সদিচ্ছা নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি ১ কোটি টাকার দান করে বানরদের আহারের ব্যবস্থা করেছেন, যা সমাজে নৈতিকতার গুরুত্বকে প্রমাণ করে। এই সংকটময় সময়ে তার উদারতার মানসিকতা সমস্ত বলিউড তারকাদের জন্য একটা উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে সিনেমা ও সমাজের সংযোগকে নতুন করে ভাবনায় আনছে মানুষ।
কলকাতায় বাংলা ভাষার বিলুপ্তি: রাজনৈতিক নেতাদের মূর্খতা নাকি সামাজিক উদাসীনতা?
কলকাতার হৃদয়ে বাংলা ভাষার অস্তিত্ব যেন আজ বিলীন হতে বসেছে, যেখানে রাস্তার নামকরণেও ইংরেজির ছাপ; রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ ছাড়া এ যেন সভ্যতার এক নতুন সদগতি নয়। শব্দগুলো যখন একসময় শোনেনি, আজও কি শুনতে পাবে দেশবাসী? অসমীয়া, বিহারী এসব নিয়ে আলোচনা চলছে, কিন্তু বাংলা ভাষার প্রতি কেন এই নির্লিপ্ততা?
“পুজোর পর হোম স্টে সমীক্ষার নির্দেশ, নন্দিনী চক্রবর্তী কি আসন্ন পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিচ্ছেন?”
সম্প্রতি পর্যটন দপ্তরের বৈঠকে সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী পুজোর পরে হোম স্টে নিয়ে সমীক্ষা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন পর্যটনের জোয়ারে নতুন সুবিধার আলো দেখা যায়। ভাবুন, পুজোর পর এই সামান্য সমীক্ষার মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে আমাদের রাজনীতির চিত্র—মন্থর নির্ভরতা, বদলাবার অঙ্গীকার, অথচ বাস্তব থেকে সরে থাকা। সমাজে পর্যটন নিয়ে ব্যস্ততা, অথচ মানুষের জীবন কোথায়?