রাজনৈতিক সংকট
কোনো ঝড়ের চেয়ে বড়ো রাজনৈতিক ঝড়! কলকাতা পুরসভার কমিশনারের সাত সকালে বৈঠক, গাছ পড়ে সরকারের কান্না!
কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈনের গত রাতের বৈঠক যেন বিপদের ঘনঘটা নিয়ে বিস্তৃত একটি নাটক। ঘূর্ণিঝড় দানা, যে শুধু গাছ মাটিতে ফেলে দেয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দুর্বলতাও প্রকাশ করে। অফিসারদের বিদ্যুতায়িত সংলাপের মধ্যে হাস্যকর এক চিত্র- ক্রেন, হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে রাজনীতি চলছে যেন। গাছের বৃক্ষরাজি ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে, কর্মতৎপরতা এবং জনতার নিরাপত্তার প্রশ্ন গোপনে চাপা পড়ে যাচ্ছে। আর সেইসঙ্গে, নেতাদের মধ্যে ব্যস্ততা যেন অসেটিকের রজত ছায়া, জনতার আশা-আবেগও কি কোথাও বাশির সুরে হারিয়ে যাচ্ছে?
জব্বার মোল্লার হত্যা: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বা ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘননাখানি? স্থানীয়দের ক্ষোভ বাড়ছে!
রাজনীতি ও সমাজের অধ্বসনান্তরকালে জব্বার মোল্লার হৃৎপিণ্ডহীন দুর্ভাগ্যের দেহ উদ্ধার, সন্দেশের মতো ছড়িয়েছে আতঙ্ক। পুলিশ তদন্তে হাত দিয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—কেন রাজনীতির অঙ্গনে শান্তি নেই? ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে শুরু করে সমাজের গলվող নৈতিকতা, সব কিছুই যেন এক সুতোয় বাঁধা। গণমানুষের গুণগানে দিনের শেষে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে শুধুই শববাহী গাড়ির আওয়াজ।
“মমতার চা প্রস্তাব ফিরিয়ে, ডাক্তারদের উষ্ণ বিরোধ: রাজনৈতিক আলাপের চালে সঠিক পথ খুঁজছে সমাজ?”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চায়ের প্রস্তাব মুচকি হাসি ফুটিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে, যেন শাসনের কোমলতা আর কঠোরতা উভয়ের একটি অভিনব খেলা। অনশনরতদের দিকে নির্দেশ করে উল্টোতরঙ্গের আভাস দিলেন, যেন রাজনীতির চায়ের কাপটি খালি। এই তর্কবির্তক সমাজের তৈরি বিদ্রূপ, যেখানে চিকিৎসার দাবি আর শাসনের স্বাদ একসঙ্গে মিশে গেছে।