রাজনৈতিক সংকট
“রাজনীতির কালিকালে আবারও হামলা: বিধায়কের গাড়িতে ঝড় তুলল আবদুল খালেকের দল, গণতন্ত্রের সুরক্ষা কোথায়?”
মিনাখাঁ থানায় কালীপুজোর নিমন্ত্রণে গিয়ে বিধায়কের ওপর হামলা, যেন রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্ব। আবদুল খালেক মোল্লার দলের হাতে আক্রান্ত নেতা প্রতিফলিত করছেন আমাদের সমাজের অসাংবিধানিক সংঘাতের চিত্র। ক্ষমতার লোভে রাজনীতি যখন নৃশংস হয়ে ওঠে, তখন সাধারণ মানুষের মঙ্গল কেমন করে শনাক্ত হবে? বাস্তবতাকে চিনতে বাকি নেই।
“দিওয়ালিতে গ্যাসের দামে রক্ষা পেলেও কলকাতার গৃহস্থের পকেটে খអ្នក তলানি, Subsidy পেতে ব্যাংকেও মৃত্যু?”
দিওয়ালির অছিলায় ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হলেও, কলকাতার গৃহস্থরা যেন পকেটে ছেঁড়া কাপড় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন—কারণ ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে রান্না। সরকারের অঙ্গীকারে কেবল ফাঁকা শ্লোগান, গ্যাসের ভর্তুকি সে সঙ্গে আজকের ঘটনা; অথচ ব্যাঙ্কে গ্যাসের ভর্তুকি নেই। এই অবস্থায় কি ভাগ্যবান আমরা?
বিজেপির বর্ধমানে ভরাডুবি: অভিজিৎবাবুর পদত্যাগ নিয়ে পোস্টার, রাজনৈতিক অস্থিরতায় সমাজের পরিবর্তন কি?
বর্ধমানে বিজেপির বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরও দলটি সংগঠিত হতে পারেনি, আর এ পরিস্থিতিতে জেলা সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে পোস্টার পড়ার ঘটনা গভীর প্রশ্ন তোলে। অভিজিৎ বাবুর নেতৃত্বে দলের ভেতরে সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক ক্লান্তি ও নেতৃত্বের অপ্রাসঙ্গিকতার চিত্র তুলে ধরে। সমাজের প্রত্যাশা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে যে এই দূরত্ব, তাতে হাস্যকরভাবে ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে।
অমিত শাহর সঙ্গে দেখা না করে নির্যাতিত চিকিৎসকের পরিবারকে উপেক্ষা, কুণাল ঘোষের তীব্র সমালোচনা ও হতাশার সূচনা।
অমিত শাহ নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবামায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করলেন, আর তা নিয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষের তীব্র আক্রমণ, হতাশার অভিব্যক্তি যেন রাজনীতির চিরন্তন নাট্যাঙ্গনে এক নতুন গতি। নেতার শূন্যতা কতটা গভীরে পৌঁছেছে, তা বুঝতে রাজ্যের জনগণের সঙ্গে এক অব্যক্ত সংলাপ রচিত হচ্ছে, যেন ভদ্রলোকের রাজধানীতে মানবিকতার ন্যূনতম মানেরও অবক্ষয়।
“উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে উত্তাল ঢেউ: তৃণমূল নেতাদের ‘কড়া দাওয়াই’ ও উপনির্বাচনের চ্যালেঞ্জ”
দিনহাটায় তৃণমূলের সভা যেন এক নাটকীয়তা নিয়ে হাজির হয়েছে, যেখানে উদয়ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর কণ্ঠে দলের নেতা-কর্মীদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা, যেন সৃষ্টির হাতে দিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ। আর ১৩ নভেম্বরের উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা যেন আমাদের সমাজের গভীর রাজনৈতিক স্রোতের দিকে এক নজর। দক্ষতার অভাব অথবা দর্শনের আলোচনা, আটপৌরে রাজনীতির মঞ্চে এক মনোরম তামাশার জন্ম দেয়। জনগণের বিশ্বাস, নেতাদের বক্তব্য এবং নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়া আসছে, ততই যেন দর্শকের মাঝে তরঙ্গব্রেকের সুর উঠছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্বে সুকান্তবাবুর দিল্লি-কোলকাতা ছোটাছুটি: রাজনৈতিক নাটকের প্রহেলিকা কি কখনো শেষ হবে?
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি দলের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে জেলার মানুষজনের থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। দিল্লি ও কলকাতার মধ্যিখানে গলদঘর্ম হতে হতে তিনি কি আদৌ জনগণের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবছেন, নাকি শুধুই গাড়ির গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন? রাজনৈতিক কসরতকে ‘নেতৃত্ব’ বলে চালাতে গিয়ে, সমাজের আদর্শের সঙ্গে যে এই ব্যবধান তৈরি হচ্ছে, তা কি সরকারের চোখে পড়ছে?
“ঘূর্ণিঝড় দানার দোহায়, শাসকদের দুর্বলতা: প্রবাহের পরিবর্তনে বদলে যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্র”
শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ধানার কেন্দ্রে প্রবেশের পর, তার গতিপথ বদলে ধীরে ধীরে শক্তি হারানোর মতো দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটও যেন অদ্ভুত টানে চলছে। নেতাদের কর্মক্ষমতা আর জনগণের আশা দুটোই ঝড়ের মতো কাঁপছে, পক্ষে বিপক্ষে সবই যেন প্রলয়ে পরিণত হচ্ছে। পশ্চিমা বাতাসের প্রভাবে জলীয় বাস্পের ঢেউ দক্ষিণবঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে, ঠিক যেমন ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক সংকট; পরিস্থিতির চাপে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোও হয়তো পাত্তা পাচ্ছে না। এরই মধ্যে মিডিয়া যেন উৎসবের দোলনায়, খুঁজে বেড়াচ্ছে স্রোত বাঁচানোর জন্য নতুন নতুন কৌশল, অথচ সাধারণ মানুষের জীবন কিভাবে ভাসছে তা কেউ কল্পনাও করছে না।
“বসিরহাটে বিজেপি প্রার্থী নির্বাচন: টাকা আর নেতাদের অলি-গলির রাজনীতি, স্থানীয় জনগণের পাশে নেই বিমান!”
বসিরহাটে বিজেপির প্রার্থী বিমল দাসকে নিয়ে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে—শুধু টাকার বিনিময়ে প্রার্থী নিয়োগ। কর্মীরা বলছেন, এলাকার মানুষের পাশে তিনি কখনোই দাঁড়িয়ে দেখেননি। এ যেন রাজনৈতিক এক অপারেশন থিয়েটার, যেখানে নেতৃত্বের অন্তর্দৃষ্টি হারিয়ে যেতে বসেছে; জনগণের হৃদয়ে আবার বিদ্রূপ—কবে আসবে সেই দিন, যখন নেতা হবে জনতার সেবক, না যে হবে কেবল পকেটের রক্ষক?
“ভালোবাসার জালে মানবিক দ্বন্দ্ব: ‘We Are Faheem & Karun’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কাশ্মীরের হৃদয়ছোঁয়ার কাহিনী”
বয়সের সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে পরিচালক অনির নতুন ছবি "হইলাম ফাইম ও কারুন" একটি কঠিন প্রেমের গল্প নিয়ে আসছে, যা কাশ্মীরের গুরেজের প্রেক্ষাপটে মানবিক আবেগ ও ভৌগলিক সংঘাতের প্রভাবকে তুলে ধরছে। দীপা মেহতার সমর্থন নিয়ে এই সিনেমা প্রেম, বন্ধুত্ব ও মানবিকতাকে আবিষ্কার করে, যা বর্তমান পেক্ষাপটের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চলচ্চিত্রের সাদৃশ্য ও উর্দু ভাষার ব্যবহার আমাদের সমাজের জটিলতাগুলোকে গভীরভাবে আলোচিত করে, এবং অনির দক্ষ নির্মাণ শৈলী দিয়ে এটি দর্শকদের মনে স্থান করে নেবে।
“সবাই কি প্রস্তুত? ঘূর্ণিঝড় দানার মুখোমুখি হওয়ার আগে কি প্রশাসন রক্ষা করতে পারবে নাগরিকদের?”
বালেশ্বর থেকে সাগরদ্বীপের উদ্দেশে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রবেশ জনগণের মাঝে যে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে, তা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং শাসকদের কার্যকলাপের প্রতিচ্ছবি। যেভাবে শক্তি হারাচ্ছে দানার, সেভাবে যেন আমাদের নেতৃত্বও জনগণের দায়বদ্ধতা অনুভব করছে না। এই অস্থিরতায় আমরা হালকা বাতাসের খোঁজে, অথচ কর্তব্যের ভার অমলিন সৃজনশীলতায় ভেসে গেছে!