রাজনৈতিক পরিবর্তন

বিজেপির পক্ষে জন বার্লার ভূমিকা: আদিবাসী বিকাশের নেতার ক্ষমতা ও প্রভাবের নতুন অধ্যায়
একসময়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার আদিবাসী বিকাশ পরিষদকে সামনে রেখে বিজেপির মদত দিতে থাকা ইতিহাস যেন একটি নাটকের মতো—যেখানে ক্ষমতার পালাবদল আর জনশ্রুতির শোকেসে আদিবাসীদের ভূমিকা উপেক্ষিত। সমাজের চিত্রপটে রাজনীতির উদ্বাস্তু হয়ে ওঠা এই নেতার উত্তরাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কি সত্যিই প্রত্যাশার আলোকে সমাজে কোনো পরিবর্তন সম্ভব?

স্থানীয়দের ক্ষোভে ফুঁসছে, ভাগাড়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ!
স্থানীয়দের ক্ষোভের আগুন এখন ক্ষোভের বিক্ষোভ, পুলিশ ও পুরসভার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের ঢেউ। মানুষ জেগে উঠেছে, ভাগাড়ের সম্ভাবনা গ্রহণ করবেনা তারা। অথচ, রাজনৈতিক ভূতেরা নিশ্চল—সুর না তুললেও কিচ্ছু ঘোরে। দুর্নীতি ও অদূরদর্শিতার চলমান নাটকে, জনতার নেতিবাচক বিপরীতে একটি প্রেমময় সমাজের সম্ভাবনা গুরুতর রুদ্ধ।

তৃণমূলে রদবদল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত কি বদলাবে রাজনৈতিক চিত্র?
তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতরে রদবদলের গুজব যেন এক নাটকের চিত্রনাট্য, যেখানে সুব্রত বক্সি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক তাঁকে দেবে ভিন্ন মাত্রা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পৌঁছানো তালিকার দেখা না পেলে, প্রশ্ন উঠছে—ছুরি কাঁচি চলে না কি শাসকশ্রী মৃন্ময়ী মূর্তির গোপনে সাজছে? রাজনীতির এই জটিল তাসের খেলায় জনগণের আশা কি অমলিনেই রবে?

পুলিশের নীচুতলা কর্মীদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রতিবাদ: রাজনীতি ও প্রশাসনে নতুন সঙ্কটের ইঙ্গিত?
গত সেপ্টেম্বর মাসে ভবানী ভবনের সামনে পুলিশকর্মীদের পরিবারের দাবির উচ্চারণ লৈয়া রাজনৈতিক গতি আরো ত্বরান্বিত হয়েছে। যখন রদবদলের শব্দে রাজনীতি গুলিয়ে যায়, তখন আসলে সত্যিই কী বদল হয়? জনগণের আশা এবং নেতা-মানুষের বিবর্ণ মুখ, দুটোই যেন আমাদের প্রত্যাশায় একটি নতুন সুরের খোঁজে।

“মমতার সভায় ইটাহারের মোশারফ হোসেনের প্রস্তুতি: কি বলতে চলেছেন সংখ্যালঘু সেল?”
এবার ৬ ডিসেম্বর ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি শহিদ মিনারের ছায়ায় নতুন রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চ হিসেবে আলোর মুখ দেখবে। ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হলেও কার্যবিবরণী নির্ধারিত না হওয়ায় জনসমক্ষে ঐতিহ্যের সম্ভাবনা আর রহস্যের ভূবন অব্যাহত। এ এক বিচিত্র রাজনৈতিক নাট্যরচনা, যেখানে প্রতিটি বক্তব্যে গঠন এবং ভাঙনের সূক্ষ্ম প্রতিচ্ছবি উঁকি দিচ্ছে।

“প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির মূর্তি: জনগণের টানে বসার স্থান, রাজনীতির চিত্রে হাসির মঞ্চ!”
প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির নতুন মূর্তি রেলগেট থেকে পূর্ণিয়া মোড়ের মাঝখানে, এক নতুন সেলফি জোনের উদ্ভব ঘটাতে চলেছে। মানুষের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকলেও, রাজনীতির ক্ষণে সৈন্যশাহী দর্শকরাই কেবল বিনোদনের তরে আবারও যেন অতিথি, ভুলে যাচ্ছেন নীতির মৌলিকতা। রাজনীতি বাদ দিয়ে, সেলফি গুছানোর এই সংস্কৃতিতে, জনতার হৃদয়ে তৃণমূলের প্রতিফলনই কি শুধুই সুরের সঙ্গ?

মমতার নতুন প্রস্থানের সঙ্গে দার্জিলিং পাহাড়ে ‘ক্রিকেট’ শুরু, বিমল বদলে অনীত থাপার বিদ্রুপ!
দার্জিলিং পাহাড়ের রাজনীতিতে এখন গুডবুকের রুটি-রুজি হলেও বিমল গুরুংয়ের জায়গায় মমতার ভরসা অনীত থাপা। ম্যাজিক দেখার মতো, একাত্তর ভোটের মঞ্চে নেতাদের করুণার লুকানো খেলা। পাহাড়ের নজরদারির দায়িত্বে যে মনিটরিং কমিটি গড়া হলো, তা শুধু পলিটিকাল নাটক নয়, বরং সমাজের কপালে ঝোলা জনগণের দীনতা ও ক্ষোভের সাগরে নৌকা ভাসানোর চেষ্টা। মুখেই হাসি, অন্তরে তিক্ততা, আর প্রশ্ন—কোথায় যাবে এই রাজনৈতিক ভেলা?

“সৌমিত্র খাঁর জয়: ভাতা বন্ধের ক্ষমতা না দেখানো, রাজনীতির নাটক বা সমাজের সুর? জনতার মনে প্রশ্ন!”
সৌমিত্র খাঁয়ের বিজয় প্রসঙ্গে বলতে গেলে, এই সমাজে নারীর ভাতা বন্ধ করার শক্তি যে সামর্থ্য বিবর্জিত, তা স্পষ্ট। প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিরা মুখে সোনালী প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় ভুলে যায়, তাদের ভোটে ভরসা চলে গেছে, আর আমরা তো কেবল মা, দিদি, বোনের কান্না শুনতে শুনতে রাজনীতির চোরা স্রোতে ভেসে যাচ্ছি।

“অভিষেকের কঠোর পদক্ষেপ: ১২৫ পুরসভায় রদবদল এবং ২০২৬-এর খোঁজে তৃণমূলের পরিকল্পনা”
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ২৯টির জয় ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলেছে, কিন্তু স্বস্তির রেখাটি গভীর দুশ্চিন্তার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে। অভিষেকের কড়া পদক্ষেপের প্রভাবশালী ঘোষণাগুলো পুরসভা সংশোধনে পাঠালো এক প্রহেলিকায়। ১২৫টি পুরসভায় পরিবর্তন কি আসন্ন পরিবর্তনের সোপান? ভাবনা, সন্দেহ আর ক্ষমতার খেলায় যে নতুন ছবি বিশাল রঙে রাঙাচ্ছে সমাজ, তা কি আদৌ নিজেদের সাইকেলের চাকা সামলাবে?

“রেফারেল সিস্টেমের পরিবর্তন: রোগীর অধিকার, সরকারী ব্যবস্থার অমানবিকতার পালা!”
বর্তমান সরকার রোগীদের রেফারেল সিস্টেমের খোলনলচে বদলানোর চেষ্টায় রয়েছে, যেন বেহালা থেকে বাহারী হাসপাতালের পথে রোগীদের হয়রানির পাঁকে পড়তে না হয়। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, কি তবে এই সকল বদলাচ্ছে—শুধু নীতির শ্রীবৃদ্ধি, না নীতির আড়ালে লুকানো পুরনো ভাঁওতাবাজি? বাস্তবতা জানে, ব্যবস্থা কেবল দেখতে সুন্দর হলেই তো হয় না।