রাজনৈতিক নাটক

এন্টালিতে গ্রেফতার; সমাজে সহিংসতার বিরুদ্ধে মহিলার সাহসিকতা, রাজনীতির নাটকীয়তার নতুন অধ্যায়!
এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এন্টালি থানায় সন্তোষলাল প্রসাদের গ্রেফতারের ঘটনা যেন আমাদের সমাজের শ্রীবৃদ্ধির বিনিময়ে চিরকালীন কষ্টের গল্প। পুলিশি ব্যবস্থা, আদালতের দেখা—সব কিছুই যেন রাজনৈতিক নাটকের অঙ্গ। তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ ও আলোচনা শুরু হয়েছে, সেটা কি শুধুমাত্র একক ঘটনার প্রতিক্রিয়া, না কি গভীরতর কোন সামাজিক অস্থিরতার চিত্র? প্রশ্ন জাগে, এমন কি রাজনীতির থলির পাতা কিম্বা সালতেকের প্রজন্মের নতুন চাওয়া-পাওয়ার চিত্রায়ণ?

“মহামিছিলের অনুমতি না পেয়ে বিজেপির শাহরুখ খানের ‘তোরা কোথায়’– শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠকে রাজনৈতিক নাটকের নতুন থিম”
মহামিছিলের জন্য আবেদন করে বিজেপি, অথচ অনুমতি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে, যেন রাজনীতির পীঠস্থানে শাসকদল নিজের পায়ের নিচে মাটি নেই। শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক যেন নাটকের পর্দার আড়ালে গভীর নিরাশার ছবি ফুটিয়ে তোলে, যেখানে গণতন্ত্রের স্বরূপ তবুও অধরা, এবং সত্যি-মিথ্যের খেলা সুখকর নয়।

তন্ময়ের তদন্ত: রাজনৈতিক অসারতা আর দলের বৌদ্ধিক দিহিতের নাটক, আলিমুদ্দিনে সম্পূর্ণ নতুন পর্ব!
তন্ময় ভট্টাচার্যের তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগদান, যেন এক নাটকের রিহার্সেল। দলের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে তিনি ভাবেন, সত্যের খোঁজে বা ক্ষমতার খেলায় কে জয়ী হবে? কিন্তু এই নাটকের পেছনে যে গলদ থেকে যাচ্ছে, তা সমাজের চোখে ধুলোর মতোই। রাজনীতির মঞ্চে অভিনয়রত এই নেতাদের কর্মকাণ্ডে জনগণের আশা-হতাশা উভয়ই যেন অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা করে, কাঙিক্ষত সুরম্যাভূমির।

“থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সিসিটিভি! সরকারি নির্দেশে কীর্তন গানের নতুন পদ! ডাক্তারদের রোষের ভয়ে পরীক্ষা?”
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কিঞ্জল নন্দ ও অন্যরা থ্রেট কালচারের বিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন, যখন ডাক্তাররা বলছেন, বহু জুনিয়র ডাক্তার পরীক্ষায় পাশ করার যোগ্য নয়। রাষ্ট্রের এই অব্যবস্থায় সিসিটিভি ব্যবস্থার আবির্ভাব, যেন সংস্কারের মুখোশে আড়াল। সমাজের মানসিকতা পাল্টানোর তাগিদ কী মাত্রা নেবে, বা রাজনীতির অভিনব নাটকে কারা হবে মূল চরিত্র, সেই ভাবনাই আজ আমাদের সামনে।

“কলকাতা পুলিশের গার্ডরেল প্রস্তাব: নিরাপত্তার নতুন দিশা, নাকি শুধুই রাজনৈতিক নাটক?”
কলকাতা পুলিশের মতে, স্থায়ী গার্ডরেল দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আদর্শ সমাধান, অথচ ৪ নম্বর ব্রিজের ফুটপাতে প্রাথমিক পরীক্ষার পরেও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কাজ চলছে। রাজনীতি হলো এক উল্কাপিণ্ড, যেখানে জনগণের নিরাপত্তা আর নেতাদের সরকারি অঙ্গীকার মাঝে ক্ষীণ রেখা দীর্ঘায়িত হচ্ছে—এতে জনগণের সুরক্ষা না, বরং প্রতিবন্ধকতা বাড়ছে।

“কলকাতা হাইকোর্টে ৫ জনের বিচারযাত্রা: প্রকল্প সুবিধায় দুর্বৃত্তায়নের গল্পে সরকারের মানসিকতার চিত্র”
কলকাতা হাইকোর্টে পাঁচজন নাগরিক সরকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে প্রকল্পের সুবিধা থেকে তাঁদের অনৈতিকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। আদালতে রাজ্য সরকারের রিপোর্টের পর এই মামলার শুনানি চলাকালীন, প্রশ্ন ওঠে—গভীর দুর্ভাগ্যের মাঝে সরকার শুধু নিজস্ব আভিজাত্যই দেখায়, নাকি সত্যিকার অর্থে জনতার কল্যাণে কিছু করার চেষ্টা করে? সমাজের যন্ত্রণাকে কেন্দ্র করে এই বিচারবিভাগীয় নাটক আমাদের রাজনৈতিক দৃশ্যপটের অন্ধকার দিকগুলোকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।

“পাহাড়ের সফরে মমতা: রাজনীতির খোলসে গোপন বিরোধ ও নির্বাচনের পূর্বাভাস!”
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাহাড় তৃণমূলকে আশানুরূপ সাফল্য না দিলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম সফর তাতে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরী করতে পারে। শৈলশহরের পুরসভা নির্বাচনের নিয়ে আলোচনা চলবে, যেখানে রাজনৈতিক নাটক আর উন্নয়নের সমাজতন্ত্রের মেলবন্ধন ঘটছে। তাহলে কি এবার জয়ের দীপাবলি দেখা যাবে, নাকি রাজনীতির আঁধারে আরও অন্ধকার নেমে আসবে? নাটকীয়তার আবরণে জনতার সত্যের প্রতিফলন প্রতীক্ষায়।

“যুবকের রহস্যময় মৃত্যু: সিঙুরের রাজনীতিতে আবারও প্রশ্নের ঝড়, সরকারের দায়িত্বের সঙ্কট তুলে ধরা!”
ঘটনার মাঝে রাজনৈতিক নাটকের এক নতুন পর্বে, যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুতে সিঙুরের সিডরবিভাগে প্রশাসনের অনীহা স্পষ্ট। গলায় কাটা দাগের চিহ্ন বলতে কি বোঝায়—আবর্জনার ভিতরে মানবিকতার ক্রমহাসন? পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ, কিন্তু সমাজের অসুখের তীব্রতা কি স্থানান্তরিত করবে এক অন্য রূপে? কবে থামবে এই অদেখা পঙক্তির খেলা?

“যান নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে পুজোর ধ্বংসাত্মক শব্দবাজিতে সরকারের কড়া অপারেশন – সমাজের শান্তি, কোথায়?”
শহরের রাস্তার যান নিয়ন্ত্রণের কথা উঠেছে যেন পুজোর আনন্দ নষ্ট না হয়, কিন্তু বাস্তবে কি এ সব ‘নিয়ন্ত্রণ’ আর ‘আইন’ জনগণের নিরাপত্তা, নাকি রাজনৈতিক নাটকের লেবাস? ছোট লরির শব্দবাজি, প্রশাসনের উদ্দেশ্যহীন সতর্কতা—এসব কি কেবল আবহমানের খেলা, যেখানে রাজনীতির বায়োস্কোপ দেখানো হয়, আর সাধারণ মানুষ শুধুই দর্শক?

“তৃণমূলের বস্ত্রদান: নেতা ও বিডিওর মুখোমুখি চিত্রের মাঝে সমাজের বাস্তবতাও কি ফুটে উঠছে?”
তৃণমূলের বস্ত্রদান কর্মসূচিতে বিডিওর উপস্থিতি যেন এক নিকৃষ্ট নাটক, যেখানে শীতল পোশাকের মধ্য দিয়ে অভিনয় হচ্ছে জনগণের বোকামির। সুশৃঙ্খল শাসনের উদাহরণ হিসেবে হাজির হলেও, আসলে এ সব কিছুই তথাকথিত 'সমাজসেবা'র আড়ালে রাজনৈতিক স্বার্থের গন্ধ। জনতার দরদ দেখানোর কোলাহলে, আদর্শের স্তম্ভগুলো কেমন করে তার ভিত্তি খুঁজছে, তারই প্রতিফলন।