মুখ্যমন্ত্রী
মমতার অক্সফোর্ড সফরের প্রস্তুতি, উপনির্বাচনের ফলাফলের পূর্বে রাজনৈতিক গল্পে নতুন মোড়!
কদিন পরেই ৬টি উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে, তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের প্রস্তুতি। অক্সফোর্ডের স্মারক বক্তৃতায় অংশ নিতে চাওয়া, কিন্তু জনগণের সমস্যা নিয়ে ভাবনা রক্ষার সময় কোথায়? আমাদের রাজনীতির অংকে যেন নেতাদের ব্যস্ততার মধ্যে আমৃত্যু আত্ম-উলনবনে সমাজের বাস্তবতা পড়ে থাকে, গূঢ় অন্তর্দৃষ্টি মনে করিয়ে দেয়—শাসনের নাট্যরূপ কখনো শেষ হয় না।
মমতার উত্তরবঙ্গ সফরে ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি; উপনির্বাচনে শাসকের আবেদন: জনগণের আসল মুখচ্ছবি কী?
উত্তরবঙ্গের পল্লিগ্রামগুলো এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদধ্বনিতে মগ্ন, যিনি ১৩ নভেম্বরের উপনির্বাচনে জনতার মন জয় করতে সদা প্রস্তুত। কিন্তু এই কার্যক্রমের মাঝে তার আবেদন যেন রাজনৈতিক নাটকের এক বিস্তৃত স্ক্রিপ্ট। নির্বাচনের ফলাফল ২৩ নভেম্বর প্রকাশ হবে, সেইসঙ্গে গণমানুষের আশা আর হতাশার ঝিলমিল। কি নির্মম! নির্বাচনী তপ্ত বাতাসে তার বার্তা যেন প্রতিশ্রুতির মায়াজাল, যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লড়াইয়ের আকুতিও ভাসমান। কতটুকু পরিবর্তন আসবে এই সাধনার মাধ্যমে? কষ্টে লেখার সময়ে, আমাদের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে বন্দী থাকা কি সত্যিই নতুন পথের সূচনা?
মুখ্যমন্ত্রীর রাতভর নবান্নে কাটানোর মানে কী? নেতৃত্বের নাটক নাকি জনগণের সংকটের অদ্ভুত সভ্যতা?
মুখ্যমন্ত্রীর বদান্যতায় অপরাহ্নের আলোয় নবান্নে কাটানো সময় যেন সূচিত করছে নতুন এক নাটকের। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ ও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গী হয়ে তিনি জনতার প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার করছেন, অথচ কি বিচিত্র সেই আশার জাল—ভাড়া করা সুরে কি সত্যিই দোলা খাবে সমাজের হৃদয়?