মিডিয়ার ভূমিকা
মুখ্যমন্ত্রীর রাতভর নবান্নে কাটানোর মানে কী? নেতৃত্বের নাটক নাকি জনগণের সংকটের অদ্ভুত সভ্যতা?
মুখ্যমন্ত্রীর বদান্যতায় অপরাহ্নের আলোয় নবান্নে কাটানো সময় যেন সূচিত করছে নতুন এক নাটকের। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ ও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গী হয়ে তিনি জনতার প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার করছেন, অথচ কি বিচিত্র সেই আশার জাল—ভাড়া করা সুরে কি সত্যিই দোলা খাবে সমাজের হৃদয়?
“গরুমারার বনবাংলো বন্ধ: অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে শাসনের অদক্ষতা ও পর্যটন মরসুমের সংকটের প্রতিবন্ধকতা”
এখন ভরা পর্যটনের সাজশোভা, অথচ বনবাংলো গুলি অগ্নিদূষণের অলীকতায় বন্ধ, যেন শাসকের হাতে দেয়ালচিত্র! বর্ষার অজুহাতে বন্ধ থাকা বাংলো এখন দগ্ধ আশঙ্কার প্রতীক, যেখানে সরকারের অগ্নিনির্বাপণের স্বপ্ন আরেকটি কাল্পনিক গল্প। কর্মকা-হীন সরকার আর জনগণের হতাশা যেন এক অপার্থিব নাটকের সূচনা!
“ঘূর্ণিঝড় দানার দোহায়, শাসকদের দুর্বলতা: প্রবাহের পরিবর্তনে বদলে যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্র”
শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ধানার কেন্দ্রে প্রবেশের পর, তার গতিপথ বদলে ধীরে ধীরে শক্তি হারানোর মতো দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটও যেন অদ্ভুত টানে চলছে। নেতাদের কর্মক্ষমতা আর জনগণের আশা দুটোই ঝড়ের মতো কাঁপছে, পক্ষে বিপক্ষে সবই যেন প্রলয়ে পরিণত হচ্ছে। পশ্চিমা বাতাসের প্রভাবে জলীয় বাস্পের ঢেউ দক্ষিণবঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে, ঠিক যেমন ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক সংকট; পরিস্থিতির চাপে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোও হয়তো পাত্তা পাচ্ছে না। এরই মধ্যে মিডিয়া যেন উৎসবের দোলনায়, খুঁজে বেড়াচ্ছে স্রোত বাঁচানোর জন্য নতুন নতুন কৌশল, অথচ সাধারণ মানুষের জীবন কিভাবে ভাসছে তা কেউ কল্পনাও করছে না।
বিমানবন্দরে জঙ্গি সন্দেহে তল্লাশি, নিরাপত্তার ঢাল—নেতৃবৃন্দের দায়িত্বহীনতা কি আমাদের জীবনের বোমা?
বিমানগুলোর হেলত্রাস নিয়ে যখন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনী ছুটে আসে, তখন সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে—আসলে কী সুরক্ষা? এই নাটকীয়তায়, বিদ্রুপের ছলনা হয়ে উঠেছে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতা-দর্শন। শেষ পর্যন্ত, পাওয়া যায় শুধুই শূন্যতা, কিন্তু নিরাপত্তার নাটক তো চলছেই। সমাজের দৃষ্টিতে, রাজনীতির ষড়যন্ত্রে হয়তো আমাদের হাসির পাত্র বানিয়ে রেখেছে।
“জ্যোতিপ্রিয় मল্লিকের গ্রেফতারে নতুন পরকীয়া চক্রান্তের রহস্য, নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়ব্রতের দ্বন্দ্বে রাজনীতির নাটকীয়তা”
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারের পর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরকীয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। নন্দিনীর স্বামী জয়ব্রত অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, যেন রাজনৈতিক অঙ্গনে আবেগের রাজনীতি ও ব্যক্তিগত জীবন অঙ্গীভূত হয়ে একটি নাটকীয় কাহিনী তৈরি হয়েছে। আসলে, এই ঘটনাগুলি নেতৃত্বের সামর্থ্য, সামাজিক মূল্যবোধ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিচ্ছবির প্রতি এক গভীর প্রশ্ন তোলে। আমাদের সময়ের রাজনীতির অসারতা, যেন রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে প্রতিফলিত মানবিক নিষ্ঠুরতার চিত্রকল্প।
নাবালিকার নিখোঁজ: সমাজের অন্ধকারে কাকু-মেয়ের রহস্য, রাজনীতির নীতিতে প্রশ্ন তুলে দিল।
এ যেন সময়ের পাখির ডানায় রক্ত, যখন এক নাবালিকা নিখোঁজের খবর শোনে সমাজ। পরিচিত এক কাকুর সঙ্গে খাবার কিনতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির সন্ধানে পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়লেও সমাজ তখনও গুরুতর প্রশ্নের মুখোমুখি—কোথায় গেল সেই দায়িত্ব? নেতাদের প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কথার খোরাক? বিবেকের দায় কখন পাবো আমরা?
হাওড়ার রেশন ডিলারের বাড়িতে ইডি তল্লাশি: রাজনৈতিক খেলার নতুন অধ্যায়ে জনগণের আগ্রহ বৃদ্ধি!
হাওড়ার পাঁচলায় রেশন ডিলার লোকনাথ সাহার বাড়িতে ইডির তল্লাশি যেন এক সমাজ-রাজনীতির নাটক, যেখানে নেতাদের সেঞ্চুরির মতো অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা প্রমাণিত হয়। এ যেন প্রশ্নবিদ্ধ শাসনের কাহিনি, যেখানে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের সাথে খেলা চলে স্রষ্টার টানে, আর ওঠে সমাজের গতিশীলতার নোঙরের আছড়ে।
“শাসনের ঝোড়ো হাওয়ায় কেমন টালমাটাল! ঘূর্ণিঝড়ের গতি সামনে রেখে রাজনীতির নাটকীয় পাল্টান”
ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার প্রান্তে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল, যেন আমাদের প্রাক্তন নেতাদের প্রতিশ্রুতির টর্নেডো। শতকোটি বাজেটের সরকারের তাণ্ডব, এবং এই ঝড়ের মুহূর্তে গণমানুষের কল্যাণ উধাও। বাতাসের গতিবেগ যতটা প্রচণ্ড, ততটাই যেন আমাদের রাজনীতিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রতারণা; সত্য কবে উন্মোচিত হবে?
কোনো ঝড়ের চেয়ে বড়ো রাজনৈতিক ঝড়! কলকাতা পুরসভার কমিশনারের সাত সকালে বৈঠক, গাছ পড়ে সরকারের কান্না!
কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈনের গত রাতের বৈঠক যেন বিপদের ঘনঘটা নিয়ে বিস্তৃত একটি নাটক। ঘূর্ণিঝড় দানা, যে শুধু গাছ মাটিতে ফেলে দেয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দুর্বলতাও প্রকাশ করে। অফিসারদের বিদ্যুতায়িত সংলাপের মধ্যে হাস্যকর এক চিত্র- ক্রেন, হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে রাজনীতি চলছে যেন। গাছের বৃক্ষরাজি ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে, কর্মতৎপরতা এবং জনতার নিরাপত্তার প্রশ্ন গোপনে চাপা পড়ে যাচ্ছে। আর সেইসঙ্গে, নেতাদের মধ্যে ব্যস্ততা যেন অসেটিকের রজত ছায়া, জনতার আশা-আবেগও কি কোথাও বাশির সুরে হারিয়ে যাচ্ছে?