মিডিয়ার ভূমিকা

পতি-বন্ধুরা প্রকাশ্যে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, পুলিশের তল্লাশি জারি!
এক গৃহবধূর পুড়ে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনা আবারো সমাজের অন্ধকার দিক উন্মোচন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কতটা ব্যর্থ আমরা, যখন একটি নারী প্রকাশ্যে দগ্ধ হন স্বামী ও বন্ধুদের হাতে! এ কাহিনী যেন গল্প-কথার রঙিন টেলিভিশন পর্দায়, কিন্তু বাস্তবে আমাদের সমাজের গভীর অস্থিরতার চিত্র হাজির করছে। প্রশাসনের তৎবিরোধক মুল্যায়ন কি কখনো হবে?

কলকাতা টেক পার্ক: পূর্ব ভারতের বৃহত্তম আইটি পার্কের উন্নয়ন কি নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দেবে?
কলকাতা টেক পার্কের ১.৪৯ মিলিয়ন বর্গফুটের প্রান্তরে এখন প্রযুক্তির অগ্রগতির চেয়ে রাজনৈতিক মেরুকরণের আলোচনাই বেশি। আধুনিকতার প্রতীক এই পার্ক, যেখানে উদ্ভাবনী চিন্তা নাটকের নায়ক, অথচ নেতারা সমাজের প্রকৃত চাহিদাকে অবহেলা করে যাচ্ছেন। অদ্ভুত এখানেও, মিডিয়া প্রতিফলিত করছে উনতি আর অবনতির পাশাপাশি, যে সরল মানুষের কণ্ঠস্বর হারিয়ে যাচ্ছে উচুঁ সুমদ্রের মাঝে।

সিদ্দিকুল্লাহর মন্তব্য: জমিয়তের প্রশংসা, ফিরহাদ হাকিমকে খোঁচা – ওয়াকফ ইস্যুতে নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা!
সিদ্দিকুল্লাহর মুখে ওয়াকফ ইস্যুতে জমিয়তের প্রশংসা আর ফিরহাদ হাকিমকে খোঁচা, যেন বর্তমান রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চের এক অভিনব কাহিনী। এখানে গভীর সংকট আর শক্তিশালী নেতৃত্বের অভাব, দুইই যেন মিলেমিশে একটি আকাঙক্ষা সৃষ্টির বিলম্বিত সূচনা। জনগণের ভাবনা, সরকারের কর্মকাণ্ড ও নেতাদের পরিচালনা, এই সব কিছুর মাঝেই এখন প্রবাহিত হচ্ছে অসম্পূর্ণতার সুর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে কি বোঝালেন একা অভিষেক, তৃণমূলের নেতৃত্বের আসল চেহারা কি প্রকাশ পেল?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান যেন এক গড়পড়তা রাজনীতির মহাকাব্য, যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লান্ত কণ্ঠস্বর অচিরেই নিদর্শন করে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভাঁড়ামি। ঝাড়খণ্ড থেকে ফিরে এসে কলকাতায় তিনি কেমন করে ‘বস’ শরীরে বার্তা দেন, তা বুঝতে কি সমাজের শৃঙ্খলাগুলো উন্মুক্ত হচ্ছে না? সঙ্গীতের মন্ত্রে বিভোর, সেই কর্তৃত্বের মায়াজাল ভাঙা হয় কি?

“আলুর দাম বৃদ্ধির পেছনে পাঞ্জাব নির্ভরতাঃ বাংলায় বীজ উৎপাদনে নতুন উদ্যোগ ও রাজনৈতিক আলোচনা”
বাংলার কৃষির স্বনির্ভরতার গর্বে ভাসতে হলেও, আলুর বীজের জন্য পঞ্জাবের শরণাপন্ন হওয়ার দুঃখজনক সত্য আমাদের সামনে। বিধানসভায় যখন দাম বৃদ্ধির প্রশ্ন তুলে হতাশার স্তব্ধতা গড়াচ্ছিল, তখন সরকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে নিজস্ব বীজ উৎপাদনের। এই সদিচ্ছার মূলে কী আত্মবিশ্বাস, নাকি রাজনৈতিক আপ্তবাক্য? সময়ের দাবি কি প্রকৃত স্বাধীনতার, নাকি মাত্র হোঁচট খাওয়া আত্মমর্যাদার?

“পুরসভার উন্নয়নে নতুন উচ্চতা: কলকাতা-হাওড়া-শিলিগুড়িতে ক্রেশ তৈরির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত!”
পুলিশ ও প্রশাসনিক কৌশলে কলকাতা সহ সাতটি পুরসভায় ক্রেশ তৈরি করা হবে, এর মধ্য দিয়েই যেন বারবার শাসন ব্যবস্থা তাদের ওপর ভরসা করে চলছে। নেতাদের যুক্তি আর প্রশাসনের বিবৃতির মাঝে এক বিসদৃশ বিভক্তি তৈরি হয়েছে; যেন সরকার শুধুই বাস্তবতার ছদ্মবেশে আড়াল করতে চায় নাগরিকের মৌলিক চাহিদা। প্রশাসনের সভাগৃহে বৈঠকগুলো মানুষকে কতটা সুরক্ষা দেবে, তা নিয়ে তর্ক চলছে; মনে হচ্ছে, শাসনের গলপলির মধ্যে জনগণের আওয়াজ চাপা পড়ছে।

মহিলা চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডে মমতার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়ারকে বলির পাঁঠা বানানোর অভিযোগ!
রাজ্যে নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নে গভীর অন্ধকার। চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পিতামাতা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরছেন, যেন রাজ্যসভার চেহারা বদলে যাচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ারকে বলির পাঁঠা বানানোর মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা থেকে পালানোর চেষ্টা, রাজনৈতিক নাটকে গুণধরির চেয়ে, সমাজের আসল সংকটগুলোকে উন্মোচন করছে।

দুই ভাইয়ের মধ্যে খাবারের টানাপোড়েনে উল্লিখিত দারিদ্র্যের চিত্র, সমাজে চলমান অরাজকতার প্রতিফলন!
কী আশ্চর্য, একটি পরিবারের মধ্যে খাবারের জন্য এমন মারামারি—প্রতীক সাম্প্রতিক সমাজের! দুই ভাইয়ের হিংসা-শত্রুতা যেন নেতাদের মধ্যে পাওয়া যায়, যেখানে স্বার্থের জন্যই অপরের সুখ কেড়ে নেয়া হয়। সরকারের মৌনতা, নাগরিকের অভাব, স্তব্ধ চিরস্থায়ী নৈতিকতা; সবকিছু যেন এক জালে জড়ানো। এ দৃশ্যের পেছনে কি শুধুই খিদের অলৌকিকতা, না কি একটি বৃহত্তর সামাজিক সমস্যা? জনগণের মৌলিক অধিকার নিয়ে আবারো ভেবে দেখা প্রয়োজন।

“শীতকালে সুন্দরবনে রাজনীতির ছায়া: বাঘের প্রভাব ও কুমিরের চুপচাপ, কী বলছে জনমানসে?”
শীতকাল এসে গেছে, কিন্তু সুন্দরবনের শোভা যেন সমাজের কুমীরের মতো, বাহিরে রোদ পোহাচ্ছে, অথচ গভীরে অন্ধকার। রাজনীতির বাঘগুলো ম্যানগ্রোভের আড়ালে চুপচাপ প্রহর গুনছে, যেন ক্ষমতার রম্যরূপে হাস্যরস ছড়াচ্ছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার খেলা এবার নতুন পর্যায়ে, তবে নেতাদের অঙ্গভঙ্গিতে মন্থরতা যেন মাটির ঘরেই পড়মান।

ফারুক মণ্ডলের গ্রেফতার: রাজনীতির অন্ধকারে প্রশ্নবিদ্ধ নেতৃত্ব ও সমাজের হতাশা বেড়ে চলেছে
ফারুক মণ্ডল আবারও সন্দেহের সংকীর্ণ পথে। পুলিশ যখন তাকে গ্রেফতার করে, তখন তাঁর মুখ থেকে বের হয়ে আসে নানা প্রশ্ন, খাদ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক বিষয়গুলো যখন তরল রাজনীতির উৎসব। সমাজের পরিবর্তনশীল গতি কি সত্যিই নেতাদের জন্য দায়বদ্ধতা বাড়াতে পারে, নাকি এভাবেই চলে অকাল গ্রেফতারির নাটক?