মানবিকতা

মমতার অভিনন্দন রাজ্য পুলিশের, নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি সমর্থন, রাজনীতিতে নতুন আলোচনা ও ভাবনা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনন্দন বার্তায় রাজ্য পুলিশের কাজের প্রশংসা, অথচ মানবিক দিকগুলো যেন চাপা পড়ছে। বিচারপ্রক্রিয়া ও নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বক্তৃতায় রাজনীতির খেলায় কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সাহসী উদ্যোক্তা। আমরা কি আসলেই পরিবর্তনের পথ যাত্রা করছি, নাকি কেবল কথার ফুলঝুরি?

মুর্শিদাবাদে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি
মুর্শিদাবাদের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে, যিনি হয়তো সমাজের অভিজাতদের সুরক্ষা তৈরির ফাঁক গলে উদ্যোগ আর নৈতিকতার দায়িত্ব পালনে অক্ষম। মানবিকতার এ পরিণতি কি শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির আঁতুড়ঘরে লুকিয়ে থাকা সিস্টেমের প্রতি এক নির্মম প্রতিফলন? নেতাদের উচ্চাভিলাষী সংলাপ কি আদতে জনগণের দুর্দশার সাথে নাচের এক অদ্ভুত সমীকরণ?

পঞ্চগড়ে সীমান্ত পেরিয়ে আসা নাবালিকা: রাজনৈতিক বিতর্ক ও মানবিক সংকটের নতুন অধ্যায়
বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের একটি নাবালিকা পায়ের জোরে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে, বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। এই ঘটনায় সরকারের সীমান্ত নিরাপত্তার প্রতি প্রশ্ন উঠছে, যেন নেতাদের প্রতিজ্ঞা, আদর্শের পিছনে খোঁজার মতো। সমাজের দুর্দশা আর নাবালিকার নিরাপত্তাহীনতা যেন রাজনীতির নির্বিকার মুখোশের আড়ালে মায়ার জন্ম দেয়।

খাগড়াছড়িতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে মিছিলে মৌলবাদীদের হুমকি, সমাজে তোলপাড় সৃষ্টি
সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠে; কিন্তু এর পর থেকে মহিলার খুন হওয়া ছেলেকে মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ যেন রাজনৈতিক নাটক, যেখানে সমাজের মানবিকতা প্রশ্নবিদ্ধ, আর নেতাদের সদম্ভতা সত্যের মতো। নৈতিক দেউলিয়াতো সমাজের মাটিতেও আছড়ে পড়ছে।

“মানবতার কথা বললেন চিকিৎসক: শত্রুর চিকিৎসা করাকেই ধর্ম বলে মনে করছেন তাঁরা”
সম্প্রতিকালে, চিকিৎসকের অমোঘ ধর্ম নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে শত্রুরও চিকিৎসা করতে হবে—এটাই মানবতার পরিচয়। তবে প্রশ্ন হলো, রাজনীতির সবখানে কি এই মানবতা বাতাসে ভাসছে? শাসকদের অতি মানুষের মুখোশ খুলে গেলে, সমস্যা ও লক্ষ্যবিহীন নীতিতে আমাদের সমাজের 'শত্রুর' চিকিৎসা কবে হবে? সভ্যতার এই দ্বন্দ্বে, মানবিকতার দিকে আমাদের চোখ কি সবসময় খোলা থাকে?

মুর্শিদাবাদে সংঘর্ষের জেরে ইন্টারনেট বন্ধ: ১৭ জন গ্রেফতার, সমাজে অশান্তির স্রোত বয়ে চলছে!
বাংলার বেলডাঙায় সংঘর্ষের মধ্যে মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে মানবিকতা, প্রশাসনের ইন্টারনেট বন্ধের অন্ধকারে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতার ফলস্বরূপ, হিংসা ও আতঙ্কের খেলায় ১৭ জন গ্রেফতার, কিন্তু শান্তির বার্তা কোথায়? সমাজের প্রতিচ্ছবি এমনকি প্রযুক্তির জালে বন্দী হয়ে উঠছে, ভাবুন, কোথায় গেল শান্তির গান?

বাকিবুর রহমানের দুবাই যাত্রায় জামিন ইডির বিরোধিতার মাঝে রেশন দুর্নীতির প্রতি জনমানসে উত্তেজনা বৃদ্ধি!
মানুষ বাঁচানো জরুরি, অথচ দুর্নীতির বলির পাঠা বাকিবুর রহমান দুবাই যাওয়ার আবেদন করছেন! ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাঁর জামিনের খোঁজে, যদিও ইডির আপত্তি আছে। রাজনৈতিক নাটক যেন গরমিলের চোরাবালি, যেখানে মানবিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে নিজেদের স্বার্থের রাষ্ট্রীয় সিংহাসন।

“বলিউডের পর্দার পেছনে: অভিনেতাদের সংঘর্ষ কি সত্যিই আমাদের বিনোদনকে চিহ্নিত করে?”
বলিউডের মঞ্চে আবার উত্তাপ, "তাড়ক মেহতা" খ্যাত দিলীপ জোশির আর প্রযোজক আসিত মোদির মধ্যে সংঘাত। আগস্ট ২০২৪-এ ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি ছুটি নিয়ে টানাপড়েন থেকে শুরু, যেখানে জোশি অভিযোগ করেন, মোদি তাঁকে অবহেলা করেছেন। ঢাকা-ছোঁয়া রক্ত বয়ে যাওয়া এই বিতর্কের মাঝে অভিনেতাদের মধ্যে সম্পর্কের চাপে মানবিকতার অবক্ষয়ের আঁচ দেখা যাচ্ছে। টানা বিতর্কে ভরা এই শোতে যাচাই করতে হবে, আসলেই কি শিল্পীরা কেবল বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু, নাকি তারা নিজেদের অধিকারের জন্যও লড়াই করে চলেছেন?

“দরিদ্রের চাপে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসায় টোটোয় কলকাতার পথে, সরকার কি সচেতনতার অন্তরালে?”
উপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি টোটো চালিয়ে সংসার চালান, অসুস্থ স্ত্রী শিবানীকে কলকাতায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তাও আবার অ্যাম্বুলেন্স জোগাড়ের অভাবে। এ যেন রাজনীতির বাঁধনহীন অস্থিতিশীলতার সঙ্গী অসহায়তার প্রতীক; যেখানে সাধারণ মানুষের সহজ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন বরাবরই এক নগর কাব্যের মতো। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কাক্সিক্ষত উন্নয়ন তো বোধ হয় অন্য জগতের গল্প, কিন্তু এই মানুষগুলোর সংগ্রাম যেন আমাদের মানবিক জীবনের আসল গল্প।

“বাংলা পক্ষের ক্লাসে আইসিসের নৃশংস ভিডিয়ো: রাজনীতির অন্ধকারে মানবতার গলতি!”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা পক্ষের ক্লাসে আইসিসের নৃশংস ভিডিও প্রদর্শনের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গণে আগুন লেগেছে। সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন অশুভ প্রদর্শন সম্ভব। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের সমাজের তলানিতে লুকানো অমানবিকতা এবং শাসক দলের দায়িত্ববোধ নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে হারিয়ে গেছে মানবিক মুল্যবোধের চিহ্ন।