মানবিকতা
“বলিউডের পর্দার পেছনে: অভিনেতাদের সংঘর্ষ কি সত্যিই আমাদের বিনোদনকে চিহ্নিত করে?”
বলিউডের মঞ্চে আবার উত্তাপ, "তাড়ক মেহতা" খ্যাত দিলীপ জোশির আর প্রযোজক আসিত মোদির মধ্যে সংঘাত। আগস্ট ২০২৪-এ ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি ছুটি নিয়ে টানাপড়েন থেকে শুরু, যেখানে জোশি অভিযোগ করেন, মোদি তাঁকে অবহেলা করেছেন। ঢাকা-ছোঁয়া রক্ত বয়ে যাওয়া এই বিতর্কের মাঝে অভিনেতাদের মধ্যে সম্পর্কের চাপে মানবিকতার অবক্ষয়ের আঁচ দেখা যাচ্ছে। টানা বিতর্কে ভরা এই শোতে যাচাই করতে হবে, আসলেই কি শিল্পীরা কেবল বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু, নাকি তারা নিজেদের অধিকারের জন্যও লড়াই করে চলেছেন?
“দরিদ্রের চাপে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসায় টোটোয় কলকাতার পথে, সরকার কি সচেতনতার অন্তরালে?”
উপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি টোটো চালিয়ে সংসার চালান, অসুস্থ স্ত্রী শিবানীকে কলকাতায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তাও আবার অ্যাম্বুলেন্স জোগাড়ের অভাবে। এ যেন রাজনীতির বাঁধনহীন অস্থিতিশীলতার সঙ্গী অসহায়তার প্রতীক; যেখানে সাধারণ মানুষের সহজ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন বরাবরই এক নগর কাব্যের মতো। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কাক্সিক্ষত উন্নয়ন তো বোধ হয় অন্য জগতের গল্প, কিন্তু এই মানুষগুলোর সংগ্রাম যেন আমাদের মানবিক জীবনের আসল গল্প।
“বাংলা পক্ষের ক্লাসে আইসিসের নৃশংস ভিডিয়ো: রাজনীতির অন্ধকারে মানবতার গলতি!”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা পক্ষের ক্লাসে আইসিসের নৃশংস ভিডিও প্রদর্শনের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গণে আগুন লেগেছে। সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন অশুভ প্রদর্শন সম্ভব। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের সমাজের তলানিতে লুকানো অমানবিকতা এবং শাসক দলের দায়িত্ববোধ নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে হারিয়ে গেছে মানবিক মুল্যবোধের চিহ্ন।
“রাজনৈতিক নৈঃশব্দ্যের বিরুদ্ধে তরুণীর মৃত্যু: পরিবার ও সমাজের অভিমানে গভীর সঙ্গতি”
রাজনীতি আজ যেন এক অদ্ভুত নাটক, যেখানে সম্পর্কের অবসান হয় নিখোঁজের রহস্যে। কালনা শহরের রেল লাইনের পাশে এক তরুণীর দেহ পাওয়া গেল, আর প্রশ্ন উঠছে—কতটা সুরক্ষিত আমাদের সমাজ? সরকারী ব্যবস্থা কী শুধুই শব্দের জাদু, না বাস্তবের কঠিন সত্যি? পরিবার ও পুলিশের এই গুঞ্জনে, কি বদলাতে পারে আমাদের মানবিকতা?
“সলনশীল সোনু, থাইল্যান্ডের পর্যটনের শুভেচ্ছা দূত, বলিউডের নতুন অধ্যায়ে মানবতার মূর্ত প্রতীক!”
সল্ট ও সোনূয়ের কোনও সময় সেলিব্রিটি হওয়া উচিত নয়, যদি তারা সৎভাবে সমাজের জন্য কাজ না করে। সোনু সূদ, যিনি আন্তর্জাতিক মানবিকতার জন্য পরিচিত, এখন থাইল্যান্ডের পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁর নতুন ভূমিকা বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলা তার মানবতার কাজের সাথে যুক্ত। শীঘ্রই, তাঁর চলচ্চিত্রের পরিচালনা প্রতীক্ষিত; সুতরাং, বলা চলে, সিনেমার দুনিয়ায় সোনুর আত্মমর্যাদা আরেকটি ধাপে পৌঁছেছে, পাশাপাশি মানবিকতা ও শিল্পের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করছে।
সিপিএম-এর ভিডিও বিব্রত কাণ্ড: ধর্ষণ-খুনে সঞ্জয় রায়, ধনঞ্জয়ের বিতর্কে নেটপাড়ায় উঠে এল শাসনের আসল রূপ!
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিড়ম্বনা সিপিএমের কাছে যেন এক নয়া নাটক বেঁধেছে। নেটপাড়ায় এখন ধনঞ্জয়ের প্রসঙ্গ, যা মনে করায়—রাজনীতির অশান্ত গঙ্গায় শুদ্ধতার খোঁজে আমরা কি সত্যিই হেঁটে চলেছি? নেতা-নেত্রীরাও কি ‘না’ বলে মানবিকতার সীমান্তে দাঁড়িয়ে, নিজেদের মুখপাত্র হিসেবে কিভাবে ভুলি সেই উন্মাদনার?
বধূর অভিযোগ: প্রশাসনিক নৈরাজ্যে স্বামীর অনুরোধ, থানার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ!
নববধূর অভিযোগে পুলিশি যাত্রা যেন শাসনের নাটকীয়তা। স্বামীর হাত ধরে থানায় থানায় ঘূর্ণন, কিভাবে সমাজের চোখে লজ্জা চাপা দেয়ার চেষ্টা চলে—এই তো, আমাদের রাজনৈতিক কূটনীতি! নেতারা জনতার কাতরচিৎকারে কেমন চুপ, দেখে যায়। গহনের মতো ক্ষুদ্র ঘটনাগুলোও প্রতিফলিত করে বৃহত্তর অবক্ষয়ের চিত্র।
অমিত শাহর সঙ্গে দেখা না করে নির্যাতিত চিকিৎসকের পরিবারকে উপেক্ষা, কুণাল ঘোষের তীব্র সমালোচনা ও হতাশার সূচনা।
অমিত শাহ নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবামায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করলেন, আর তা নিয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষের তীব্র আক্রমণ, হতাশার অভিব্যক্তি যেন রাজনীতির চিরন্তন নাট্যাঙ্গনে এক নতুন গতি। নেতার শূন্যতা কতটা গভীরে পৌঁছেছে, তা বুঝতে রাজ্যের জনগণের সঙ্গে এক অব্যক্ত সংলাপ রচিত হচ্ছে, যেন ভদ্রলোকের রাজধানীতে মানবিকতার ন্যূনতম মানেরও অবক্ষয়।
“দর্শনার্থীর মৃত্যু: দার্জিলিং-এর সংবেদনশীলতা ও রাজনৈতিক শূন্যতার মাঝে অসঙ্গতির খোঁজ!”
দার্জিলিংয়ের পর্যটকের মৃত্যুর পর, প্রশ্ন উঠছে সরকারের মানবিকতার। পুলিশ জানিয়েছে, হৃদরোগে মৃত্যু হলেও স্থানীয় গোষ্ঠীর নেতারা যেন মায়া-মমতা ও কষ্টের অনেক দূরে—জিঞ্জারির মতো বেঁচে আছে। এটা কি নেতাদের অঙ্গীকারের অস্পষ্ট খণ্ডছবি, না জনগণের অবহেলা? সমাজের হৃদয়ে অসঙ্গতির ডানা, নাকি নীরবতার রহস্যময় কাহিনি?
“ভালোবাসার জালে মানবিক দ্বন্দ্ব: ‘We Are Faheem & Karun’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কাশ্মীরের হৃদয়ছোঁয়ার কাহিনী”
বয়সের সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে পরিচালক অনির নতুন ছবি "হইলাম ফাইম ও কারুন" একটি কঠিন প্রেমের গল্প নিয়ে আসছে, যা কাশ্মীরের গুরেজের প্রেক্ষাপটে মানবিক আবেগ ও ভৌগলিক সংঘাতের প্রভাবকে তুলে ধরছে। দীপা মেহতার সমর্থন নিয়ে এই সিনেমা প্রেম, বন্ধুত্ব ও মানবিকতাকে আবিষ্কার করে, যা বর্তমান পেক্ষাপটের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চলচ্চিত্রের সাদৃশ্য ও উর্দু ভাষার ব্যবহার আমাদের সমাজের জটিলতাগুলোকে গভীরভাবে আলোচিত করে, এবং অনির দক্ষ নির্মাণ শৈলী দিয়ে এটি দর্শকদের মনে স্থান করে নেবে।