মানবাধিকার
বোলপুরে পুলিশের নৃশংসতা; কিশোরের মূত্রনালি ফেটে হাসপাতালে ভর্তি, স্বজনদের অভিযোগ প্রশ্ন তুলেছে আইন শৃঙ্খলার।
বোলপুরের এক কিশোরের উপর পুলিশের পৈশাচিক অত্যাচার, যেখানে নীরব সরকার প্রাসাদের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে, সমাজ ব্যথিত—শুধু শাসকের খুঁত প্রকাশের নয়, বরং মানবিকতার মৃত্যুতে। চিকিৎসকেরা বলছেন, মূত্রনালির ক্ষত, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কার হাতে? সমাজে যে অসন্তোষ বেড়েই চলছে, তা যেন গোপাল বাগদির দাবির মতো, সুগোপনে রেখে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের অভিযোগ: দলের একাংশ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত, রাজনৈতিক টানাপড়েনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি
রিষড়ার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দলের অভ্যন্তরীণ অশান্তির কথা তুলে ধরে বলেছেন, কিছু ব্যক্তি বিজেপির ঘনিষ্ঠ হয়ে দলকে কলঙ্কিত করছেন। এ এক অদ্ভুত নাটক, যেখানে দলের রক্তের বন্ধনই হয়ে উঠছে বিশ্বাসঘাতকতার প্রেক্ষাপট। রাজনীতির এই পালাবদলে রাজনৈতিক গোধূলি মঞ্চায়নের এক দৃষ্টান্ত, সমাজের বিবেক যাকে সঙ্গী করে আনে।
নির্যাতিতার বাবার বিবৃতি: সঞ্জয়কে চিনতে না পারায় প্রশ্নে Governance ও বিচার ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা!
নির্যাতিতার বাবার মুখে সঞ্জয়কে চিনতে না পারার ঘটনাটি বিচারকের গম্ভীর আসনের নিচে যে কতটা অন্ধকারের আবরণ ফেলেছে, সে ভাবনা আমাদের আত্মাকে নাড়া দেয়। এর মধ্য দিয়ে গবর্নেন্সের অক্ষমতা, নেতাদের দায়বদ্ধতা আর সমাজের এ বিপন্ন দশা প্রতিফলিত হয়। রাজনৈতিক নাটকের এসব ক্রীড়ানক, একদিকে জনগণের যন্ত্রণা, অন্যদিকে ক্ষমতার খেলার সীমাহীন হাস্যরস, যেন পুরো প্রেক্ষাপটটাই এক ভোঁতা কৌতুক।
“বাংলাদেশে নিরীহ হিন্দুদের ওপর হামলা: শুভেন্দুর বিচারে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন!”
বাংলাদেশের হিন্দু সমাজে ঘটে যাওয়া recent হামলা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উত্তাপ বাড়ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী নিরস্ত্র নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা চালিয়েছে, যা কেবল রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, বরং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট উদাহরণ। এই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে মূলত রাষ্ট্রের ক্ষমতার অন্ধাতাসময় মানবিকতার দিশাহীনতার যন্ত্রণায় সমাজ বরাবরই কাটাকাটি হচ্ছে, অথচ আমরা আশাহত মানুষের আবেগকে টিকিয়ে রাখতে পারিনি।
“বিএড কলেজের ভর্তিতে প্রশ্ন: কোন মানবিক চেতনার উৎস? এনসিটির নির্দেশিকা কেমনভাবে উপেক্ষিত?”
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬০০-৬৫০ টি বিএড কলেজের বাস্তবতা নিয়ে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভর্তি চলছে, অথচ পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। গণতন্ত্রের রঙিন অধিকার কেবল মুখের কথায়; বাস্তবে কেমন অদ্ভুত মোহেরা! শিক্ষার নামে কি চণ্ডালাচার?
পঞ্চায়েতের সালিশিতে নারী নির্যাতন: সম্পত্তির বিবাদে নেতৃত্বের দায়িত্বে প্রশ্ন, সমাজের চিত্রের অঙ্গবিকৃতি!
সম্পত্তির প্রশ্নে সালিশি সভায় নারীদের ওপর নির্যাতন, সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত মেম্বার রমজান মোল্লার নাম জড়ানো—এ তো এক অদ্ভুত পরিহাস! প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা পালন না করে স্থানীয় নেতাদের এই প্রহসন, সামাজিক নৈতিকতার চূড়ায় তোলা প্রশ্ন—আসলে আমরা কেমন নেতৃত্ব চাই? যেখানে সালিশирাই মানবাধিকারের অবক্ষয়, সেখানে রাজনৈতিক আদর্শের খেয়ে ফেলে দেওয়া কথাধিকারের বাণী শুনতে শুনতে আমরা এক গভীর নীরবতার মধ্যে আটকে যাচ্ছি।
নারীশক্তির আরাধনায় ধর্মীয় বিসর্জনে মদের আক্রমণ: সমাজের চিত্র বোঝাতে বাধ্য রাষ্ট্রীয় সৃষ্টির নতুন স্রোত?
বাংলার এই দৃশ্যে নারীশক্তির আরাধনা আর বিড়ম্বনার মিশেল—একদিকে শোভাযাত্রায় মহিলার গায়ে মদ ঢালার ঘটনা, অন্যদিকে বৃহত্তর সমাজের চোখে রাজনীতির ক্লীবতা। কি আশ্চর্য, নারীর আবেগের বন্দনা করতে গিয়ে, সুবাসিত সংসারের ঐতিহ্য ভেঙে পড়ছে। সেখানেই কি সত্তার শক্তি আর স্বাধীকারের পরিমাণ নির্ভর করে?
এমন বিরোধ যখন পুলিশের পদে হুমকি, মহিলা এসআই’র ধরনায় শাসকদের অসহায়ত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে!
নাদিয়াল থানায় ওসি ও এসআই সোমা তরফদারের মধ্যে চরম মনোমালিন্য, প্রশাসনিক অসহিষ্ণুতার এক নতুন চিত্র তুলে ধরেছে। দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সেই মহিলা এসআই যখন ধরনায় বসেন, তখন মনে হয়, শাসন ব্যবস্থার কোঠাদৃষ্টির ঘরছাড়া অবস্থা আমাদের গণতন্ত্রের ঘৃণ্য রূপটাকেই ফুটিয়ে তোলে। নেতাদের উদাসীনতায় জনসাধারণের সংকোচ প্রকাশ পাচ্ছে, আসলে কে কার জন্য?
নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ: সমাজের অন্ধকারে সঠিক governance-এর অভাব কি আমাদের চিরকালীন নিয়তি?
বাংলাদেশের সমাজে আজকাল যা ঘটছে, তা দেখে মনে হয় যেন মনুষ্যত্বের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। নাবালিকার পরিবার অভিযোগ করেছে যে, প্রতিবেশী সুনীল রায়ের হাত থেকে নিঃশঙ্কন উচিত ছিল, কিন্ত সে তো স্রষ্টার মতোই হুমকি দিয়ে গেছে। কোথায় গেছে আইন, প্রশাসনের প্রহরী? প্রতিবাদ তো কেবল শব্দ, বাস্তবের শৃঙ্খল নয়। এ যেন আবারো প্রমাণিত হলো, সমাজ আর রাজনীতির অদৃশ্য দোলাচলে ন্যায় যেন চুপ করে সারা রাতের অন্ধকারে।