বিতর্ক
“বলিউডের পর্দার পেছনে: অভিনেতাদের সংঘর্ষ কি সত্যিই আমাদের বিনোদনকে চিহ্নিত করে?”
বলিউডের মঞ্চে আবার উত্তাপ, "তাড়ক মেহতা" খ্যাত দিলীপ জোশির আর প্রযোজক আসিত মোদির মধ্যে সংঘাত। আগস্ট ২০২৪-এ ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি ছুটি নিয়ে টানাপড়েন থেকে শুরু, যেখানে জোশি অভিযোগ করেন, মোদি তাঁকে অবহেলা করেছেন। ঢাকা-ছোঁয়া রক্ত বয়ে যাওয়া এই বিতর্কের মাঝে অভিনেতাদের মধ্যে সম্পর্কের চাপে মানবিকতার অবক্ষয়ের আঁচ দেখা যাচ্ছে। টানা বিতর্কে ভরা এই শোতে যাচাই করতে হবে, আসলেই কি শিল্পীরা কেবল বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু, নাকি তারা নিজেদের অধিকারের জন্যও লড়াই করে চলেছেন?
মুকেশ খান্নার ব্যঙ্গাত্মক স্বর: “অক্ষয় কুমার কেন রাজা হবেন, অভিনয়ের গতি তো থাকা চাই!”
বলিউডের সংসারে শিরোনাম কাড়ানো বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মুকেশ খন্নার বিতর্কিত মন্তব্য। সম্প্রতি তিনি অক্ষয় কুমারের ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’-এ অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন যে, শুধুমাত্র দাড়ি ও উইগ লাগিয়ে কেউ রাজা হতে পারে না। তার এই বক্তব্যে যেমন সমর্থন পেয়েছে, তেমনি তার বয়স নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মন্তব্য নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অভিনেতার অবস্থান এবং নতুন তারকাদের সাথে তুলনায় বৈরিতার এই পরিস্থিতি সিনেমা জগতে গুণগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে সমাজের আগ্রহের সাথে কাহিনীর গভীরতা অনুসরণে বাঁধা পড়ছে।
“শমীক ভট্টাচার্যের সৌভ্রাতৃত্বের ধর্মের বাণী: রাজনৈতিক পটভূমিতে সমাজের গভীর দ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবি”
রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ইসলামকে 'সৌভ্রাতৃত্বের ধর্ম' বলে অভিহিত করেই বুঝিয়ে দিলেন, রাজনীতির পঙক্তিতে ধর্মের রঙিন খেলায় স্বপ্ন ও বাস্তবতা উভয়ই খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মন্তব্যের পেছনে গভীরতা থাকে, কিন্তু রাজ্যের গমনে কতটুকু সৌম্যতা, তা ভাববার বিষয়। সমাজের মর্মে বিশৃঙ্খলার অলিগলি সত্ত্বেও, কি হবে এই সৌভ্রাতৃত্বের?
“বালlywoodের নখদন্তে সত্যের খেল: রূপালী, ইশা ও সুগন্ধী সম্পর্কের উত্থান-পতন!”
রূপালি গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর উঠছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে ঘিরে, যখন তাঁর সৎকন্যা ইষা Verma দাবি করেছেন যে রূপালি তাঁর বাবা ও মায়ের শয্যায় শয়ন করেছে। এই বিতর্ক কেবল ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমস্যাই নয়, বরং টেলিভিশনের পেশাদার কিছু দ্বন্দ্ব এবং অভিনেত্রীদের মধ্যে ক্ষমতার অসামঞ্জস্যতাকেও তুলে ধরে। যদিও অনুপমা ধারাবাহিকটি দর্শক টেনেই রেখেছে, তবুও এই ঘটনাগুলো আমাদের সমাজে শিল্পীদের প্রভাব এবং নিরাপত্তাহীনতার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে।
“সুকেশের প্রেমপত্র: বলিউডের ‘রামায়ণ’ বা একটি নতুন স্ক্যান্ডাল?”
নতুন ব্যবসায়িক লোভের স্রোতে বলিউডে প্রেমের কাহিনী যেন একটি কিংবদন্তির রূপ নেয়! দিল্লির মানডোলে হাজত থেকে লেখায় সুকেশ চন্দ্রশেখর অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে তাঁর 'সীতা' বলে সম্বোধন করেছেন। প্রেমের এই কাহিনীকে তিনি পুরাকাহিনীর সাথে তুলনা করে বলেন, তাঁর মুক্তি একটি 'বাড়ির প্রত্যাবর্তন' হবে। একদিকে আইনি লড়াইয়ের তীব্রতা, অন্যদিকে তাদের সম্পর্কের নাটকীয়তা - এটি বলিউডের সিনেমার চেয়েও বেশি নাটকীয় মনে হচ্ছে। এদিকে, সুকেশের বিতর্কিত উপহার দেওয়ার ঘোষণা এবং জ্যাকলিনের ফ্যাশন দুর্নাম বর্তমানে মিডিয়া মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেখানে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং অপরাধের স্পষ্টরূপে মিলন ঘটছে।
“চিকিৎসা রিপোর্ট নিয়ে টানাপড়েনে তৃণমূল, বঙ্গ রাজনীতির নাট্যমঞ্চে নতুন অধ্যায়!”
মঙ্গলবার, আরজি করের প্রিন্সিপাল সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসতেই চিকিৎসকদের প্রতি তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। আর যেন সমাজের স্বাস্থ্যকর রাজনীতির খোঁজে জনগণ অস্থির, প্রভূত বিতর্কের মধ্যে যেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চিকিৎসাব্যবস্থা, আর নেতাদের কথার ফুলঝুরির মধ্যেও সাধারণ মানুষের আশঙ্কা ক্রমশ আরও গভীর হচ্ছে।
“বন্দুকধারী ব্যবসার মাঝে পরিবেশের সুরক্ষা: টক্সিক ফিল্মের গাছকাটার কাহিনি”
বলিউডের সেলিব্রিটি কেজিএফ তারকা যশের নতুন সিনেমা টক্সিক নিয়ে বড় ধরণের বিতর্ক শুরু হয়েছে, কারণ প্রযোজকরা বেঙ্গালুরুর পেনিয়া এলাকায় ১০০টিরও বেশি গাছ কাটার অভিযোগের সম্মুখীন। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জানিয়েছন, এটি একটি গুরুতর অপরাধ এবং দীর্ঘকালীন বনভূমির একটি বড় অংশ বেআইনিভাবে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কেভিএন প্রোডাকশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে, দাবি করছে যে পুরো প্রক্রিয়াটিকে আইনসম্মত করা হয়েছে। যশের ফ্যানবেস সিনেমাটির প্রতি আগ্রহ বাড়ালেও, পরিবেশের সঙ্গে এই অতি-সিনেমাটিক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।