ফিরহাদ হাকিম
“মেয়রের ক্ষোভে কেঁপে উঠলো লালবাজার, সুশান্ত ঘটনার রাজনৈতিক নাটক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর চিত্র প্রকাশ পেল!”
কলকাতার পুরসভায় সুশান্ত ঘোষের ওপর হামলাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবে চিহ্নিত করার পেছনে গভীর রাজনৈতিক সদ্ভাবের অভাব ফুটে উঠছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের তীব্র প্রতিক্রিয়া এখন লালবাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেন ক্ষমতার এই খেলা বৈমাত্রেয়তা ও বিভেদকে নতুন রূপে হাজির করেছে। মমতার নিকটবর্তীরাও যখন ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বে জর্জরিত, তখন জনগণের উদ্বেগ প্রকাশের সুযোগ হিসেবে এক নতুন আলোচনা জন্ম নিচ্ছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনের ক্ষয়ে যাওয়া আদর্শের জন্য একটি বিষণ্ন কবিতার মতো।
“বাস রেষারেষি আর কমিশনদারীর মাঝে ফিরহাদ হাকিমের নতুন এসওপি: নতুন শাসনের নাটক না কি স্রেফ ফাঁকা আওয়াজ?”
বাংলার রাজনৈতিক জগতে যে বাসের রেষারেষি চলছে, তা যেন রুপকথার বাস্তবতা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, কমিশন সিস্টেমে দৌড়ানোর বিশ্লেষণ, শাসনের অবক্ষয়ের নিজস্ব প্রতিবিম্ব। এসওপি তৈরির আহ্বান যেন নিছক কথার ফুলঝুরি—সমাজের ভেতর পুঞ্জীভূত অসন্তোষের রেশ মুছে ফেলার এক অন্তহীন প্রচেষ্টা।
বিরোধী নেতার তীব্র আক্রমণে ফিরহাদের বক্তব্যে সৃষ্ট শোরগোল, মহিলা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন।
বুধবার সন্ধ্যার এক বক্তৃতায় ফিরহাদের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র আক্রমণ শুরু করেন, জাতীয় মহিলা কমিশনকে ট্যাগ করে। এই ঘটনার পেছনে যেন এক রাজনৈতিক নাটকের কাহিনি লুকিয়ে আছে, যেখানে সমাজের বুভুক্ষা নিয়ে গৃহীত পদক্ষেপগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে তীর ধনুক হয়ে ওঠে, আর জনগণের মনোভাবের উত্থান ও অবনতি চলমান। এসব দেখে মনে হয়, আমাদের নেতৃত্ব যেন চিত্রকলা, যেখানে সরল রেখার বদলে কণ্টকাকীর্ণ অবস্থান তৈরি হচ্ছে।