পর্যটন
“টয় ট্রেনের যাত্রা: বিদেশি পর্যটকদের আগমনে সরকারের উন্নয়নের নেপথ্যে কী লুকিয়ে আছে?”
আজ ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে দার্জিলিঙের উদ্দেশে টয় ট্রেনের যাত্রা শুরু হল, যেখানে বিদেশি পর্যটকও অন্তর্ভুক্ত। তবে এই উদ্ভাসিত ছবির আড়ালে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত ঘাটতির বিবর্ণ কাহিনী লুকিয়ে। রাজনীতির নাট্য মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সাফল্য ও সমকালীন অসঙ্গতি নিয়ে ভাবনার আহ্বান তুলে এনে, বার্তা দিচ্ছে, সবুজ পতাকা তুলে ধরার সাথে সাথে কি আদৌ পরিবর্তনের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে?
“পদক্ষেপের অভাবে মন্দারমণি যেন নো-ম্যান্স ল্যান্ড: সরকারের অবহেলায় পর্যটকদের নিঃশব্দ প্রত্যাহার”
মন্দারমণির সৈকত আজ এক ধূসর কাহিনী, যেখানে ভ্রমণপিপাসুরা ঝুঁকি নিতে ভয় পাচ্ছেন। দখলে চলে যাওয়া এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখন নো–ম্যান্স ল্যান্ডে, বেকারত্বের আক্রোশ নিয়ে বসে আছে হতাশ ব্যবসায়ীরা। কেমন মজার, পর্যটনের মরসুমে গোধূলির সময়েও নিরাপত্তার নামে নিরাপত্তাহীনতা! কি আশ্চর্য, কিসের উন্নয়ন, যেখানে সৈকতের বিরূপ পরিণতি 'রাজনৈতিক' অভিযানকে তুলে ধরছে। কী রকম বিদ্রুপ, রূপালী বাক্যে ফুরফুরে আচারের মতো, অথচ বাস্তবের মর্মান্তিক চিত্র!
“শীতে চিড়িয়াখানার খাঁচায় দর্শকের প্রবেশ: পশুরা নয়, কি এ আমাদের অশান্ত রাজনীতির প্রতিফলন?”
শীতে চিড়িয়াখানার খাঁচার ভেতরে দর্শকদের প্রবেশ, এক দিকে আনন্দের কথা, কিন্তু অন্য দিকে গভীর প্রশ্ন—কি এই আমাদের সভ্যতার মহিমান্বিত অবস্থা? নেতাদের জাদুকরী দক্ষতায় সাধারণ জনগণের উপরিরিক্ত খাঁচাবন্দী আনন্দ কি আসলেই মুক্তির চিহ্ন, না কি তা কেবল আমাদের চেতনায় নতুন বন্ধনের সুত্রপাত?
“সলনশীল সোনু, থাইল্যান্ডের পর্যটনের শুভেচ্ছা দূত, বলিউডের নতুন অধ্যায়ে মানবতার মূর্ত প্রতীক!”
সল্ট ও সোনূয়ের কোনও সময় সেলিব্রিটি হওয়া উচিত নয়, যদি তারা সৎভাবে সমাজের জন্য কাজ না করে। সোনু সূদ, যিনি আন্তর্জাতিক মানবিকতার জন্য পরিচিত, এখন থাইল্যান্ডের পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। তাঁর নতুন ভূমিকা বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলা তার মানবতার কাজের সাথে যুক্ত। শীঘ্রই, তাঁর চলচ্চিত্রের পরিচালনা প্রতীক্ষিত; সুতরাং, বলা চলে, সিনেমার দুনিয়ায় সোনুর আত্মমর্যাদা আরেকটি ধাপে পৌঁছেছে, পাশাপাশি মানবিকতা ও শিল্পের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করছে।
“গরুমারার বনবাংলো বন্ধ: অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে শাসনের অদক্ষতা ও পর্যটন মরসুমের সংকটের প্রতিবন্ধকতা”
এখন ভরা পর্যটনের সাজশোভা, অথচ বনবাংলো গুলি অগ্নিদূষণের অলীকতায় বন্ধ, যেন শাসকের হাতে দেয়ালচিত্র! বর্ষার অজুহাতে বন্ধ থাকা বাংলো এখন দগ্ধ আশঙ্কার প্রতীক, যেখানে সরকারের অগ্নিনির্বাপণের স্বপ্ন আরেকটি কাল্পনিক গল্প। কর্মকা-হীন সরকার আর জনগণের হতাশা যেন এক অপার্থিব নাটকের সূচনা!
“পুজোর পর হোম স্টে সমীক্ষার নির্দেশ, নন্দিনী চক্রবর্তী কি আসন্ন পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিচ্ছেন?”
সম্প্রতি পর্যটন দপ্তরের বৈঠকে সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী পুজোর পরে হোম স্টে নিয়ে সমীক্ষা শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন পর্যটনের জোয়ারে নতুন সুবিধার আলো দেখা যায়। ভাবুন, পুজোর পর এই সামান্য সমীক্ষার মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে আমাদের রাজনীতির চিত্র—মন্থর নির্ভরতা, বদলাবার অঙ্গীকার, অথচ বাস্তব থেকে সরে থাকা। সমাজে পর্যটন নিয়ে ব্যস্ততা, অথচ মানুষের জীবন কোথায়?