নিরাপত্তা ব্যবস্থা
“নতুন হেলমেট নিয়মে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার বাঁকা আয়নায় উঠে এল জনগণের নিরাপত্তা বনাম প্রশাসনিক গতিবিধির দ্বন্দ্ব!”
নতুন হেলমেট নিয়মে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আইন, যেন এক নাটকীয় দৃশ্য, যেখানে ট্রাফিক পুলিশের হাতে মহিলাদের সুরক্ষার প্রতীক হেলমেটও নিরাপদ নয়। রাজনীতির অলিতে গলিতে এ কান্ডে চলছে আলোচনা, সরকারী নীতির চৌহদ্দি থেকে কোথায় আমাদের স্বাধীনতা? জনগণ কি অভিনেতার সাজ-পোশাক, নাকি তাঁরা সত্যিকার অর্থে মানুষ?
জগদ্ধাত্রী পুজোর আগের আগুন: নেতাদের ‘নীৰব সাহস’ বা জ্ঞানীর অদৃষ্টের খেলা? সমাজে সঙ্কটের আঁচ!
জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসনের মুহূর্তে বিরাট আগুনের তাণ্ডব যেন রাজনীতি ও সমাজের একটিমাত্র স্পর্শকাতর পাত্তা। গব্যনেতাদের উদাসীনতা দেখিয়ে দেয়, উৎসবের ঢলেও মানুষের জীবন কতটা মূল্যহীন। যখন অশান্তির দাবানল সমাজকে গ্রাস করে, তখন কি পান্ডাল সাজাতে জানলেও রাজনীতির দিশাহীনতা কি আমাদেরই জন্য?
“দুর্গাপ্রসাদের গাফিলতির প্রতিবাদে স্থানীয়দের ক্রোধ: প্রাণহানির মূল্যহীনতা ও দায়িত্বের প্রশ্নবোধক”
দুর্গাপ্রসাদের গাফিলতি যেমন বিপত্তাড়নের প্রাণ বাঁচাতে পারল না, তেমনি স্থানীয়দের ক্ষোভে যখন গ্যাস বেলুনের লাইসেন্সহীনতা প্রকাশ পায়, তখন মনে হয়, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিবেকও এর নির্মম চিত্রায়ণে হারিয়ে গেছে। অথচ, সম্ভাবনার আকাশে বেলুনের মতো উড়তে চাওয়ার যুগে, নিরাপত্তা যেন শুধুই একটি হাস্যকর কল্পনা।
“বলিউডের আলো, সল্লু ভাইয়ের নিরাপত্তা, সন্ত্রাসের মাঝে কি খুঁজে পাবে শিল্পের রস? কাহিনীর মোড় এমনই!”
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বিরুদ্ধে আবারও জীবনের নিরাপত্তা হুমকি এসেছে, এবার বিখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্যের মাধ্যমে। ৫ কোটি টাকার দাবি জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে আসা এই হুমকি নিয়ে মুম্বাই পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। সালমান খানের ওপর আক্রমণের ঝুঁকি নতুন নয়; ১৯৯০ সালের শিকার মামলার কারণে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার শত্রুতার ইতিহাস রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, যা ঋত্বিক-প্রধান শিল্পের অস্থির অবস্থান এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বকেও সামনে আনে।
“কারখানায় আগুন: নিরাপত্তাহীনতার রাজনীতি এবং কালীপুজোর প্রাক্কালে সরকারের দায়িত্বহীনতার চিত্র”
কারখানার অগ্নিকাণ্ডে অভিযোগ উঠছে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব নিয়ে, যা রাজনীতির অদূরদর্শীতার একটি চিত্র তুলে ধরছে। দমকল বাহিনী তদন্তে রত, অথচ কর্তৃপক্ষের চুপ থাকা যেন সরকারের নীরবতায় সাড়া দেয়। কালীপুজোর ঠিক আগে এ ঘটনার জন্য ক্ষতির ছাপ বলতে বাধ্য করছে সমাজ, যেখানে মানবিকতার চেয়ে বিত্তিকুশলতা বিরাজমান।
“প্রশাসনের আধিপত্যের মাঝে সর্বনাশের আগুন, সিউড়িতে ঘটনাস্থলে পুলিশ, অথচ সহায়তা এল দেরিতে!”
সিউড়িতে এক অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু পুড়ে গেলেও পুলিশের আগমন বিলম্বিত হল, যেন শান্তির প্রতীক ও নেতৃত্বের ঔদাসীন্য আরও একবার প্রমাণিত হলো। স্থানীয় বাসিন্দাদের দুঃখ-বেদনায় ভরপুর গল্পে, আমরা কি আদৌ খুঁজে পাব সঠিক প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা? গোটা জাতি যেন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তার প্রতিবিম্ব খুঁজছে—শাসকেরা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে ক্ষয়ে যাচ্ছেন, তবে আগুনে সব যে চলে যায়, সে তো এখন আমাদের ভোটের গল্পও!
নাবালিকার পরিবারকে হুমকি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ: সমাজের অন্ধকারে সঠিক governance-এর অভাব কি আমাদের চিরকালীন নিয়তি?
বাংলাদেশের সমাজে আজকাল যা ঘটছে, তা দেখে মনে হয় যেন মনুষ্যত্বের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। নাবালিকার পরিবার অভিযোগ করেছে যে, প্রতিবেশী সুনীল রায়ের হাত থেকে নিঃশঙ্কন উচিত ছিল, কিন্ত সে তো স্রষ্টার মতোই হুমকি দিয়ে গেছে। কোথায় গেছে আইন, প্রশাসনের প্রহরী? প্রতিবাদ তো কেবল শব্দ, বাস্তবের শৃঙ্খল নয়। এ যেন আবারো প্রমাণিত হলো, সমাজ আর রাজনীতির অদৃশ্য দোলাচলে ন্যায় যেন চুপ করে সারা রাতের অন্ধকারে।