নাগরিক সচেতনতা
শাহজাহানের জামিনের চেষ্টায় বিপ্লবের সরব উপস্থিতি: রাজনীতির নাটক, সমাজের দমবন্ধ পরিস্থিতি!
জেলখানায় বন্দী শাহজাহানের কষ্ট বৃদ্ধির সাথে সাথে, বিচারব্যবস্থার সুরক্ষার বদলে নিরাপত্তাহীনতার চিত্র ফুটে উঠছে। তিনি আইনজীবী বদল করে বিপ্লব দাশগুপ্তকে নিয়োগ করছেন, যেন বন্দী জীবনের নৈমিত্তিক অন্ধকারে কিছু আলোর প্রবাহ ঘটাতে পারেন। তবে, নেতৃত্বের এই পালাবদল যে সমাজের মূল্যবোধকে কতটা বিচলিত করছে, তা ভাবতে হবে। রাজনীতির এই নাটকীয়তার পর্দায় জনগণের কণ্ঠস্বর কি আর শুনতে পাচ্ছে সমাজ?
“কলকাতা পুরসভা: প্রাকৃতিক গ্যাসের স্বপ্নে পেট্রল-ডিজেলের দূষণ, রাজনীতির প্রহসনে পরিবেশের দারুণ খেলা!”
কলকাতা পুরসভা শহরের যানবাহনকে প্রাকৃতিক গ্যাসে চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে উৎসাহ তো অবশ্যই, কিন্তু বায়ুদূষণ কমানোর নামে আসল জটিলতা মিটবে তো? পেট্রল ও ডিডেলের দাম বাড়ছে, আর নেতারা নতুন প্রকল্পের সুরে সুর মিলাচ্ছেন। বায়ো গ্যাসের সপক্ষে যা কিছু বলার, তা মনে হচ্ছে যেন নক্ষত্রমণ্ডলে নয়া আলোর আশায় নিমগ্ন। সমাজের নাগরিক সচেতনতা কি আর একবার সত্যিকার পরিবর্তন আনতে পারবে?
“কালীর প্রতিমার করুণ বীরত্ব: উৎসবের আগে দুর্ভোগের দাগ, রাজনীতির নাটকে পুজো উদ্যোক্তাদের হতাশা!”
কালীপুজোর প্রাক্কালে প্রতিমা পড়ে যাওয়াটা শুধু দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি সমাজের অসংরক্ষিত আত্মার ক্রন্দন, যেখানে ধর্ম ও সংস্কৃতির বাণী রাজনৈতিক বাস্তবতা দ্বিধাবিভক্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুজো বন্ধ হোক এ অপিৎ, কিন্তু প্রশ্ন করতেই হবে—কীভাবে চলছে আমাদের শাসনব্যবস্থা? এ এক নৈরাজ্য, যেখানে দেবীর সাথে আমরা নিজের মৌলিক অধিকারকেও চড়ে বলি, আমরা সব সহ্য করব।
“রাজ্য সরকারের ওপর কেন্দ্রের বঞ্চনা: মানস ভুঁইয়া ও শুভঙ্কর সরকারের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মাঝে জনমানসে কাটছে উৎকণ্ঠা!”
রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারকে আঘাত করে চলা এই বঞ্চনা বরদাস্ত করা যায় না। শুভঙ্কর সরকারকে প্রত্যায়িত করেছেন, রাজনৈতিক ঐক্যের গান গেয়ে, বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিশ্বাকাশি করার সময় এসেছে; যেন নয়া দিল্লি থেকে ধর্মের বুলি অর্থহীন হয়ে না যায়।
নাবালিকার নিখোঁজ: সমাজের অন্ধকারে কাকু-মেয়ের রহস্য, রাজনীতির নীতিতে প্রশ্ন তুলে দিল।
এ যেন সময়ের পাখির ডানায় রক্ত, যখন এক নাবালিকা নিখোঁজের খবর শোনে সমাজ। পরিচিত এক কাকুর সঙ্গে খাবার কিনতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির সন্ধানে পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়লেও সমাজ তখনও গুরুতর প্রশ্নের মুখোমুখি—কোথায় গেল সেই দায়িত্ব? নেতাদের প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কথার খোরাক? বিবেকের দায় কখন পাবো আমরা?
পুজো শেষ, শোভা নেই: পুরসভার জরিমানা ও বিজ্ঞাপনের ভিড়ে নগরী কেমন?
দুর্গাপুজো শেষে শহরের সৌন্দর্য ম্লান হতে না দেওয়ার জন্য পুরসভা হোর্ডিং সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞাপন ফি’র অতিরিক্ত জরিমানা আজকের রাজনৈতিক নাটকের একটি সামান্য মুখরোচক পর্ব। সত্যিই, ঢাকের আওয়াজ কম, কিন্তু নেতাদের মঞ্চে চমক নেই—বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো সরকারও সমস্যার বক্তব্যে এই বাঁশের কাঠামোর নীচে লুকিয়ে পড়েছে।