ধর্মীয় উৎসব
“ছটপুজোয় মমতার সুর, বাংলা পক্ষের তীর্থযাত্রা: সরকারের প্রতি ক্ষোভের সুর কি গেয়ে উঠবে জনগণ?”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছটপুজোর উপলক্ষে নিজের লেখা একটি গান প্রকাশ করে সংস্কৃতির বাহাসে জড়িয়ে পড়লেও, বাংলা পক্ষ তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে। যেন এক হালকা ঝোরো হাওয়ার মাঝে, রাজনীতির মাঠে আপাত সমরস্স্যের পর্দায় প্রকৃত অসঙ্গতির জঙ্গল ফুটে উঠেছে; তা দেখেই মনে হতে পারে, এলোমেলো সুরের মধ্যে নতুন কোনো বাস্তবতা খুঁজছেন সকলে।
তৃণমূল বিধায়কের গাড়িতে ইটের আঘাত: রাজনৈতিক নাটকের পেছনে সমাজের আধুনিক কালীপুজোর সন্ধানের আড়াল!
শুক্রবার রাতে, তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর গাড়ির প্রতি ইট ছোড়ার ঘটনা যেন প্রকৃতির প্রতি মানবজাতির উন্মাদনার প্রতিফলন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের মেলবন্ধনে অশান্তির এই নিদরমণ, আমাদের সমাজের সাংস্কৃতিক সুস্থতার গভীর সংকটের সংকেত। ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনশীল জনমন, যেখানে নেতাদের প্রতি আস্থার অভাব এবং উপাসনা-পরিচায়ক বিদ্বেষ একদিকে, অন্যদিকে রোষের বাতাসের নির্দেশিকা হিসাবে ইটের সজাগ নিক্ষেপ। বাস্তবে, রাজনৈতিক শিল্পীর পুশ্পমালার মধ্যে এমন সংকটের অবস্থান যে, একদা শৃংখলার আশোশকালে আমরা আজ বিরূপতার অঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছি।
“কালীপুজোর রাতে রেল নীতি: মেট্রোর উন্নয়ন নাকি ভোটের খেলা?”
কালীপুজোর রাতে কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বরের ভিড় বাড়াতে বিশেষ মেট্রোর ব্যবস্থা, যেন ধর্মের ফুলে ফুলে সাজানো এই রাজনীতির চাষবাসে আরও এক দানা যোগ হয়। জনগণের চাহিদা আর শাসকের উদ্যোগে যখন এমন খেলোয়াড়ি চলছে, তখন প্রশ্ন জাগে—পূজা বলতে কি শুধু বিশেষ টিকিটের ব্যবস্থা? সমাজের অন্তর্দৃষ্টি কি সত্যিই এই মন্দিরে পৌঁছাবে, নাকি স্রেফ মেট্রোর চাকা হেঁটেই ভিড় বাড়বে?
“কালীর আলোয় রাজনৈতিক ছায়া: কালীপুজোর আবহাওয়ায় কি মিলবে জনগণের সুখের বৃষ্টি, নাকি নেতাদের দুর্ভিক্ষ?”
রাজনৈতিক বাতাবরণে যেন অসম্ভব আবহাওয়া, শনিবার থেকে কালীপুজো অবধি কে জানে কোন দিকে ঝড় উঠবে। নেতাদের প্রতিশ্রুতির হাজারো নাটক, মানুষের আশা-নিরাশার পারদ চড়তে চড়তে শীতল দৃষ্টিতে ঠা ঠা করছে। জনতাকে ভুল বুঝতে দেওয়া যেন এখন শাসনের স্বাভাবিক রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে; প্রতিটি আলোচনায় শুধুই কালীপুজোর ছায়া নয়, ক্ষমতার রাজনৈতিক নাটকে মঞ্চস্থ হচ্ছে জীবনের প্রতিফলন।