তৃণমূল কংগ্রেস
তৃণমূল বিধায়কের গাড়িতে ইটের আঘাত: রাজনৈতিক নাটকের পেছনে সমাজের আধুনিক কালীপুজোর সন্ধানের আড়াল!
শুক্রবার রাতে, তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর গাড়ির প্রতি ইট ছোড়ার ঘটনা যেন প্রকৃতির প্রতি মানবজাতির উন্মাদনার প্রতিফলন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের মেলবন্ধনে অশান্তির এই নিদরমণ, আমাদের সমাজের সাংস্কৃতিক সুস্থতার গভীর সংকটের সংকেত। ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনশীল জনমন, যেখানে নেতাদের প্রতি আস্থার অভাব এবং উপাসনা-পরিচায়ক বিদ্বেষ একদিকে, অন্যদিকে রোষের বাতাসের নির্দেশিকা হিসাবে ইটের সজাগ নিক্ষেপ। বাস্তবে, রাজনৈতিক শিল্পীর পুশ্পমালার মধ্যে এমন সংকটের অবস্থান যে, একদা শৃংখলার আশোশকালে আমরা আজ বিরূপতার অঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছি।
“কেতুগ্রামে তৃণমূলের অনুষ্ঠানে অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী সম্বোধন: রাজনীতির নতুন নাটক ও বিতর্কের জন্ম!”
গতকাল পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ মণ্ডলের অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী বলে অভিহিত করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। গদির লোভে গোপালকৃষ্ণ বংশের এ যেন নতুন নাটকের মহড়া, যেখানে জনগণের চাহিদা আড়ালে পড়ে যায়, অথচ স্বপ্নগুলো জ্বলজ্বলে থাকে। এই নামকরণের প্রেক্ষিতে জনতার মনে ক্ষোভ কি না, তা সঙ্গত প্রশ্ন। পলিটিক্সের এই বিবর্তনে আসলে আমরা কোথায় অবস্থান করছি?
“অনুব্রতের হাত ধরে মমতার জয়ের থমথমে যাত্রা: কর্মী থেকে নেতা, রাজনীতি কি আদৌ দামি?”
বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল ভেবে দেখছেন, নেতা তো হওয়ার নয়, বরং তিনি তৃণমূলের এক সাধারণ সৈনিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়ে, রাজনীতির মায়া কাটিয়ে চলে যেতে চান—এ যেন এক নতুন গান! কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নেতার পদ থেকে বিদায়ের সুরটা কি আসলেই ভিন্ন। এ ভাবে জনগণের সেবা নিয়ে কতদিনের এই নাটক? সমাজের দাবি কি সংবাদমাধ্যমের চেয়ে বেশি নয়? শাসকের রাজনীতির চালে সমাজ সঙ্কটে আর কত দিনের নীরব প্রহর?
অমিত শাহর সঙ্গে দেখা না করে নির্যাতিত চিকিৎসকের পরিবারকে উপেক্ষা, কুণাল ঘোষের তীব্র সমালোচনা ও হতাশার সূচনা।
অমিত শাহ নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবামায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করলেন, আর তা নিয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষের তীব্র আক্রমণ, হতাশার অভিব্যক্তি যেন রাজনীতির চিরন্তন নাট্যাঙ্গনে এক নতুন গতি। নেতার শূন্যতা কতটা গভীরে পৌঁছেছে, তা বুঝতে রাজ্যের জনগণের সঙ্গে এক অব্যক্ত সংলাপ রচিত হচ্ছে, যেন ভদ্রলোকের রাজধানীতে মানবিকতার ন্যূনতম মানেরও অবক্ষয়।