জনসচেতনতা
“নকল রশিদ আর টাকার খেলায় নেতাদের উধাও দায়িত্ববোধ: প্রশাসনের অন্ধকারে সমাজের ক্ষতি কতটুকু?”
এতদূর এসে আমাদের সমাজে কি ঘটছে! নকল রশিদ আর টাকা তোলার রাহাজানি যেন এখন দৈনন্দিনের খেলা। প্রশাসন থেকে নেতাদের অবলীলায় দরিদ্র জনগণের সাথে এই প্রতারণা যেন একটি নাটকের দৃশ্য। নেতা-নেত্রীরা সব কিছু জানেন, তবুও ভন্ডামির মাস্তানিতে রাশ নেই। এই দুর্নীতি শুধু অর্থের লুট নয়, আমাদের নৈতিকতারও মৃত্যু।
“গোভারগার মোড়ে মদ্যপ যুবকদের হাতে নিরীহ যুবকের দংশন: সমাজের শৃঙ্খলা কি হারাতে বসেছে?”
গত ৩ নভেম্বর রাতে কালীপুজোর ভাসান শেষে এক যুবক বাড়ি ফেরার সময় ফাঁকা রাস্তায় মদ্যপ যুবকদের মুখোমুখি হন। ক্ষমতার এ এক অদ্ভুত সমন্বয়, যেখানে আনন্দের রাত রূপ নেয় ভয়ের জালে। সমাজের এই কদর্য চিত্র কি সরকারের চোখে পড়ছে? কিংবা তারা কি কেবল উৎসবের আলো বাতাসে গা জুড়াতে অভ্যস্ত? মানবতানির্ভর রাষ্ট্রে আমরা যেন ভোলেনি উদর্ক নির্মাণে নিজেদের হাত থেকে বেঁচে থাকার শিক্ষা নিতে!
“রাজনীতির চা-শালার গলিতে, শেখ খয়রাতের প্রশ্ন: ক্ষমতার চাপে সাধারণ কর্মীর অপরাধ চা পান?”
রাজনৈতিক ভাইবন্ধুরা বসে চা খাচ্ছেন, অথচ ঘোষণা আসছে এটাই অপরাধ? সমাজের শীর্ষ বৈঠকের উষ্ণতা যখন সাধারণ কর্মীর সঙ্গেও মিলেমিশে রচিত হয়, তখন সেই মাঙ্গলিক চা আমাদের জন্য প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়—কোণঠাসা জনতার আস্থা কি এখন রুটি-চায়ের খোঁজে? গণতন্ত্রের নাট্যমঞ্চে অভিনয় চলছে, কিন্তু দর্শকরা আজ প্রশ্ন করছে, সভাধিপতির নেতৃত্বে কতটুকু পরিবর্তন আসছে?
“কারখানায় আগুন: নিরাপত্তাহীনতার রাজনীতি এবং কালীপুজোর প্রাক্কালে সরকারের দায়িত্বহীনতার চিত্র”
কারখানার অগ্নিকাণ্ডে অভিযোগ উঠছে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব নিয়ে, যা রাজনীতির অদূরদর্শীতার একটি চিত্র তুলে ধরছে। দমকল বাহিনী তদন্তে রত, অথচ কর্তৃপক্ষের চুপ থাকা যেন সরকারের নীরবতায় সাড়া দেয়। কালীপুজোর ঠিক আগে এ ঘটনার জন্য ক্ষতির ছাপ বলতে বাধ্য করছে সমাজ, যেখানে মানবিকতার চেয়ে বিত্তিকুশলতা বিরাজমান।
“মুর্শিদাবাদের বাজারে গঙ্গার ইলিশের জালে দাম পতনের নাটক; রাজনীতির খাঁচায় জনতার খাদ্যের মানকে প্রশ্নবিদ্ধ!”
মুর্শিদাবাদে গঙ্গার ইলিশের আগমন যেন নতুন এক রাজনীতির সূচনা; আমদানি করা ইলিশের দামে বিরূপ প্রভাব, ছোটো মাছও এখন ২০০ টাকায়! আমাদের নেতাদের কার্যকলাপের দোলাচলে অর্থনীতির জল ধরে রাখতে কেমন অদ্ভুত পিতল-রঙা পালো! সত্যি, এই মাছের বাজারই আজ বুকের পাটা তৈরি করে, জনগণের আসল মুখোশ উন্মোচন করতে।
গাছ প্রতিস্থাপন: আইনের নামে প্রকৃতির সাথে খেলা, যা বাঁচতে পারে না, আপোসের রাজনীতির চিহ্ন!
গাছ প্রতিস্থাপনের অযুহাতে সরকার যেন নিজের দায় কিছুটা ঝেড়ে ফেলতে চাইছে, অথচ প্রকৃতিগত পরিচর্যার অভাবে মৃতের সঙ্গী এই সব বৃক্ষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনার ধারাবাহিকতা কেবল আমাদের অভিভাবকত্বের অযোগ্যতার চিত্রই তুলে ধরে। রাজনৈতিক নাটকে কেবল সুরম্য দৃশ্যের বাহ্যিকতা, ভিতরকার ভাঙন ও সঙ্কট গোপন।