জনমত
“খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে জঙ্গিরা, শাসন ব্যবস্থার ধূসর ছায়া: নিরাপত্তার নামে সামাজিক বিশ্বাসের ভিত্তি কি ভেঙে গেছে?”
খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ শুধু একটি আতঙ্কের ঘটনা নয়, বরং আমাদের শাসনের অন্ধকার দিক উন্মোচন করে। জামাতুল মুজাহিদের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে এক ভয়াবহ নাশকতার পরিকল্পনা, আর এ নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। প্রশাসনের নজরদারির গাফিলতি কিংবা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জবাবদিহির অভাব—এ যেন আমাদের রাজনৈতিক নাটকের নতুন দৃশ্যপট। প্রশ্ন ওঠে, এতগুলো বছর পরে কি আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো, না কি শঙ্কার প্রহরের পালা আরও দীর্ঘায়িত হবে?
“মহামিছিলের অনুমতি না পেয়ে বিজেপির শাহরুখ খানের ‘তোরা কোথায়’– শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠকে রাজনৈতিক নাটকের নতুন থিম”
মহামিছিলের জন্য আবেদন করে বিজেপি, অথচ অনুমতি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে, যেন রাজনীতির পীঠস্থানে শাসকদল নিজের পায়ের নিচে মাটি নেই। শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক যেন নাটকের পর্দার আড়ালে গভীর নিরাশার ছবি ফুটিয়ে তোলে, যেখানে গণতন্ত্রের স্বরূপ তবুও অধরা, এবং সত্যি-মিথ্যের খেলা সুখকর নয়।
“থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সিসিটিভি! সরকারি নির্দেশে কীর্তন গানের নতুন পদ! ডাক্তারদের রোষের ভয়ে পরীক্ষা?”
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কিঞ্জল নন্দ ও অন্যরা থ্রেট কালচারের বিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন, যখন ডাক্তাররা বলছেন, বহু জুনিয়র ডাক্তার পরীক্ষায় পাশ করার যোগ্য নয়। রাষ্ট্রের এই অব্যবস্থায় সিসিটিভি ব্যবস্থার আবির্ভাব, যেন সংস্কারের মুখোশে আড়াল। সমাজের মানসিকতা পাল্টানোর তাগিদ কী মাত্রা নেবে, বা রাজনীতির অভিনব নাটকে কারা হবে মূল চরিত্র, সেই ভাবনাই আজ আমাদের সামনে।
“কলকাতা পুলিশের গার্ডরেল প্রস্তাব: নিরাপত্তার নতুন দিশা, নাকি শুধুই রাজনৈতিক নাটক?”
কলকাতা পুলিশের মতে, স্থায়ী গার্ডরেল দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আদর্শ সমাধান, অথচ ৪ নম্বর ব্রিজের ফুটপাতে প্রাথমিক পরীক্ষার পরেও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কাজ চলছে। রাজনীতি হলো এক উল্কাপিণ্ড, যেখানে জনগণের নিরাপত্তা আর নেতাদের সরকারি অঙ্গীকার মাঝে ক্ষীণ রেখা দীর্ঘায়িত হচ্ছে—এতে জনগণের সুরক্ষা না, বরং প্রতিবন্ধকতা বাড়ছে।
বাগডোগরার নাম বদল: রাজনৈতিক জটিলতায় নাটকীয়তা ও গণমানসের দোলাচলে সমাজের প্রবাহের এক উলট-পালট!
বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম বদলের খবরে রাজনীতির শেকড় উথলে উঠেছে। নতুন নামের তালিকায় নানা সংস্কৃতি ও রাজনীতির ছোঁয়া। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নাম বদলাতে কেমন করে বদলাবে আমাদের জীবন? নেতাদের আগামী প্রজন্মের জন্য তুলে রাখা বা নামের পালে বাতাস লাগানো—এ যেন রসিকতা এবং বাস্তবের এক অভূতপূর্ব মিলন!
“রাজ্যপালের দুই বছরের পালা: ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচিতে সরকারের মুখোশ উন্মোচনের সময়!”
এখনো দু'দিন বাকি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁর পদে দুই বছর পূর্ণ করতে চলেছেন। এই উপলক্ষে শুরু হচ্ছে 'আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল' কর্মসূচি, যেন রাজনীতির নাট্যমঞ্চে আমাদের যেতে হবে দেশের ইতিহাস, সেই কথার আলাপ করতে। তবে সত্যিকারের আগুন জ্বলছে বাস্তবতায়, যেখানে উপস্থিতিরা নেতাদের চমৎকার কথায় মোহিত, অথচ নাটকের পেছনে লুকানো সমাজের ক্ষতির গল্পগুলো উত্তাল।
“তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৩.৫ লক্ষ নাম, সরকারী গোলমাল ও জনমানসে ক্রমবর্ধমান অস্বস্তি!”
নবাবদের দীনতা যেন সমাজে নতুন এক নাটক রচনা করেছে; তালিকা থেকে ৩.৫ লক্ষ নাম বাদ পড়লো, আর এ যেন শাসকের গা-গোছানোর অদ্ভুত খেলা। মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার মতো জেলাগুলোতে কত মানুষের পরিচয় ভুলে গেছে প্রশাসন, সেই প্রশ্নে এখন সবার মুখে হাসি, আর হাসির আড়ালে লুকানো চিৎকার। রাজনীতি যেন নতুন ছক কষছে, কিন্তু জনগণের অনুসন্ধানের প্রতি কি তাদের অন্তর এই অন্ধকারে আলো জ্বালানোর সাহস পাবে?
তৃণমূল বিধায়কের গাড়িতে ইটের আঘাত: রাজনৈতিক নাটকের পেছনে সমাজের আধুনিক কালীপুজোর সন্ধানের আড়াল!
শুক্রবার রাতে, তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর গাড়ির প্রতি ইট ছোড়ার ঘটনা যেন প্রকৃতির প্রতি মানবজাতির উন্মাদনার প্রতিফলন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের মেলবন্ধনে অশান্তির এই নিদরমণ, আমাদের সমাজের সাংস্কৃতিক সুস্থতার গভীর সংকটের সংকেত। ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনশীল জনমন, যেখানে নেতাদের প্রতি আস্থার অভাব এবং উপাসনা-পরিচায়ক বিদ্বেষ একদিকে, অন্যদিকে রোষের বাতাসের নির্দেশিকা হিসাবে ইটের সজাগ নিক্ষেপ। বাস্তবে, রাজনৈতিক শিল্পীর পুশ্পমালার মধ্যে এমন সংকটের অবস্থান যে, একদা শৃংখলার আশোশকালে আমরা আজ বিরূপতার অঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছি।
কলকাতা পুলিশের নারীকনস্টেবল নিয়োগ: নতুন প্রজন্মের নারী শক্তির প্রবেশ ও রাজনীতির নাটকীয় পরিবর্তন!
গোটা সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে যারপরনাই কথা হচ্ছিল, সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতা পুলিশের ৭৭৩ জন মহিলা কনস্টেবল এখন মাঠে। প্রশিক্ষণের মঞ্চে গড়া, এই নারী শক্তির থানায় পোস্টিং কেমন হবে, সেটাই এখন ভবিষ্যতের জল্পনা। কর্তব্যপালনের আড়ালে কি শক্তি আর দায়িত্বের আসল চিত্র ফুটে উঠবে?
শোভনদেবের প্রশ্ন: ‘ডাক্তারদের টাকার উৎস কী?’— রাজনীতির মঞ্চে উঠছে নতুন সংশয় ও সমাজের অন্ধকার রূপরেখা।
দেগঙ্গায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘কোথা থেকে আসছে এই টাকা?’ বাস্তবে রাজনৈতিক অভিনয়ের খোলসের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা দুর্নীতির অন্ধকার দিকের প্রতি ইঙ্গিত করে। সমাজের মূলে উত্তেজনা এবং অসন্তোষের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে, যখন জনগণ শেখরে পৌঁছায় সরকার ও চিকিৎসকদের মধ্যে আদান-প্রদানের রহস্যজনক সূত্র খুঁজতে।