জনগণের অধিকার
“নতুন হেলমেট নিয়মে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার বাঁকা আয়নায় উঠে এল জনগণের নিরাপত্তা বনাম প্রশাসনিক গতিবিধির দ্বন্দ্ব!”
নতুন হেলমেট নিয়মে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আইন, যেন এক নাটকীয় দৃশ্য, যেখানে ট্রাফিক পুলিশের হাতে মহিলাদের সুরক্ষার প্রতীক হেলমেটও নিরাপদ নয়। রাজনীতির অলিতে গলিতে এ কান্ডে চলছে আলোচনা, সরকারী নীতির চৌহদ্দি থেকে কোথায় আমাদের স্বাধীনতা? জনগণ কি অভিনেতার সাজ-পোশাক, নাকি তাঁরা সত্যিকার অর্থে মানুষ?
“লটারির ছাপাখানা ধরা, কোটি কোটি টাকার প্রতারণা; রাজনীতির খেলার মাঠে সৎজয়ীদের বঞ্চনার কাহিনী!”
মাইকেলনগরের লটারির ছাপাখানায় ইডির তল্লাশীর পর সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়া, যেন গোপনীয় সমঝোতার এক দাগ রেখেছে সমাজের অন্তর্দৃষ্টিতে। জয়ীদের প্রতারণা করে আখেরে অদৃশ্য স্তব্ধতার সৃষ্টি, যা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি মানুষের অনাস্থার দরোজা খুলে দেয়। বস্তুত, এই দুর্নীতির গোদাম থেকে বের হয়ে আসছে চোখে ধুলো দেওয়া চেহারা, যে চেহারা সময়ের সাথে সাথে আরও রহস্যময় হয়ে উঠছে।
“অর্জুন সিংয়ের বিষাক্ত কেমিক্যাল মন্তব্য: সমাজে উদ্বেগ এবং সরকারের অক্ষমতার প্রতিবিম্ব!”
অর্জুন সিংয়ের সমালোচনামূলক মন্তব্য সমাজের স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে, যা রাজনৈতিক নেতৃত্বের অক্ষমতার সাক্ষী। বিষাক্ত কেমিক্যালের প্রভাব যেন ক্ষমতার অপব্যবহারের রূপান্তর, যেখানে জনস্বার্থকে তুচ্ছ করে চলা সরকারের কর্পোরেট দাসত্বই বেশি স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় নেতাদের দায়িত্বহীনতা কেমন করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিপন্নতা সৃষ্টি করছে, তা নিয়ে ভাবনা ন্যয়।
আদালতের গলিতে আরও দুটি সাক্ষ্যের তেরি, রাজনৈতিক নাটকে নতুন মোড়: কর্তৃত্বের খেলা কি মিটে যাবে?
দেশের আদালতে আরও দুজনের সাক্ষ্য দেওয়ার ফলে বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে, যেন কেউ টেনে ধরেছে বলির পাঁঠা। নেতাদের কার্যকলাপের নেপথ্যে সমাজে অস্থিরতার ছায়া। বিচারের মাটি কি শেষ পর্যন্ত দৃঢ় হবে, নাকি নিছক নাটকীয়তার পর্দায় পড়ে যাবে? মানুষের ভাবনাগুলো প্রবাহিত হচ্ছে, তবে কোথায় যাবে, তা জানি না।
“মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন, প্রশাসনের বাধায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ গ্রুপ–ডি ঐক্য মঞ্চের সংকট!”
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গ্রুপ–ডি ঐক্য মঞ্চের ধরনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশ, যেন নিরঞ্জনের ভেতরে রেখেছে বিবেকবিচারের কোদালে; কলকাতা হাইকোর্টের দিকে দৃষ্টি ফেরানো এক অব্যক্ত প্রশ্ন, সরকারি ক্ষমতার খোঁজ? আর ভাবুন, কবে নবান্নের সামনে জনগণের চিৎকার들 হবে স্বাধীন সুরে, নাকি শাসকদের দৈন্যদশার প্রতিধ্বনি হয়ে থাকবে?
“মাংসের সংস্পর্শে অসুস্থ সমাজ: মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণে রোগীর প্রতিবাদ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার টালমাটাল!”
বসুদেব ঘোষের অভিযোগে উন্মোচিত হলো স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অযোগ্যতার কালো চিত্র; মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের বিতরণ, যেন সরকারী সেবা প্রদানের মহানীতির হাস্যকর লেশ। প্রান্তিকের ব্যথা উপেক্ষা করে, আমরা কি কেবলমাত্র জনতার প্রতিরোধের সুর ফেলার জন্য অপেক্ষা করছি? ইতিহাস কি আবারও আমাদের বাড়ির পোষ্য গরুর কাছে নিয়ে যাবে?
মমতার সাড়ে ১৩ বছরের শাসনে ‘ছোট্ট’ ধর্ষণ: রাজনীতির নাটক ও সমাজের বিপর্যয়!
রাজনীতির এ অঙ্গনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনার পাঁচফোড়ন যেন গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। যখন তিনি ধর্ষণকে 'ছোট্ট ঘটনা' বলেন, তখন সমাজের বিবেক নিভে যায়। এইলাই বা কি তার ১৩ বছরের শাসনের প্রতিনিধি? জনগণের সারাংশ, আজও কি ধুলোবালির সঙ্গে এসব ভেসে যাবে, নাকি মাতৃস্বরের অঙ্গীকারে নতুন পথ তৈরী হবে?
অমিত শাহর সঙ্গে দেখা না করে নির্যাতিত চিকিৎসকের পরিবারকে উপেক্ষা, কুণাল ঘোষের তীব্র সমালোচনা ও হতাশার সূচনা।
অমিত শাহ নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবামায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করলেন, আর তা নিয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষের তীব্র আক্রমণ, হতাশার অভিব্যক্তি যেন রাজনীতির চিরন্তন নাট্যাঙ্গনে এক নতুন গতি। নেতার শূন্যতা কতটা গভীরে পৌঁছেছে, তা বুঝতে রাজ্যের জনগণের সঙ্গে এক অব্যক্ত সংলাপ রচিত হচ্ছে, যেন ভদ্রলোকের রাজধানীতে মানবিকতার ন্যূনতম মানেরও অবক্ষয়।
জব্বার মোল্লার হত্যা: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বা ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘননাখানি? স্থানীয়দের ক্ষোভ বাড়ছে!
রাজনীতি ও সমাজের অধ্বসনান্তরকালে জব্বার মোল্লার হৃৎপিণ্ডহীন দুর্ভাগ্যের দেহ উদ্ধার, সন্দেশের মতো ছড়িয়েছে আতঙ্ক। পুলিশ তদন্তে হাত দিয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—কেন রাজনীতির অঙ্গনে শান্তি নেই? ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে শুরু করে সমাজের গলվող নৈতিকতা, সব কিছুই যেন এক সুতোয় বাঁধা। গণমানুষের গুণগানে দিনের শেষে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে শুধুই শববাহী গাড়ির আওয়াজ।
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্ভাব্য জোট: বামেরা বোহেমিয়ান, শুভেঙ্কর প্রশ্নোত্তর কিংবা রাজনীতি!
বাংলার রাজনীতির মঞ্চে এখন বামে কংগ্রেসের দেখা হচ্ছে না, শুভেঙ্কর বাবুর সময়ের অভাব যেন সভাসদদের পিছুহটানো শত্রু। আসন রফায় আলোচনা তো দূরের কথা, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। এমন রাজনৈতিক নাটক থেকে মনে হচ্ছে, গদির প্রতি প্রতিযোগিতা আর জনগণের দুর্ভোগের মধ্যকার সম্পর্কটা যেন এক সার্থক হাসির খেলা।