গণমাধ্যমের ভূমিকা
“শান্তিনিকেতনে পোস্টার-রাজনীতি: ‘অপা’র আবেদনে চট্টোপাধ্যায়দের শাসনেও কি চলছে কার্তিকের নিদ্রা?”
শান্তিনিকেতনের 'অপা'-র বাড়ির গেটে টানানো ব্যানারে যেন একটি নাটকীয় প্রতিরোধের সুর, যেখানে চলছে রাজনৈতিক বন্দুকযুদ্ধ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রতিমূর্তিতে জাগছে বিতর্কের আগুন। সমাজের নিদ্রিত সত্তাকে প্রশ্ন করছে, প্রশাসনের নৈতিকতা কি রং বদলাচ্ছে, না কি বাস্তবে সবকিছুই গণনাট্য?
“স্বামী কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকি ও পুলিশি অভিযোগ: সমাজের মোড়কে গৃহবধূর সাহসী প্রতিবাদ”
সম্প্রতি এক বধূর ঘটে যাওয়া ঘটনায় প্রকট হয়ে উঠছে সমাজের অন্ধকার দিক; যখন স্বামী প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছিল, তখন শাশুড়ি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বাণী শুনিয়েছেন। এই নির্মম রাজনীতির মাঝে, কি আশ্চর্য যে, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা আছে গণতন্ত্রের সমালোচনা। সমাজের স্বাভাবিক নিয়মগুলোতেই তো বিপন্ন মানবতা।
“খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে জঙ্গিরা, শাসন ব্যবস্থার ধূসর ছায়া: নিরাপত্তার নামে সামাজিক বিশ্বাসের ভিত্তি কি ভেঙে গেছে?”
খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ শুধু একটি আতঙ্কের ঘটনা নয়, বরং আমাদের শাসনের অন্ধকার দিক উন্মোচন করে। জামাতুল মুজাহিদের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে এক ভয়াবহ নাশকতার পরিকল্পনা, আর এ নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। প্রশাসনের নজরদারির গাফিলতি কিংবা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জবাবদিহির অভাব—এ যেন আমাদের রাজনৈতিক নাটকের নতুন দৃশ্যপট। প্রশ্ন ওঠে, এতগুলো বছর পরে কি আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো, না কি শঙ্কার প্রহরের পালা আরও দীর্ঘায়িত হবে?
“বাঙালির নারীর নিরাপত্তায় প্রশ্ন, রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজে র্যাগিংয়ের প্রেক্ষিতে আত্মপরিচয়ের খোঁজে ক্ষুব্ধ জনতা!”
গত অগস্টে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের রক্তাক্ত ঘটনায় বাংলার রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র তরঙ্গ। মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগে ৭ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে উঠেছে বিক্ষোভের ডাক। সমাজের মৃৎশিল্প, নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা এবং মিডিয়ার বিচরণে আজ জনগণের মনে প্রশ্ন, ‘শিক্ষার প্রতি আমাদের এই তাজ্জব স্বীকৃতি কি কেবলই ছল?'
কর্মী বাহিনী ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ঘটে গেল বর্বরতা, খালাসকালে মৃত্যু হল একজনের – রাজনীতির খেলা কি এটাই?
বাংলাদেশের একটি ঘটনায় শ্রমিকদের কাছে প্রতিরোধের চেষ্টা করে মৃত্যু হল কমলবাবুর। গাড়ির পিছনে চালের বস্তা খালাসের সময় ঘটে এই নির্মম হামলা, যা আজকের সমাজে নেতৃত্বের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ক্ষমতা আর আওয়াজের এই অদ্ভুত সমীকরণে, জনগণের ক্ষোভকে উপেক্ষা করে, কি এমন মানবতা? কি সত্যিই আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী, নাকি তা কেবল ভাঁজে ঢাকা একটি লুকিয়ে থাকা বিপর্যয়?
“মদ্যপ পেরেশানির চাষ: কৃষকদের অভিযোগে উন্মোচিত প্রশাসনের উদাসীনতার চিত্র”
মদ্যপান করে চাষের জমির প্রতি এই অমানবিক অত্যাচার যেমন সমাজের অবক্ষয়ের ছাপ, তেমনি এটা আমাদের শাসকদের নীরবতার একটি বিভীষিকা। স্থানীয় প্রশাসনের নিস্তব্ধতায় চাষীর দুঃখের বায়নাটি যেন মদের বোতলে বন্দী, আর সেই বোতলগুলি দেশের কৃষক সমাজের অসহায়ত্বের কাহিনি বলছে। ধর্ম, নৈতিকতা সব ভুলে রাজনীতির এই বিকৃতি, জীবনের জন্য লড়াই করে চলা কৃষকের চিৎকারে কি আমরা এখনও অবিরাম মাতাল নই?
রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্বে সুকান্তবাবুর দিল্লি-কোলকাতা ছোটাছুটি: রাজনৈতিক নাটকের প্রহেলিকা কি কখনো শেষ হবে?
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি দলের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে জেলার মানুষজনের থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। দিল্লি ও কলকাতার মধ্যিখানে গলদঘর্ম হতে হতে তিনি কি আদৌ জনগণের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবছেন, নাকি শুধুই গাড়ির গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন? রাজনৈতিক কসরতকে ‘নেতৃত্ব’ বলে চালাতে গিয়ে, সমাজের আদর্শের সঙ্গে যে এই ব্যবধান তৈরি হচ্ছে, তা কি সরকারের চোখে পড়ছে?
“টালা পার্কের বাজি পরীক্ষায় অনুপস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের হতাশা: রাজনৈতিক অঙ্গিভঙ্গির খেলার মাঠে শিরোনামের অভাব!”
টালা পার্কে বাজির পরীক্ষার জন্য ব্যবসায়ীরা আসলে শাসন ব্যবস্থা যেন গাড়ির চাকায় বৃষ্টির জল; অপেক্ষা করতে করতে তারা ফিরে যান, কারণ প্রিয় প্রতিনিধিরা হাজিরই হননি। এই নীরবতা কি শুধুই প্রশাসনের অযোগ্যতা, না কি ভণ্ডের ভীরুতা? জনতার আবেগের অভিঘাত কি শুধু বাজির আওয়াজ, না কি সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা হতাশার সুর? কেবলমাত্র নাটকীয় ভাবেই তো সামনের দৃশ্যপটে গোলমাল দেখা যাচ্ছে!