গণতন্ত্র

“আবহাওয়া বদলাচ্ছে, বিচারবিরোধী সব হত্যায় আইনজীবীদের নবান্ন: অভয়ার পরিবার শান্তি ও সত্যের খোঁজে!”
অভয়া শান্তির খোঁজে যেসব আইনজীবী সমর আওয়াজ তুলছেন, তাদের উদ্দেশ্যে এক নেতার পরামর্শ—মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরের আদালতে নাকি স্থানান্তরিত হোক, যেখানে সত্যের আলোর মুখ দেখার সুযোগ থাকবে। কিন্তু এ কি অদ্ভুত এক নাটক নয়? রাজনীতির গল্পে দ্বন্দ্ব আর নাটকীয়তা যেন প্রাণের মন্ত্রও। অভয়া এবং তার পরিবার আরও একটি রাজনৈতিক খেলার অঙ্গ, যেখানে শান্তি ক্রমশ বিস্মৃতির গহ্বরে বিলীন হতে বসেছে।

“রাজনীতির চা-শালার গলিতে, শেখ খয়রাতের প্রশ্ন: ক্ষমতার চাপে সাধারণ কর্মীর অপরাধ চা পান?”
রাজনৈতিক ভাইবন্ধুরা বসে চা খাচ্ছেন, অথচ ঘোষণা আসছে এটাই অপরাধ? সমাজের শীর্ষ বৈঠকের উষ্ণতা যখন সাধারণ কর্মীর সঙ্গেও মিলেমিশে রচিত হয়, তখন সেই মাঙ্গলিক চা আমাদের জন্য প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়—কোণঠাসা জনতার আস্থা কি এখন রুটি-চায়ের খোঁজে? গণতন্ত্রের নাট্যমঞ্চে অভিনয় চলছে, কিন্তু দর্শকরা আজ প্রশ্ন করছে, সভাধিপতির নেতৃত্বে কতটুকু পরিবর্তন আসছে?

“রাজনীতির কালিকালে আবারও হামলা: বিধায়কের গাড়িতে ঝড় তুলল আবদুল খালেকের দল, গণতন্ত্রের সুরক্ষা কোথায়?”
মিনাখাঁ থানায় কালীপুজোর নিমন্ত্রণে গিয়ে বিধায়কের ওপর হামলা, যেন রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্ব। আবদুল খালেক মোল্লার দলের হাতে আক্রান্ত নেতা প্রতিফলিত করছেন আমাদের সমাজের অসাংবিধানিক সংঘাতের চিত্র। ক্ষমতার লোভে রাজনীতি যখন নৃশংস হয়ে ওঠে, তখন সাধারণ মানুষের মঙ্গল কেমন করে শনাক্ত হবে? বাস্তবতাকে চিনতে বাকি নেই।

“দিওয়ালির ছুটির মাঝে সরকারের কর্মচারীদের আধুনিকতার ছোঁয়া: রাজনীতির পাণ্ডিত্য না কি নাগরিকের দুর্ভোগ?”
হালফিলে রাজনৈতিক দৃশ্যে যেন এক মহান রন্ধনশালা। দিওয়ালির ছুটির মধ্যে স্টক মার্কেটের বন্ধ থাকা আর পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অফিসের বন্ধের সিদ্ধান্ত মিলিয়ে বর্ষে বর্ষে ছুটি নিয়ে আলোচনা হলেও, নেতাদের কর্মফল জনগণের খরচা। ফলে, এই অপেক্ষা কবে শেষ হবে, তা নিয়ে সাধারনের প্রশ্ন উঠছে। সত্যি, আর কতদিন শূন্যতার মুর্তিতে আমাদের চলতে হবে?

কলকাতা পুলিশের নারীকনস্টেবল নিয়োগ: নতুন প্রজন্মের নারী শক্তির প্রবেশ ও রাজনীতির নাটকীয় পরিবর্তন!
গোটা সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে যারপরনাই কথা হচ্ছিল, সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতা পুলিশের ৭৭৩ জন মহিলা কনস্টেবল এখন মাঠে। প্রশিক্ষণের মঞ্চে গড়া, এই নারী শক্তির থানায় পোস্টিং কেমন হবে, সেটাই এখন ভবিষ্যতের জল্পনা। কর্তব্যপালনের আড়ালে কি শক্তি আর দায়িত্বের আসল চিত্র ফুটে উঠবে?

ভেদাভেদ আরেকবার: উত্তরবঙ্গের যানজট মুক্তির নাটক আর রাজনীতির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে জনগণের আশা!
উত্তরবঙ্গের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নানামুখী উদ্যোগে ব্যস্ত, তবে কি প্রশাসনিক কৌশল, না কি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের প্রতি সরকারের অগুরুত্ব? কলকাতার বাইপাস ও জাতীয় সড়কে যাতায়াতের এই পরিকল্পনার পিছনে গার্হস্থ্য রাজনীতির চালচলন কি প্রকাশ পায়? জনতার মনে বিবেকের আলো জ্বালতে পারলে, হয়তো প্রশাসনের এই ব্যস্ততা একটি সার্থক রাজনৈতিক কাহিনি হয়ে উঠতে পারে।

মমতার শব্দে জোরদার ডিজে ও বাজির বিপক্ষে সিনিয়র নাগরিকদের আর্জি: ক্ষমতার হাওয়ায় নিখোঁজ সংবেদনশীলতা!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উক্তি অসহায় সিনিয়র সিটিজেনদের প্রতি একটি গভীর দৃষ্টিপাত, যেখানে চলমান ডিজে এবং বাজির নগ্ন উদযাপন সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। নেত্রীর কথায় আছেও সমাজের প্রতি নেতাদের দায়বদ্ধতা—পিতৃতন্ত্রের চাদরেই চাপা পড়েছে অসংখের কষ্ট, যেন রাজনীতির নতুন ভারসাম্য নেই।

মমতার সাড়ে ১৩ বছরের শাসনে ‘ছোট্ট’ ধর্ষণ: রাজনীতির নাটক ও সমাজের বিপর্যয়!
রাজনীতির এ অঙ্গনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনার পাঁচফোড়ন যেন গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। যখন তিনি ধর্ষণকে 'ছোট্ট ঘটনা' বলেন, তখন সমাজের বিবেক নিভে যায়। এইলাই বা কি তার ১৩ বছরের শাসনের প্রতিনিধি? জনগণের সারাংশ, আজও কি ধুলোবালির সঙ্গে এসব ভেসে যাবে, নাকি মাতৃস্বরের অঙ্গীকারে নতুন পথ তৈরী হবে?

“শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে ভোটারদের উল্কা, কিন্তু পুলিশের প্রহরা: রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্বের সূচনা!”
নির্বাচনের বাক্য রাখতে শান্তিপূর্ণ দৃশ্য! তবে ২ হাজার ভোটারের স্রোতে, পুলিশি কড়াকড়ির মাঝে, স্রষ্টা যিনি, গুণীজনের পর্যালোচনা কোথায়? এই সমবায় নির্বাচন যেন শাস্ত্র ও সংসদ, যেখানে গণতন্ত্রের মুখোশে ছদ্মবেশী কিছু উঁচু বারান্দায় বসে, সাধারণের কণ্ঠস্বর বিলীন হয়ে যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর রাতভর নবান্নে কাটানোর মানে কী? নেতৃত্বের নাটক নাকি জনগণের সংকটের অদ্ভুত সভ্যতা?
মুখ্যমন্ত্রীর বদান্যতায় অপরাহ্নের আলোয় নবান্নে কাটানো সময় যেন সূচিত করছে নতুন এক নাটকের। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ ও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গী হয়ে তিনি জনতার প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার করছেন, অথচ কি বিচিত্র সেই আশার জাল—ভাড়া করা সুরে কি সত্যিই দোলা খাবে সমাজের হৃদয়?