গণতন্ত্র

বামেদের বিরুদ্ধে তরুণজ্যোতির তোপ: ‘বিএনপি-মৌলবাদীদের আসল রং দেখাচ্ছে সিপিএম!’
বাংলাদেশের বিষয়টি সামনে এনে সিপিএমের বিবৃতি নিয়ে তরুণজ্যোতি অতি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলেছেন। মৌলবাদ ও হিন্দুত্ববাদকে একাকার করে, যেন দ্বিধা নিয়ে প্রতিষ্ঠার পথে বামেরা তাদের আসল রং প্রকাশ করছে। গ্রামের সুখের কথা বললেও, রাজনীতির কারাগারে বন্দী বন্ধুরা নিজেদের বক্তব্যে কি ভাদ্রলগ্নের সাজ সাজতে শুরু করেছে? মাঠের মানুষ এই নাটক দেখে কি পারে, ভাববার বিষয় হয়েছে।

বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে প্রশ্ন: সফলতা নাকি ক্ষমতার প্রদর্শন? ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ
বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ৩০ নভেম্বরের শেষ দেখে এক কোটি সদস্যের লক্ষ্য পূরণ করা কি সত্যি সম্ভব? রাজ্যের নেতাদের বাস্তবতা অগ্রাহ্য করে, সংগঠনের অবস্থা বোঝাতে চাইছেন না। সত্যিই, গণতন্ত্রের মঞ্চে এমন নাটকীয়তা দেখে যেন রবীন্দ্রনাথের কল্পনাও লজ্জিত হবে। সদস্য গড়ার খেলা না হয়ে উল্টো জনগণের আস্থা অর্জনের পরীক্ষা এমন যেন!

“পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ: রিপোর্টে কারসাজি, সাসপেন্ড হওয়া কর্মীদের প্রতিবাদে উত্তাল রাজনীতি”
নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে ৯ জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনা আলোচনার ঝড় বয়ে এনেছে। তাদের অভিযোগ, দায় এড়াতে রিপোর্টে কারসাজি চলেছে; অর্থাৎ, সত্যের চেহারাটা কেমন হলেও, গণতন্ত্রের চাদর তলে অসৎ মানসিকতার আধিক্য। সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও নিকেশের তালিকায় ডাকা হচ্ছে—এ কি প্রশাসনের ভাবমূর্তির আত্মস্বীকৃতি? প্রতিটি ঘটনার মধ্যে যেন দেশের রাজনৈতিক চিত্রের এক অশান্ত প্রতিফলন মিলছে।

দিলীপ ঘোষের মন্তব্য: তৃণমূলকে কোম্পানি হিসেবে অভিহিত, রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও নেতৃত্বের নতুন দ্বন্দ্ব!
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তৃণমূলের কর্মসমিতিকে কোম্পানির তুলনায় আনা যেন রাজনৈতিক পারদর্শিতার বিকৃত রূপ। তিনি বলছেন, মালিকই ঠিক করবেন কর্মচারীর ভাগ্য, অথচ এই 'কোম্পানি' অগণন প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন, স্বজাতিকে বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। রাজনৈতিক জীবনের পটভূমিতে, যেভাবে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা গুমরে যায়, তাতে জনগণের আশা হতাশায় মিলেমিশে পলিমাটির মতো হয়ে যায়।

মমতার কৌশল: কয়লা পাচার মামলায় জেল থেকে মুক্তি পেয়েও অনুব্রতকে কেন পার্টির নেতৃত্বে রেখেছেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ ২ বছর জেলবন্দি থাকা অনুব্রতকে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে সরাননি, কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর বোলপুরে ফেরা সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। কি হাসি! রাজনৈতিক ভবিষ্যত যেন এক নাটক, যেখানে নায়ক কবির অক্ষরশূন্য। জনতার মাঝে কি আসল সত্যি, নাকি মহাকাব্যের চরিত্রগুলি শুধুই প্রতীক?

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক তোলপাড়: ৩ IPS কর্মকর্তার দ্বারা তদন্তের নির্দেশ, সিবিআই তদন্ত অগ্রাহ্য!
সোমবার বিচারপতি সূর্যকান্ত ও উজ্জ্বল ভুয়ানের নির্দেশ প্রসঙ্গে, সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন না মেনে পশ্চিমবঙ্গের ভিনরাজ্যের তিন IPS আধিকারিকের উপর দায়িত্ব পড়েছে। এখানে সদা বিরোধীশক্তির মুখে, আইনশৃঙ্খলার দদবদল যেন শাসকের নীরব হাসির রহস্য। জনগণের প্রতি এই নিশ্চয়তা আসলে কতটা আস্থার, সমাজের গূঢ় সংকটকে যদি আমাদের নেতারা দেখেন।

“তৃণমূলের বিপুল জয়ে বদলে যাচ্ছে রাজনীতির সমীকরণ, নবনির্বাচিতদের শপথগ্রহণে জনগণের আশার আলো?”
রাজ্যের ছয় কেন্দ্রের বিধানসভা নির্বাচন দেখল তৃণমূলের ত্বরিত বিজয়, যেন পুলিশে চাকরি পাওয়ার লটারি। সোমবার থেকে বসবে বিধানসভা, নব নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণকে ধরা যাক এক নূতন নাটকের প্রথম আয়োজক। তবে এ জয় কি রাজনীতির মঞ্চে নতুন কাহিনী রচনা করবে, নাকি পুরনো ঢাকের তালেরই পুনরাবৃত্তি?

রাজ্যপালের বর্ষপূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি: রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব নাকি সামাজিক আলোচনার সূচনা?
রাজ্যপালের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অনুপস্থিত। রাজনৈতিক নেতাদের এড়িয়ে গিয়ে কি রাজ্যপাল কর্তৃক গণতন্ত্রের গান বাজানো হচ্ছে, না আত্মমহিমার সুর? সমাজের পরিবর্তিত মানসিকতার চিত্র যেন রাজনীতির আড়ালে গাঢ় এক দুর্বোধ্য কথার আবরণ।

বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেতাদের বিভাজন: বাংলার রাজনৈতিক চিত্রে নতুন সংকট ও প্রশ্নবোধক পরিস্থিতি
কলকাতার রাজনৈতিক মঞ্চে গতিপ্রকৃতি অদ্ভুত, যেখানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে, অথচ দলের অভ্যন্তরে বিভাজন যেন পর্বতমালার মতো উঁচু। বিধায়কদের কোণঠাসা করে এমপিদের অপ্রয়োজনীয় গৌরব দেওয়া, এই প্রকৃতির খেলা কি নৈতিকতার প্রেমে অবহেলা? জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার স্রোতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ কতটা যুক্তিসঙ্গত, ভাবার বিষয়।

কলকাতা পুলিশের রদবদলে চাঞ্চল্য, নতুন নেতৃত্বের অধীনে পরিবর্তনের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বারাবনির সাব ইন্সপেক্টর মনোরঞ্জন মণ্ডল সাসপেন্ড, কাঁকসার আইসি পার্থ ঘোষ কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে, আর কলকাতা পুলিশের রদবদলে মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি ঢেলে সাজানোর ঘোষণা; এই সব কিছু যেন শাসন ব্যবস্থার ঢাকঢোল, কিন্তু জনমানসে তার প্রতিধ্বনি শোনার কেউ নেই। অত্যাচারিত সমাজের মুখে হাসি ফোটাতে সরকারের উদ্যোগ জনসাধারণের হৃদয়ে স্থায়ী না হলেও, সঙ্গীতের অবসান ঘটিয়ে দূরপাল্লার দৌড়ে — এরপরেও কি রাজনীতি অবিরাম?