গণতন্ত্র
“রাজনৈতিক অশান্তির মধ্যে ধোঁয়ার শিখা: পার্টি অফিসে আগুন নিয়ে জনমনে বিতর্কের ঝড়”
সকালবেলা স্থানীয়দের চোখে ধরা পড়ে একটি রাজনৈতিক দলীয় অফিস থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আগুনের লেলিহান শিখা নয়, বরং ক্ষমতার আত্মমগ্নতার সাঙ্গে জড়িত কিছু নিতান্ত সাধারণ উপাদানের প্রশংসা। সরকার তথা দলের নেতৃত্বের উজ্জ্বলতার আড়ালে, এরকম ক্ষুদ্র ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, রাজনৈতিক পরিবেশে খণ্ডকালীন বিপর্যয়ও কিভাবে বৃহত্তর সামাজিক অনিশ্চয়তা ডেকে আনতে পারে।
শাসক শিবিরে অস্বস্তি: তৃণমূল নেতার দুর্নীতির অভিযোগে, সাধারণ মানুষের ভাতা কীভাবে বিলম্বিত?
তৃণমূলের এক নেতার গুরুতর অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, সাধারণ মানুষের ভাতার ক্ষেত্রে দুর্নীতির হাওয়া। দলেরই কাউন্সিলরের টুইটিটে শাসক শিবিরের জন্য যেন নতুন বিপদ—গভীর রাতের অসম্ভব স্বপ্নের মতো। রণবীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ১৩ নভেম্বরের বোর্ড মিটিংয়ে প্রশ্ন করবার, কিন্তু কারা উত্তর দেবেন? যেন নির্লিপ্ত দণ্ডকারণ্যের মূর্তিতে বিরাজ করছে জনতার অসন্তোষ।
“এখনকার রাজনীতিতে অশোক স্তম্ভের পরিবর্তে হাওয়াই চটি; সুকান্তের বিতর্কিত মন্তব্যে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ!”
নির্বাচন কমিশন সুকান্ত মজুমদারকে নোটিশ পাঠিয়েছে তার অশোক স্তম্ভ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, যেখানে তিনি তৃণমূলকে দালালি করার অভিযোগ তুলে অশোক স্তম্ভের ছোট খাটো অপমান করেছেন। এই মন্তব্যে ধরা পড়েছে আমাদের রাজনৈতিক দৃশ্যে গভীর হতাশা, যেখানে নেতাদের মুখে জাতির আভিজাত্য হারিয়ে যাচ্ছে এবং রাজনৈতিক চেতনা হাওয়াই চটির সমতলে দেবে যাচ্ছে। অসহিষ্ণুতা ও অবজ্ঞার এই নাটকে, জনগণের অনুভূতির প্রতি অদৃষ্টবিহারী নেতাদের উদাসীনতা এক নতুন ধরনের সাংস্কৃতিক সংকট সৃষ্টি করছে।
“রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার নজরদারিতে নতুন প্রযুক্তির ঢেউ; রাজনীতির নাটক বা সিসিটিভির চোখ?”
দেশের আইনশৃঙ্খলার সুরক্ষায় ডিজি কন্ট্রোলের নতুন প্রযুক্তির সংযোগে সিসিটিভির সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ছে, কিন্তু একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, কি করে গণতন্ত্রের এই নজরদারি জনগণের নিরাপত্তা আর স্বাধিকারের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। ৩৮টি জেলার পুলিশ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির এ যেন এক বৈপরীত্য—সুরক্ষায় গেলেও সাধারনের স্বাধীনতায়, কল্পনায়, তৈরি হচ্ছে তীব্র উদ্বেগ ও বিতর্ক।
“ত্রিধারার হুমকি: ডাক্তারদের জবাবদিহি নিয়ে তৃণমূলের রাজনীতির উজ্জ্বল বিস্ময়!”
তৃণমূল নেতাদের হুমকির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেবজিৎ ভৌমিক ও লতিফুল শেখকে শোকজ করায়, রাজনৈতিক চাপের নাটক আবারো স্পষ্ট। কি অদ্ভুত কথা! চিকিৎসকরা যেন ভিক্ষা চাইছেন, অথচ রোগীর পাশে থাকার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের হাতে শৃঙ্খলার মুখোশ, সমাজে নীতির বরজা, এ কী পরিহাস?
“সিপিএম নেতা সোমনাথ ঝাঁ-এর বহিষ্কারে টালিগঞ্জে উত্তেজনা: রাজনৈতিক নৈতিকতা ও সাধারণ জনতার প্রত্যাশার সংঘাত!”
গত শুক্রবার টালিগঞ্জের সম্মেলনে সিপিএমের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেল, যখন সোমনাথ ঝাঁকে বহিষ্কারের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই অসন্তোষ শুধু দলের রন্ধ্রে নয়, সমাজের গভীরে দাগ কাটছে; Governance-এর খেলা, নেতাদের ব্যর্থতা, ও জনতার ক্ষোভ উত্তরের অপেক্ষায়—রাজনীতির চোরাগলিতে আদর্শের ছায়া খুঁজে পাওয়া যেন এক অতি বিমূর্ত কাব্য।
“মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন, প্রশাসনের বাধায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ গ্রুপ–ডি ঐক্য মঞ্চের সংকট!”
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গ্রুপ–ডি ঐক্য মঞ্চের ধরনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশ, যেন নিরঞ্জনের ভেতরে রেখেছে বিবেকবিচারের কোদালে; কলকাতা হাইকোর্টের দিকে দৃষ্টি ফেরানো এক অব্যক্ত প্রশ্ন, সরকারি ক্ষমতার খোঁজ? আর ভাবুন, কবে নবান্নের সামনে জনগণের চিৎকার들 হবে স্বাধীন সুরে, নাকি শাসকদের দৈন্যদশার প্রতিধ্বনি হয়ে থাকবে?
“বিএড কলেজের ভর্তিতে প্রশ্ন: কোন মানবিক চেতনার উৎস? এনসিটির নির্দেশিকা কেমনভাবে উপেক্ষিত?”
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬০০-৬৫০ টি বিএড কলেজের বাস্তবতা নিয়ে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভর্তি চলছে, অথচ পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। গণতন্ত্রের রঙিন অধিকার কেবল মুখের কথায়; বাস্তবে কেমন অদ্ভুত মোহেরা! শিক্ষার নামে কি চণ্ডালাচার?
“মহামিছিলের অনুমতি না পেয়ে বিজেপির শাহরুখ খানের ‘তোরা কোথায়’– শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠকে রাজনৈতিক নাটকের নতুন থিম”
মহামিছিলের জন্য আবেদন করে বিজেপি, অথচ অনুমতি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে, যেন রাজনীতির পীঠস্থানে শাসকদল নিজের পায়ের নিচে মাটি নেই। শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক যেন নাটকের পর্দার আড়ালে গভীর নিরাশার ছবি ফুটিয়ে তোলে, যেখানে গণতন্ত্রের স্বরূপ তবুও অধরা, এবং সত্যি-মিথ্যের খেলা সুখকর নয়।
“বহিষ্কারের পথে সিপিএম; সোমনাথ ঝাঁর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ—রাজনীতির নাটকে অস্থিরতা ও বিভেদের লক্ষ্মণ!”
রাজনীতির অঙ্গনে ঢাল হয়ে এলেন সোমনাথ ঝাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পারদ। সিপিএমের টালিগঞ্জ–২ এরিয়া কমিটি সবার সম্মতিতে বহিষ্কারের পথে হাঁটলেও, প্রশ্ন উঠছে—এ কি নতুন মঞ্চে পুরনো খেল? শোকজের চিঠি, সভা-সভা আর অভিযোগের ছাঁচে বন্দী, জনগণের আশা কি হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে? রাজনীতির এই দোলাচলে বাংলার মানুষের প্রতীক্ষা কি আদৌ কোন রূপকথা হবে?