কলকাতা
কলকাতা পুলিশের মমতার প্রতি আনুগত্য: তৃণমূলের নিরাপত্তা সংকটে বাড়ছে সমালোচনা!
কলকাতার চিকিৎসা কলেজের ঘটনার তদন্তে পুলিশ বেদের ঘর, মমতার প্রতি আনুগত্যে এত্ত দূর গিয়েছে যে, তৃণমূলের নেতারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। জনস্বার্থের বুর্জোয়া নাটকের মাঝে, সাধারনের নিরাপত্তা হারিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি, যে গদি ও গণতন্ত্রের চরিত্রে খোঁজে ফিরছে মানুষ, কিন্তু কোথাও নেই সূর্যের রেখা।
“মেয়রের ক্ষোভে কেঁপে উঠলো লালবাজার, সুশান্ত ঘটনার রাজনৈতিক নাটক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর চিত্র প্রকাশ পেল!”
কলকাতার পুরসভায় সুশান্ত ঘোষের ওপর হামলাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবে চিহ্নিত করার পেছনে গভীর রাজনৈতিক সদ্ভাবের অভাব ফুটে উঠছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের তীব্র প্রতিক্রিয়া এখন লালবাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেন ক্ষমতার এই খেলা বৈমাত্রেয়তা ও বিভেদকে নতুন রূপে হাজির করেছে। মমতার নিকটবর্তীরাও যখন ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বে জর্জরিত, তখন জনগণের উদ্বেগ প্রকাশের সুযোগ হিসেবে এক নতুন আলোচনা জন্ম নিচ্ছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনের ক্ষয়ে যাওয়া আদর্শের জন্য একটি বিষণ্ন কবিতার মতো।
“দরিদ্রের চাপে অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসায় টোটোয় কলকাতার পথে, সরকার কি সচেতনতার অন্তরালে?”
উপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি টোটো চালিয়ে সংসার চালান, অসুস্থ স্ত্রী শিবানীকে কলকাতায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তাও আবার অ্যাম্বুলেন্স জোগাড়ের অভাবে। এ যেন রাজনীতির বাঁধনহীন অস্থিতিশীলতার সঙ্গী অসহায়তার প্রতীক; যেখানে সাধারণ মানুষের সহজ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন বরাবরই এক নগর কাব্যের মতো। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কাক্সিক্ষত উন্নয়ন তো বোধ হয় অন্য জগতের গল্প, কিন্তু এই মানুষগুলোর সংগ্রাম যেন আমাদের মানবিক জীবনের আসল গল্প।
দূষণের বাতাসে উৎসবের আনন্দ, শাসকদল কি ভুলে গেল জনগণের সুস্থতা?
উৎসবের মরশুমে কলকাতার বাতাসের শুদ্ধতা নিয়ে গরম আলোচনা চলছে, যখন নেতৃবৃন্দ পরিবেশের কথা বলছেন, কিন্তু চুপ করে মেনে নিচ্ছেন নিজেদের দায়বদ্ধতা। গবেশনানো প্রলাপ, আর সাধারণ মানুষের কষ্ট যেন মাধুরী পেতে পেয়ে গিয়ে গরজে বাজিতেছে। সমাজের স্বাস্থ্য ও রাজনীতির অপদার্থতা, এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বের নাটক।
“নাচের রঙে সমাজের চেহারা: ‘Waack Girls’ সিরিজে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের সাহসী গল্প”
প্রাইম ভিডিও তাদের নতুন গণমাধ্যমের সিরিজ 'ওয়্যাক গার্লস' ঘোষণা করেছে, যা ২২ নভেম্বর মুক্তি পাবে। কলকাতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছয় তরুণী নৃত্যশিল্পীর কাহিনী এখানে উঠে এসেছে, যারা নিজেদের প্রতিভাকে সমাজের তরঙ্গে উপেক্ষা করে প্রতিস্থাপন করছে। নৃত্যের মাধ্যমে স্ব-identification এবং পারিবারিক প্রত্যাশার বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত এই শো, বর্তমান সমাজের প্রতিফলন এবং যুবকদের মধ্যে স্বপ্নের প্রতি উৎসাহ জাগ্রত করবে, এমনটাই আশা করছেন নির্মাতারা।
“কলকাতা পুরসভা: প্রাকৃতিক গ্যাসের স্বপ্নে পেট্রল-ডিজেলের দূষণ, রাজনীতির প্রহসনে পরিবেশের দারুণ খেলা!”
কলকাতা পুরসভা শহরের যানবাহনকে প্রাকৃতিক গ্যাসে চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে উৎসাহ তো অবশ্যই, কিন্তু বায়ুদূষণ কমানোর নামে আসল জটিলতা মিটবে তো? পেট্রল ও ডিডেলের দাম বাড়ছে, আর নেতারা নতুন প্রকল্পের সুরে সুর মিলাচ্ছেন। বায়ো গ্যাসের সপক্ষে যা কিছু বলার, তা মনে হচ্ছে যেন নক্ষত্রমণ্ডলে নয়া আলোর আশায় নিমগ্ন। সমাজের নাগরিক সচেতনতা কি আর একবার সত্যিকার পরিবর্তন আনতে পারবে?
অভিষেকের কলকাতা প্রত্যাবর্তন, মমতার কালীপুজোতে উপস্থিতি; জন্মদিনের রাত পোহালে রাজনীতির নতুন সমীকরণ!
বহির্বিশ্ব থেকে চোখের অস্ত্রোপচার সেরে কলকাতায় ফিরেছে অভিষেক, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোতে তাঁর উপস্থিতি যেন রাজনৈতিক নাটকের পাতা। শনিবারের আমতলার সভা এবং কুণাল ঘোষের মন্তব্যে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠছে যে, তাঁর জন্মদিনে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ প্রস্ফুটিত হবে। তবে, এ বেলায় কি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান রাজনৈতিক আবরণের পাশাপাশি ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে?
“দিওয়ালিতে গ্যাসের দামে রক্ষা পেলেও কলকাতার গৃহস্থের পকেটে খអ្នក তলানি, Subsidy পেতে ব্যাংকেও মৃত্যু?”
দিওয়ালির অছিলায় ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হলেও, কলকাতার গৃহস্থরা যেন পকেটে ছেঁড়া কাপড় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন—কারণ ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে রান্না। সরকারের অঙ্গীকারে কেবল ফাঁকা শ্লোগান, গ্যাসের ভর্তুকি সে সঙ্গে আজকের ঘটনা; অথচ ব্যাঙ্কে গ্যাসের ভর্তুকি নেই। এই অবস্থায় কি ভাগ্যবান আমরা?
মমতার রান্নাঘরে মা কালীর ভোগ: রাজনীতির মুখোশের তলে স্পষ্ট পিতৃসুলভ ধর্মানুষ্ঠান, জনগণের নীরব প্রতিক্রিয়া!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাড়ির রান্নাঘরে মা কালীর জন্য ভোগ প্রস্তুতের মনোমুগ্ধকর ছবি শেয়ার করে রাজনৈতিক মঞ্চে একটি নতুন সুর লক্ষ্য করেছেন। সরকারের কাজের সমালোচনার মাঝে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যে প্রকাশ্য নিপুণতা, তা দেশের সংকটময় রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতি একটি নির্মম চিরকূট বয়ে আনে। সমাজের নান্দনিকতাকে আঁকড়ে ধরে, নতুন করে ভাবার সময় এসেছে কি?
“কালীপুজোর রাতে রেল নীতি: মেট্রোর উন্নয়ন নাকি ভোটের খেলা?”
কালীপুজোর রাতে কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বরের ভিড় বাড়াতে বিশেষ মেট্রোর ব্যবস্থা, যেন ধর্মের ফুলে ফুলে সাজানো এই রাজনীতির চাষবাসে আরও এক দানা যোগ হয়। জনগণের চাহিদা আর শাসকের উদ্যোগে যখন এমন খেলোয়াড়ি চলছে, তখন প্রশ্ন জাগে—পূজা বলতে কি শুধু বিশেষ টিকিটের ব্যবস্থা? সমাজের অন্তর্দৃষ্টি কি সত্যিই এই মন্দিরে পৌঁছাবে, নাকি স্রেফ মেট্রোর চাকা হেঁটেই ভিড় বাড়বে?