আন্দোলন
“রত্নগর্ভা সমাজের মূর্তি: জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে সরকারের শিরদাঁড়ায় শক্তি ও দুর্বলতার খেলা”
রাজ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবে মূর্তিটি প্রদর্শন করা হচ্ছে, যেন একদিকে চলমান প্রশাসনিক উদাসীনতার নিন্দা করা হয়, অন্যদিকে সমাজের অসংবেদনশীলতা প্রকাশ পায়। মনে হচ্ছে, রাজনীতির ক্রীড়াঙ্গনে চিকিৎসার আশা আজ শুধুমাত্র অভিনেতাদের খেলার ক্ষেত্র। জনতার মনের অন্তর্দৃষ্টি কি এক সময়ে সত্যিই মূর্তি পাবে?
“মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন, প্রশাসনের বাধায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ গ্রুপ–ডি ঐক্য মঞ্চের সংকট!”
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গ্রুপ–ডি ঐক্য মঞ্চের ধরনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশ, যেন নিরঞ্জনের ভেতরে রেখেছে বিবেকবিচারের কোদালে; কলকাতা হাইকোর্টের দিকে দৃষ্টি ফেরানো এক অব্যক্ত প্রশ্ন, সরকারি ক্ষমতার খোঁজ? আর ভাবুন, কবে নবান্নের সামনে জনগণের চিৎকার들 হবে স্বাধীন সুরে, নাকি শাসকদের দৈন্যদশার প্রতিধ্বনি হয়ে থাকবে?
“নিজের অতীতকে আলিঙ্গন করে সিপিএম: নকশালদের সাথে অস্থায়ী প্রেমের খেলা!”
রাজনীতির অমলিন চালে, সিপিএম আজ নকশালদের সাঙ্গ করে ভোটের দলে নামার চেষ্টা করছে, একসময় যাদের কাঁকসাল বলে খোঁচা দিত। ডাক্তারদের আন্দোলনে ইন্দ্রিয়ম্মাল এই জোটের প্রমাণ দেয়, সরকারী কার্যকলাপের খোলসের ভেতর তালাশ করছে শক্তিপরীক্ষা। দুর্বলের হাত ধরার এই নাটক আদর্শের বদলে বর্তমানের রঙিন রাজনৈতিক প্যালেটে জীবনের তীব্রতা ইউনিসুনে বাঁধছে।
“দুর্গাপুরের স্কুলে শিক্ষক-ছাত্রী অশালীন ঘটনার অভিযোগ: আমাদের সমাজে কি শিক্ষা এবং নিরাপত্তা এখন ভ্রমর গানের মতো?”
দুর্গাপুরের সরকারি স্কুলের অভিভাবকেরা যখন শিক্ষক হিসেবে যোগদানকারী এক অশালীন কর্মীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব, তখন আমাদের সমাজের নৈতিকতার সংকট যেন প্রকাশ্যে এসে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার sanctum হারিয়ে ফেললে, কেমন করে গড়ে উঠবে ভবিষ্যত প্রজন্ম? নেতাদের নিদ্রার মাঝে, একদিকে প্রশ্নবিদ্ধ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা; অন্যদিকে, ছাত্রীদের নিরাপত্তার প্রতিজ্ঞা। কিছুর পরিবর্তন হবে তো, নাকি অভিভাবকদের সুর নেয়ার সুযোগেও সরকারী গুন্ডামি?
“আবহাওয়া বদলাচ্ছে, বিচারবিরোধী সব হত্যায় আইনজীবীদের নবান্ন: অভয়ার পরিবার শান্তি ও সত্যের খোঁজে!”
অভয়া শান্তির খোঁজে যেসব আইনজীবী সমর আওয়াজ তুলছেন, তাদের উদ্দেশ্যে এক নেতার পরামর্শ—মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরের আদালতে নাকি স্থানান্তরিত হোক, যেখানে সত্যের আলোর মুখ দেখার সুযোগ থাকবে। কিন্তু এ কি অদ্ভুত এক নাটক নয়? রাজনীতির গল্পে দ্বন্দ্ব আর নাটকীয়তা যেন প্রাণের মন্ত্রও। অভয়া এবং তার পরিবার আরও একটি রাজনৈতিক খেলার অঙ্গ, যেখানে শান্তি ক্রমশ বিস্মৃতির গহ্বরে বিলীন হতে বসেছে।
“গুরুতর অভিযোগের মাঝে সায়ন্তিকার মিছিল: سياسية নাটকের একটি নতুন পর্বের সূচনা!”
তন্ময়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের আবহে সায়ন্তিকা যেন এক নতুন যাত্রায় পা রাখছেন, উত্তরের বারানগরে মিছিলের ডাক দিয়ে। বিকেল চারটেয় শুরু হবে তার নেতৃত্বে, এরপর দক্ষিণ বরানগরের মিছিলও অপেক্ষমাণ। এই রাজনৈতিক নাটকের পটভূমিতে প্রশ্ন উঠছে, নেতৃত্বের আসল মুখ কোনদিকে, এবং আমরা যাদের জন্য আশার আলো দেখছি, তারা কি সত্যি আমাদের প্রত্যাশার অগোয়াড়? রাজনৈতিক মহলের গেমপ্লে যেন এক দার্শনিক প্রশ্নের সম্মুখীন—ক্ষমতার চাতুরিতে কখনো মানবতা হারায়, অথবা মানবতার পথিকৃৎ হয়ে ওঠে?
“মমতার চা প্রস্তাব ফিরিয়ে, ডাক্তারদের উষ্ণ বিরোধ: রাজনৈতিক আলাপের চালে সঠিক পথ খুঁজছে সমাজ?”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চায়ের প্রস্তাব মুচকি হাসি ফুটিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে, যেন শাসনের কোমলতা আর কঠোরতা উভয়ের একটি অভিনব খেলা। অনশনরতদের দিকে নির্দেশ করে উল্টোতরঙ্গের আভাস দিলেন, যেন রাজনীতির চায়ের কাপটি খালি। এই তর্কবির্তক সমাজের তৈরি বিদ্রূপ, যেখানে চিকিৎসার দাবি আর শাসনের স্বাদ একসঙ্গে মিশে গেছে।