নির্বাচনের খরচ কমবে, তবে রাজ্যগুলোর মেয়াদ পার্থক্যে সরকারের প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর?

NewZclub

নির্বাচনের খরচ কমবে, তবে রাজ্যগুলোর মেয়াদ পার্থক্যে সরকারের প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর?

সকলেই জানে, সরকারের যুক্তি হলো একত্রিত নির্বাচনের মাধ্যমে খরচ কমানো ও নির্বাচনী বিধিনিষেধের ঝক্কি থেকে মুক্তি। তবে বিরোধীরা জানিয়ে দিচ্ছে, প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ আলাদা, যে কারণে রাজনীতির চক্কর থেকে সমাজের উন্নয়ন কার্যত থমকে থাকছে। এই গেম-অফ-থ্রোনসের মাঝে, উন্নয়নের বুলি গাওয়া নেতাদের খালি কথার সাজ সজ্জা ছাড়া কিছুই নয়। জনগণের ভোগান্তি যেন রাজনৈতিক নাটকের একটি অংশ হয়ে পড়েছে।

নির্বাচনের খরচ কমবে, তবে রাজ্যগুলোর মেয়াদ পার্থক্যে সরকারের প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর?

  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের বাহিনী পাঠানোর দাবি, ইঙ্গিত সংঘাতের এবং ইউনুসের সরকারের অক্ষমতার দিকে – Read more…
  • শিক্ষার্থীদের খাবারে ডিমের দাম বৃদ্ধি, সরকারের বরাদ্দে ঘাটতি ও শাসনের অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমাজ – Read more…
  • বিচারপতি সূর্যকান্তের মন্তব্য: আদালতে কর্মসংস্কৃতি প্রয়োজন, রিপোর্ট জমা না হওয়ায় চাঞ্চল্য! – Read more…
  • ধর্না মঞ্চে বিধায়ক লাভলি মৈত্রের কুরুচিকর মন্তব্যে উত্তাল সোনারপুর, তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে – Read more…
  • পুলিশের হাতে গ্রেফতারি: জনগণের নিরাপত্তা বা শাসনের ফালতু ব্যবহার? – Read more…
  • নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা: উন্নয়ন নাকি শাসন? এনডিএ সরকারের নতুন উদ্যোগ

    সম্প্রতি, এনডিএ সরকারের একটি নতুন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে, যা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সরকারের মতে, এই ব্যবস্থাপনা কার্যকর হলে নির্বাচনের খরচ কমবে এবং নির্বাচনকালীন বিধিনিষেধ ও আদর্শ আচরণবিধির মতো ‘ঝামেলা’ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সরকার আশাবাদী যে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সময় বাড়বে। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে—এই ‘উন্নয়ন’ কি আসলেই জনগণের জন্য?

    বিরোধী দলের অস্থিরতা

    বিরোধী দলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তাঁরা সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার সমালোচনা করছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভा নির্বাচনের মেয়াদ আলাদা হওয়ায় এনডিএ সরকারের জন্য দায়িত্বশীলতার প্রশ্ন ওঠে। জনগণের কী প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে। রাজনৈতিক শোভা চরম সংকটের মধ্যে রয়েছে। উন্নয়ন বা শাসন—সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের বিশ্বাস অর্জন।

    রাজনৈতিক নাটক ও জনমনে প্রতিক্রিয়া

    এই রাজনৈতিক উত্তালে জনগণের মধ্যে কৌতূহল বাড়ছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে, “আমরা কি শুধুই ভোটদানযন্ত্র?” গণতন্ত্রের এ সংকটকালে যে কোনো সরকারের জন্য পরিকল্পনা অপরিহার্য হলেও, সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর কি এই পরিকল্পনার মধ্যে থাকবে? রাজনীতির এই নাটকের মূল ভাবনা বোঝা জরুরী।

    গণমাধ্যম ও সমাজের প্রতিচ্ছবি

    গণমাধ্যম এই রাজনৈতিক বিষয়টি দুই দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরছে: একদিকে সরকারি বক্তব্য এবং অন্যদিকে বিরোধী দলের আপত্তি। এই পরিস্থিতিতে একটি মৌলিক প্রশ্ন উঠে আসে—গণমাধ্যম কার পক্ষ কমিস্তে হবে? সংবাদপত্রের দায়িত্ব সরকারী দাবি এবং জনগণের চাহিদার যথাযথ ব্যাখ্যা করা। ভবিষ্যতে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা সময়ের দাবি।

    জনমত ও সামাজিক পরিবর্তন

    এই সরকারের সিদ্ধান্ত সমাজে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যুবসমাজের মধ্যে অসন্তোষ ফুটে উঠছে; তাঁরা জানতে চাইছেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ কি নির্বাচনী ধান্দায় কাটাতে হবে?” মূল প্রশ্ন হল, সরকারের পরিকল্পনাগুলি জনজীবনের বাস্তবতার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। জনগণের প্রার্থনা আসলে উন্নয়ন নয়, উন্নয়নের বাস্তবতা প্রাপ্তির দিকে।

    সার্বিক পর্যালোচনা

    এনডিএ সরকারের নতুন উদ্যোগ জনগণের কাছে একটি অস্বাভাবিক বিস্ময় তৈরি করেছে। জনগণের স্বার্থ এবং প্রকৃত উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় সাধন কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি নীতিগুলিতে জনগণের আস্থা তৈরি হয়, তবে তা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক দিক থেকেও কার্যকর হবে। বাঙালির মনোভাব দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার অক্ষমতার প্রতিফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    মন্তব্য করুন