জোড়াই স্টেশনে ফের রেল অবরোধ—গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন আন্দোলন একটি নাটকীয় পালা, যেখানে বাতিল বন্দে ভারতের মতো ট্রেনের মতো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও মেঘের অন্তরালে। নেতাদের বিশ্বম্ভর নাট্যরূপ যেন ক্ষমতার খেলার আড়ালে বিপর্যস্ত জনগণের মাঝে প্রশ্ন তুলে—আসলে কারা রাজনীতির সত্যিকারের খেলোয়াড়? সমবেত জনগণের কণ্ঠস্বর কি শুধুই প্রতিধ্বনি, নাকি পরিবর্তনের কণ্ঠস্বর? এটাই এখন ভাবার বিষয়।
রেল অবরোধ: জোড়াই স্টেশনে নতুন আন্দোলনের সূচনা
পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক অদূরদর্শিতার কারণে রেল অবরোধের তাণ্ডব যেন থামছে না। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন আবার তাদের পুরনো আন্দোলনে ফিরে এসেছে, এবারে তারা জোড়াই স্টেশনে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে অশান্তি ও অসন্তোষ দ্রুত ছড়াচ্ছে, যা রাজনৈতিক অবস্থার নতুন মাত্রা সৃষ্টি করছে। নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মাঝে জনসাধারণের কান্না যেন এক অবিরত সুরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
বর্তমান আন্দোলনের ফলে বাতিল হয়ে গেছে জনপ্রিয় বন্দে ভারত ট্রেনও। কোচবিহারের বাসিন্দাদের দাবি, সরকারের উচিত তাদের যাত্রাসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—क्या সরকার এই আওয়াজ শুনবে? রাজনীতির নাটকে জনকল্যাণের বিষয়টি প্রচুর অবহেলিত হয়ে পড়ছে, এবং কিছু নেতা নিজেদের স্বার্থে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিকে যেন ‘গলদ’ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
রাজনীতি ও জনতার চাহিদা
মানুষের আবেগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের একটি স্পষ্ট উদাহরণ আমরা हालেই দেখেছি। রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবতার মধ্যে বিহ্বলতা বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে একটি বাণী এসেছে, “তুমি ভাবো, আমরা আর কতদিন সহ্য করতে পারবো?” কিন্তু বর্তমান শাসকরা কি মানুষের এই দুর্দশাকে মনে রাখছেন? নাকি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের কাজে ব্যস্ত?
মিডিয়ার ভূমিকা
মিডিয়া বর্তমানে আন্দোলনের চিত্র তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সংবাদমাধ্যম তথ্য বিকৃত করছে, আবার অন্য কিছু মিডিয়া সত্য চিত্র প্রকাশের চেষ্টা করছে। এভাবে, সমসাময়িক রাজনীতির বিপরীতে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে চলেছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে, আমরা কি সমাজের চলমান প্রবাহকে উপলব্ধি করতে পারছি?
পাবলিক সেন্টিমেন্ট: পরিবর্তন আসছে কি?
বর্তমানে আন্দোলনের উন্মাদনায় জনতার মনোভাব পরিবর্তিত হবে, এমনকি স্থানীয় পরিবহনের সমস্যা নিয়ে বাসিন্দারা মাসের পর মাস প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সরকার কি এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হবে? যদি রাজনৈতিক পরিবর্তন না ঘটে, তবে জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ হবে সম্পূর্ণরূপে।
ক্ষমতার আসন অধিকারী ব্যক্তিরা কতটা সচেতন? আসন্ন নির্বাচনের আগে আন্দোলনের গতি পরিবর্তিত করবে কি তাদের মনোভাব? এ বিষয়টিতেও আমাদের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
শেষ কথা: জনতার দায়দায়িত্ব
রাজনীতির এই পরিবেশে, কি সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভুলে যাবে? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত, জনগণের চাহিদার প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতা পালন করা। কোচবিহারের মানুষ আশা করছেন, তাদের সমস্যার সমাধানে সরকার এবার যুতসই পদক্ষেপ নেবে। এই অচলাবস্থা কবে শেষ হবে, তা সরকারী সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের প্রত্যাশা—যতদিন না মানুষের মুখে হাসি ফিরবে, ততদিন পর্যন্ত সরকারের কাজ করা উচিত, নইলে এই আন্দোলন শুধুমাত্র শব্দের ছলনায় পরিণত হবে।