প্রকৃতির অমানবিক চাহিদার মাঝে ১০০ জন অধ্যাপক প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। তাঁদের এই প্রতিবাদ যেমন সরকারের প্রতি আক্রোশের প্রতীক, তেমনি দেশের বিদ্যাচর্চার মানের দুরবস্থা ও গবেষণার সংকটের করুণ ছবি তুলে ধরছে। গোটা জাতির দৃষ্টিভঙ্গি কি শুধুই মুখরোচক কথায় সীমাবদ্ধ থাকবে, না কি গহনে প্রবাহিত চিন্তার তরঙ্গে বহমান হবে?
অবরোধের আকর – অধ্যাপকদের বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু
দেশের শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন পদের মধ্যে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন, যেন তারা নতুন এক বাংলার চিত্র তুলে ধরছেন। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০-রও বেশি অধ্যাপক হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। তাঁদের বুকের ওপর কালো ব্যাজ দেখে বোঝা যায়, বোঝাতে চান তারা কিছু অশান্তির খবর।
শিক্ষার মর্যাদা বনাম প্রশাসনিক অবহেলা
অধ্যাপকদের এই আন্দোলনের পেছনে একটি গভীর আঘাত রয়েছে, যা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তারা রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবহেলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, যা শিক্ষাকে একটি প্রকল্প হিসেবে দেখছে। যখন সরকার শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ কমানোর কথা ভাবছে, তখন তারা সেই লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে শিশুদের শিক্ষা নিয়ে গভর্নরদের আলোচনা শুধুমাত্র একটি বাক্য হিসেবে উঠে আসে।
সামাজিক প্রতিবাদ ও জনমত
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ছায়া পড়ছে, আর এই আন্দোলন জনগণের মধ্যে নতুন ধারণার জন্ম দিচ্ছে। বুদ্ধিজীবী সমাজ যখন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলনে ব্যস্ত, তখন সাধারণ জনগণও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। তারা বলছে, “আমার ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় বিদ্রোহী প্রশ্ন রয়েছে।”
গভীর অর্থনৈতিক মূল্যায়ন
এই বিক্ষোভের মধ্যে একটি গভীর অর্থনৈতিক ভিত্তি রয়েছে। শিক্ষা সঙ্কটের সাথে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন কিভাবে হবে, সেই প্রশ্ন এখন মানুষের মনে। যে সরকার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রতিধ্বনি দিচ্ছে, সেখানে শিক্ষা কেন অবহেলিত, তা স্পষ্ট। যখন আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার দাবিদাররা অন্ধকারে, তখন তাদের জন্য কি সত্যিই কোনো উন্নতির আলো অপেক্ষা করছে?
মিডিয়া ও পরিবর্তিত জনমন
মিডিয়ার ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন ধারণা তুলে ধরার জন্য কাজ করছে। শিক্ষকদের সমর্থনে সংবাদ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আন্দোলনের বৈচিত্র্য তুলে ধরায় মানুষের মধ্যে ইতিবাচকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এখন রাজনৈতিক বক্তৃতার পাশাপাশি মানুষের সমস্যাগুলোর প্রতি সদর্থক দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে।
নতুনের প্রতি প্রত্যাশা
এখন প্রশ্ন উঠছে, আমাদের শিক্ষাবিদরা কি একটি নতুন সমাজের ভিত্তি তৈরির প্রয়োজন অনুভব করছেন? এই বিক্ষোভ হচ্ছে নতুন দিনের চেতনার ঘোষণা। বর্তমান রাজনীতির ক্ষেত্রে নৈতিকতা অশ্রী পুতুলের মতো। যখন শিক্ষকতা একটি মহান শিল্প, তখন সেটিকে শুধুমাত্র প্রশাসনিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে।
রাজনীতির এই অদ্ভুত যাত্রায়, শিক্ষকরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছেন এবং সেখানে একটি শুদ্ধতার আভাস পাচ্ছেন। নতুন সাহিত্যের আবহে প্রবেশের সম্ভাবনা কি আসন্ন? আন্দোলনকে অপেক্ষা করতে দিন।