মহিলাদের টাকা ছাড়া ভোটে পালাবদলের নতুন রণনীতি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে!

NewZclub

মহিলাদের টাকা ছাড়া ভোটে পালাবদলের নতুন রণনীতি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে!

নির্বাচন আজকের সুরে গাইছে, মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থের স্রোতে ভাসছে রাজনীতি। বিজেপি এবং কংগ্রেস, দুই দলের কৌশল যেন মহাজাগতিক নাটকের পাণ্ডাল, যেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এক অলৌকিক আধার। কি কৌতূহল, মাদুরের আহ্বানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, আর রাজনৈতিক নেতারা যেন তাঁদের পাশার খেলায় বর্ণময় সিঁদুর তুলছেন! সভ্যতার বিকাশের নাম করে, সরকারী অর্থে কেনা হচ্ছে ভোট, যেন মানবিকতার, সমাজের সুচারু অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে কিনা।

মহিলাদের টাকা ছাড়া ভোটে পালাবদলের নতুন রণনীতি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে!

  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের বাহিনী পাঠানোর দাবি, ইঙ্গিত সংঘাতের এবং ইউনুসের সরকারের অক্ষমতার দিকে – Read more…
  • শিক্ষার্থীদের খাবারে ডিমের দাম বৃদ্ধি, সরকারের বরাদ্দে ঘাটতি ও শাসনের অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমাজ – Read more…
  • বিচারপতি সূর্যকান্তের মন্তব্য: আদালতে কর্মসংস্কৃতি প্রয়োজন, রিপোর্ট জমা না হওয়ায় চাঞ্চল্য! – Read more…
  • ধর্না মঞ্চে বিধায়ক লাভলি মৈত্রের কুরুচিকর মন্তব্যে উত্তাল সোনারপুর, তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে – Read more…
  • পুলিশের হাতে গ্রেফতারি: জনগণের নিরাপত্তা বা শাসনের ফালতু ব্যবহার? – Read more…
  • রাজনীতির নৃত্য: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও মহিলা ক্ষমতার বিকাশ

    রাজনীতির দৃশ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প এখন সারা দেশের নির্বাচনী মাঠে তার প্রভাব ফেলছে। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে বিজেপি ও হেমন্ত সোরেনের জয়, মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে নিয়মিত নগদ অর্থ বিতরণের মাধ্যমে ঘটেছে। এটি যেন আমাদের সমাজের নারীদের শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি উপায়, যা ভোট প্রদানকারীদের মধ্যে তাদের অবস্থানকে আরো দৃঢ় করে তুলছে।

    বিজেপি ও মহিলাদের সমর্থন

    বিজেপি, যারা সাধারণত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করতে ব্যস্ত, কি তাদের জানা নেই যে মহিলা অর্থনৈতিক স্বায়ত্তশাসন একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে? দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোটের বাক্সে ফেরি করতে ব্যাপক অর্থ বিতরণ করছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—কী প্রকৃতপক্ষে সামাজিক পরিবর্তন ঘটছে, নাকি এই অর্থব্যবস্থা শুধু ভোট হরণের কৌশল হিসেবে কাজ করছে? এই প্রশ্ন এখন সবার মনে রয়েছে।

    কংগ্রেসের পদক্ষেপ

    অন্যদিকে, কর্নাটক ও তেলাঙ্গনায় কংগ্রেসও মহিলা ভোটারদের প্রতি এই কৌশল গ্রহণ করেছে। তারা মনে করে, মহিলারা যদি নিজেদের স্বাধীনভাবে ভোট দেন, তবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় হবে। তবে, এই সব পদক্ষেপে কি সাধারণ মানুষের প্রকৃত স্বার্থ খোঁজার প্রয়োজন নেই?

    মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি

    মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বর্তমানে উন্মুখতা রয়েছে। সরকার কি পূর্ববর্তী রূপায়ণ পুনরুদ্ধার করতে পারছে, নাকি জনগণ নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সংঘবদ্ধ হচ্ছে? সাম্প্রতিক ভোটের ফলাফল এটাই দেখাচ্ছে। এই রাজনৈতিক উত্তেজনায় সম্পাদকীয় শিরোনামগুলো কি জনগণের অসুবিধা কাটাতে সক্ষম হচ্ছে? মনে হচ্ছে, একটি ক্ষুদ্র কণ্ঠস্বরের মাধ্যমেই সত্যের বীজ বপনের সম্ভবনা রয়েছে।

    সংগঠিত আন্দোলনের যুগ

    আমাদের দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে মহিলাদের এই সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের নেতৃত্ব ও সংগঠিত আন্দোলন সমাজের ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে আসছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যদি সমাজের স্বার্থে কেন্দ্রীভূত না হয়, তবে আমাদের এই দ্বন্দ্বের মোকাবেলার জন্য কি কোনো অন্যান্য প্রয়োজন রয়েছে?

    পুনর্বিবেচনার সময়

    সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আমাদের রাজনীতি প্রতিদিন নতুন নাটকীয়তা উপস্থাপন করছে। ভারতীয় রাজনীতির এই স্থায়ী নাটকীয়তায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো উপভোগ্য মুহূর্তগুলো ভবিষ্যতে কেমন থাকবে, তা কেবল সময়ই জানাবে। তবে নিশ্চিত যে, স্বার্থপরতা ও রাজনৈতিক বিবেচনার এই দ্বন্দ্বে, জনগণের প্রকৃত স্বার্থ প্রায়শই পিছিয়ে থাকে।

    মন্তব্য করুন