সদ্য দায়িত্ব নেওয়া রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ও বিধায়কের হাসপাতাল পরিদর্শন যেন আধুনিক দিনের সমাজ-রাজনীতির এক অভিনব রঙ্গমঞ্চ—মহিলা ওয়ার্ডে দুপুরের খাবার পরিবশনের সময় নেতার মুখে উদ্ভাসিত সেই কৃত্রিম উদ্বেগের চর্চা। রোগীদের কিন্তু রাজনীতির এই নাটকীয়তার অঙ্গীকারে অন্ন বরাদ্দের অন্তরালে পড়ে রইল—স্বাস্থ্য সেবার শ্রীবৃদ্ধির গল্প নাকি ভোটের হাওয়ার ঝলক?
রাজনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্কট: রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যদের হাসপাতাল পরিদর্শন
বৃহস্পতিবার, সম্প্রতি দায়িত্ব গ্রহণ করা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। এই দৃশ্য যেন এক নাটক, যেখানে বিধায়ক ও তাঁর দলের হাসপাতালের এমএসভিপি সদস্যরা অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রনীল সরকারের সঙ্গে মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের খাবার পরিবেশন দেখতে দেখতে ছিলেন। এই পরিস্থিতি ছিল করুণ ও হাস্যকর, যেখানে রোগীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক অবস্থার মধ্যে রাজনীতির প্রদর্শনী চলমান ছিল।
খাবার আসছে, কিন্তু স্বাস্থ্য অযত্নে!
বিধায়কের চোখের সামনে রোগীরা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন—এ কি সরকারের সঠিক কর্মপন্থার প্রমাণ? ছবির নিপুণ পর্যালোচনা করলেও, প্রশ্ন উঠছে, কি আদৌ এই খাবার স্বাস্থ্যকর? সরকারি উদ্যোগগুলো প্রায়শই বক্তব্যের ফুলঝোড়ি থেকে যায়, বাস্তবে কার্যকর হয় না।
রাজনীতির পরিষ্কার পিচ্ছিল মঞ্চ
রাজনৈতিক এই পিচ্ছিল মঞ্চে, দারিদ্র্য ও স্বাস্থ্য নিয়ে টানাপোড়েন স্পষ্ট হচ্ছে। রোগীরা, যারা সরকারের সংস্কারের শিকলে আবদ্ধ, তাদের বাঁচার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে না। নতুন নেতাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হঠাৎ করেই আসার ফলে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে—তারা কি সত্যিই জনগণের প্রকৃত চাহিদা বুঝতে সক্ষম?
জনগণের প্রতিক্রিয়া ও অনুভূতি
হাসপিটালের এই আলোচনায় সামাজিক মিডিয়া ও গণমাধ্যমে এক তরঙ্গ উঠছে। ভোট ব্যাংকের রাজনীতির ফাঁদে আটক জনগণের মতামত জনমনে কৌতূহল সৃষ্টি করছে। হাসপাতালে এত নেতার উপস্থিতি আসলে কি নির্দেশ করছে? যখন জীবন-মরণ পরিস্থিতি অনিশ্চিত, তাদের উদ্যোগ কতটা কার্যকর?
রাজনীতির অঙ্গনে ভঙ্গুর আশ্বাস
অসংখ্য প্রতিশ্রুতি আর অঙ্গীকারের মাঝে, এক অদ্ভুত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হাসপাতালের প্রতিটি ঘটনার সময় আমরা খবরের মাধ্যমে রাজনৈতিক আশ্বাসের রঙ্গমঞ্চ দেখছি। সফলতা কতটুকু জনমানসে স্থায়ী হবে? জনগণের প্রশ্নের উত্তর কোথায়? নেতাদের ছবি এবং বিপন্ন জনগণের বাস্তবতা যেন এক অপরাধের নাটক।
উপসংহার: স্বপ্ন ও বাস্তবতার সংঘাত
এই আলোচনা থেকে পরিষ্কার, রাজনীতির ধারায় সমাজের চাহিদার প্রতি সঠিক মনোযোগ দেওয়া উচিত। জনগণকে ধর্ম ও জাতীয়তার নাম করে শোষণ করার পরিবর্তে তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বাস্তব চিন্তা দরকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমাজ অন্ধকারে থাকতে পারেনা। আমাদের সতর্ক হতে হবে, কারণ হাসপাতালে রোগীদের অবস্থান উদ্বেগজনক এবং এটি রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি প্রমাণ।