জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু আসফাকুল্লা নাইয়া, নিয়মের বাইরে গিয়ে ভালো কাজকে অপরাধ বলার অভিযোগে দাঁড়িয়ে গেছেন। তার বক্তব্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে আমাদের সমাজের অশান্তি, যেখানে সামর্থ্য ও দক্ষতার তুলনায় পদ এবং নিয়মের রাজনীতি উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে স্তব্ধ করছে। রাজনীতির এই নাটকীয়তার মাঝে, আসফাকুল্লার কথায় যেন বিদ্রুপের সুরের নাচ, যেখানে প্রশ্ন উঠছে: সত্যিই কি ‘বিশেষজ্ঞ’ হতে ট্রেনির মতো সাধনা প্রয়োজনে?
আসফাকুল্লা নাইয়ারের বক্তব্য: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে নতুন অধ্যায়
প্রতিটি পদক্ষেপে স্বস্তি নেই, আবারও নতুন করে লেখানো হচ্ছে প্রতিরোধের ইতিহাস। প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মুখ, আসফাকুল্লা নাইয়া, সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবায় চলমান বিপর্যয় সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “নিয়মের বাইরে গিয়ে ভালো কাজ করা অপরাধ নয়।” এই বক্তব্যটি বর্তমান রাজনৈতিক আদর্শ ও নৈতিকতার এক গুরুতর পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
আন্দোলনের পটভূমি
বিগত দিনে রাজপথে হাজারো ডাক্তার প্রতিবাদে নেমেছেন। তাঁদের মূল দাবি হলো স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের দিকে নজর দেওয়া। তবে, একজন ডাক্তার হয়ে কি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা আইনবিরুদ্ধ? আসফাকুল্লা নাইয়ারের নেতৃত্বে ঘোষিত এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কি? কেন তরুণ ডাক্তারদের পেশাগত সুশৃঙ্খলা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা?
সমালোচনার প্রেক্ষাপট
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা একটি সত্য উপলব্ধি করি—বর্তমান সময়ে এই ধরনের আন্দোলন এবং তাদের নেতৃত্বের ব্যক্তিগত জীবনও সমালোচনার শিকার হচ্ছে। চিকিৎসক সমাজের বিরোধিতা উপেক্ষা করে, আসফাকুল্লা নাইয়া বলেন, “আমরা ভুল করছি, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” সামাজিক মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা, তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিতর্কের মধ্যে থেকে কি কোনো ইতিবাচক সংস্কারের সূচনা হবে?
সামাজিক প্রভাব
এমন একটি প্রেক্ষাপটে, যেখানে সাধারণ মানুষ হাসপাতালের মধ্যে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা করে, ডাক্তারদের আন্দোলন জনগণের মধ্যে বিপরীত প্রতিক্রিয়া ছড়ায়। নাগরিকরা ভাবতে বাধ্য হন, “এটা কী হচ্ছে?” আসফাকুল্লা নাইয়া বলেন, “ভালো কাজের ব্যবস্থা করতে হবে,” তবে সেটি কতটা বাস্তব?
জনমানসে অনুভূতি
ঢাকার অলিতে গলিতে, প্রতিটি আলোচনায় নাইয়ারের কথাগুলো ভেসে উঠছে। সুশাসনের দিকে আঙুল তোলে সাধারণ মানুষ। তাদের ধৈর্যের সীমা কি কবে শেষ হবে? একজন ডাক্তার কি তার কর্তব্য ভুলে আন্দোলন মঞ্চে যাবেন? আসফাকুল্লা নাইয়া হয়তো এই প্রশ্নের উত্তরে আশা জাগানিয়া বক্তব্য রাখছেন।
রাজনীতির প্রতিক্রিয়া
রাজনীতি আগামী প্রজন্মকে নতুন করে ভাবাবে। ডাক্তাররা আন্দোলন করছে, আর নেতারা নির্বাকভাবে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আসফাকুল্লা নাইয়ারের মতো নেতারা আমাদের সমাজের সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতন করবেন কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। সমাজের এই পরিবর্তনগুলোকে বুঝতে হবে, তবে মানবিকভাবে ও ধৈর্যের সঙ্গে এগিয়ে চলতে হবে।