নির্যাতিতার বাবার ভাষ্যে ফুটে উঠেছে এক অদ্ভুত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, যেখানে তদন্তের ধারাবাহিকতা সবে চলছে। বৃন্দা গ্রোভার কেন পিছিয়ে গেলেন, তা স্বাদের মতো অজানাই রয়ে গেল। ‘কলকাতা পুলিশের চার্জশিট’ বলে কটাক্ষ করা সত্ত্বেও, বিচার পেলেই যেন সকল নাটক শেষ হবে, অথচ এ কী বিচারের খেলা? সমাজের এই অচল সংস্কৃতি কি কেবল অবসরে ভাসছে, নাকি সত্যিই কোনো নেতা মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন?
নির্যাতিতার বাবার দাবির প্রেক্ষাপটে নতুন বিতর্ক
সম্প্রতি কলকাতায় ঘটেছে এক মারাত্মক ঘটনা, যা আবারো সামাজিক আলোচনায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। নির্যাতিতার বাবার মানুষাধিকারের জন্য করা দাবির প্রেক্ষিতে, তিনি জানান, বৃন্দা গ্রোভার কেন মামলার সরে দাঁড়ালেন, তা সম্পর্কে তাঁর সঠিক তথ্য নেই। মানবাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীলরা কাজ করলেও, তিনি সিবিআইয়ের চার্জশিটকে ‘কলকাতা পুলিশের চার্জশিট’ বলে মন্তব্য করায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পাশাপাশি আমাদের সমাজের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
বৃন্দা গ্রোভার ও ন্যায়বিচারের সমস্যা
বৃন্দা গ্রোভার, একজন প্রতিষ্টিত মানবাধিকার আইনজীবী, আচমকা এই মামলায় যুক্ত না হয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের ফলে জনমনে এক নতুন প্রশ্ন উঠে এসেছে— নিরাপত্তাহীনতার মাঝে কি রাজনৈতিক স্বার্থই প্রধান? নির্যাতিতার বাবার ঘোষণায় ন্যায়বিচারের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যাবে কি? তিনি বলেছেন, ‘আমি কাউকে লক্ষ্য করে কিছু বলছি না। আমাদের মূল লক্ষ্য মেয়ের ঘটনায় বিচার পাওয়া।’ বিচার প্রক্রিয়া এতটাই জটিল হয়ে গেছে যে, সত্যের সন্ধানে বের হওয়াটাই চ্যালেঞ্জ।
জনতার মনে নৈরাশ্যের ছায়া
মানসিক চাপ এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের ছায়া আমাদের জীবনে প্রবাহিত। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষের হতাশা ক্রমশ বাড়ছে। সিবিআইয়ের চার্জশিট প্রকাশের পর, সাধারণ নাগরিকদের মনে এক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে— কি রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য আমাদের নারীদের এমন ঘটনায় পড়তে হচ্ছে? এ যুগে, সত্যের ওপর নিঃশঙ্কাসহ অসংগতি বাড়ছে।
মিডিয়া ও সরকারের জবাবদিহিতা
মিডিয়া এ বিষয়ে নাটকীয়তার সাথে খবর প্রচার করছে, তবে আসল সত্যের সকলাংশ সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারছে না। নির্যাতিতার পিতার প্রতিক্রিয়া কি সরকার পর্যন্ত পৌঁছাবে? এ সম্পর্কে অনেকের সন্দেহ রয়েছে। অনেকেই বলছেন, ‘রাজনৈতিক কৌশল যেন অপশাসনে পরিণত হয়েছে, যা জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করছে।’
আশার নতুন দিগন্ত
তাত্ত্বিকভাবে সমাজ পরিবর্তনের জন্য ও মানবাধিকার রক্ষায়, আমাদের উচিত শাসকদের প্রতি লক্ষ্য রাখা। তারা কি আমাদের পাশে আছেন? সাধারণ মানুষের কষ্টের সঠিক মূল্যায়ন না করে কঠোরভাবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মানুষের মধ্যে একটা অন্তর্নিহিত শক্তি রয়েছে, যা হয়তো অঙ্কুরিত হতে পারে। সত্যিকার অর্থে, সেই শক্তি গড়ে তোলা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, কিন্তু সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।