সেতু নির্মাণে কৃষকদের জীবন পাল্টাবে, সরকারী উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হবে

NewZclub

সেতু নির্মাণে কৃষকদের জীবন পাল্টাবে, সরকারী উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হবে

জগৎপুর ও ধান্যঘোরি পঞ্চায়েতকে যুক্ত করতে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ সম্ভাবনার দ্বার খুললেও, এ প্রশ্নে সরকারের কার্যকলাপের সুষ্ঠু প্রতিফলন কি? বন্যার ক্ষতিপূরণ না হলে কৃষকের দুর্দশা তো একই রয়ে যাবে। সেতুর চেয়ে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত ও দূরদর্শী পরিকল্পনা; নয়তো আন্দোলন তো বাকি থেকেই যাবে।

সেতু নির্মাণে কৃষকদের জীবন পাল্টাবে, সরকারী উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হবে

  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের বাহিনী পাঠানোর দাবি, ইঙ্গিত সংঘাতের এবং ইউনুসের সরকারের অক্ষমতার দিকে – Read more…
  • শিক্ষার্থীদের খাবারে ডিমের দাম বৃদ্ধি, সরকারের বরাদ্দে ঘাটতি ও শাসনের অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমাজ – Read more…
  • বিচারপতি সূর্যকান্তের মন্তব্য: আদালতে কর্মসংস্কৃতি প্রয়োজন, রিপোর্ট জমা না হওয়ায় চাঞ্চল্য! – Read more…
  • ধর্না মঞ্চে বিধায়ক লাভলি মৈত্রের কুরুচিকর মন্তব্যে উত্তাল সোনারপুর, তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে – Read more…
  • পুলিশের হাতে গ্রেফতারি: জনগণের নিরাপত্তা বা শাসনের ফালতু ব্যবহার? – Read more…
  • নতুন সেতুর আবির্ভাব: জগৎপুর ও ধান্যঘোরির উন্নয়ন নাকি রাজনৈতিক কৌশল?

    বাংলাদেশের পল্লী দৃশ্যপটে একটি নতুন সেতুর নির্মাণ সত্যিই একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। এই সেতুর মাধ্যমে বাংলার অচেনা সম্ভাবনাগুলো উন্মোচিত হবে। তবে, এটি কি শুধু একটি অবকাঠামো, নাকি এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য? জগৎপুর এবং ধান্যঘোরির মধ্যে এই সেতু কৃষকদের জীবনযাত্রা আধুনিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু আসলে কি এর পেছনে শুধুই উন্নয়ন নাকি কিছু অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে?

    সেতুর পথের পথে রাজনীতির চিত্র

    সত্তরের দশকের মৌসুমী বন্যার স্মৃতি বাঙালির জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে। আগের সাঁকোর দুর্ভোগের কথা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। এই সেতু কৃষকদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করবে, কিন্তু সরকারের কাছে কি এখানে সামাজিক নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা আছে? অথবা এটি রাজনৈতিক নাটকের অংশ? এই প্রশ্নগুলো আমাদের নতুন সেতুর নির্মাণের সাথে যুক্ত হয়ে আসে।

    স্বাস্থ্য পরিষেবার পথে প্রতিবন্ধকতা

    সেতুর নির্মাণ সফল হলেও, আমাদের দেশে সরকারি নীতির পরিবর্তন এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার প্রতিফলন রয়েছে। যারা এই প্রকল্পের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তারা কি প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম? আগে যেখানে মানুষ সাঁকুর ওপর বন্যার সঙ্গে লড়াই করত, এখন তারা নতুন সেতুর মাধ্যমে তাঁদের যাতায়াতের সুবিধা আশা করছে। কিন্তু বাস্তবতা কি এত সহজ?

    রাজনীতির আড়ালে সমাজের প্রকৃত সমস্যা

    এই সেতু শুধুমাত্র অবকাঠামো নয়, বরং এটি জনতাকে রাজনীতির মূলধারার সাথে যুক্ত করার একটি মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি, কৃষকদের জীবনযাত্রার ওপর ভিত্তি করে আমাদের একটি সঠিক সমাজ নির্মাণ করা উচিত। কারণ, জগৎপুর ও ধান্যঘোড়ির মধ্যে উন্নত যোগাযোগ কৃষকদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বাজারে সহজতর পৌঁছাতেও সহায়ক হবে।

    কৃষকদের কষ্ট: রাজনৈতিক চাপের মুখে

    এই সেতু নির্মাণ যেন একটি নাটকের মূল পর্ব উন্মোচন করেছে। কৃষকরা তাৎক্ষণিকভাবে লাভবান হলেও, এটি আরও অনেকের জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে। স্থানীয় নেতাদের দিক থেকে অবস্থান গ্রহণকারী সমালোচনা ও সমর্থনের মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হবে। এই পরিস্থিতির কারণে জনমত ও সরকারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে।

    সম্ভাবনার সেতু, সমালোচনার ঢেউ

    সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে নানা আলোচনা চলছে। রাষ্ট্রের উন্নয়ন নিয়ে শিক্ষিত সমাজ থেকে রাজনৈতিক সমালোচনা অব্যাহত। কৃষকরা তাঁদের সমস্যাসমূহ তুলে ধরতে শুরু করেছেন, যা তাদের দৈনন্দিন কাজের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে এবং রাজনৈতিক আলোচনা সৃষ্টি করছে।

    অবশেষে, এই সেতু শুধুমাত্র একটি নির্মাণ নয়; এটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটেও নতুন পরিচয় প্রকাশ করে। আমাদের সকলের অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে এই পরিবর্তনে মনোনিবেশ করার এবং কীভাবে এই সেতুর মাধ্যমে আমাদের সমাজের উন্নয়ন অব্যাহত রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করার।

    মন্তব্য করুন