ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের টিকে থাকার লড়াই: রাজনীতি ও নির্বাচনের আগে নরম সুরে নতুন দৃষ্টি

NewZclub

ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের টিকে থাকার লড়াই: রাজনীতি ও নির্বাচনের আগে নরম সুরে নতুন দৃষ্টি

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের তর্জন-গর্জনে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যেন ভোটের বীণা বাজিয়ে গেলেন। প্রাক্তন বিধায়কের তকমা লাগালে যে রাজনৈতিক সুরের সঙ্গম হবে, সেটা বুঝতে পেরে তিনি নরম সুরে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই সুরের পরিবর্তন পূর্বের শীতল রাজনীতির কেন? সংসারের রসায়নে পাল্টে যাওয়া উপলব্ধির মাঝে, নেতাদের চাহিদার এবং জনতার আকাঙ্ক্ষার মধ্যেকার দ্বন্দ্ব যেন খুঁজে বের করার অপেক্ষায়।

ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের টিকে থাকার লড়াই: রাজনীতি ও নির্বাচনের আগে নরম সুরে নতুন দৃষ্টি

  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের বাহিনী পাঠানোর দাবি, ইঙ্গিত সংঘাতের এবং ইউনুসের সরকারের অক্ষমতার দিকে – Read more…
  • শিক্ষার্থীদের খাবারে ডিমের দাম বৃদ্ধি, সরকারের বরাদ্দে ঘাটতি ও শাসনের অক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সমাজ – Read more…
  • বিচারপতি সূর্যকান্তের মন্তব্য: আদালতে কর্মসংস্কৃতি প্রয়োজন, রিপোর্ট জমা না হওয়ায় চাঞ্চল্য! – Read more…
  • ধর্না মঞ্চে বিধায়ক লাভলি মৈত্রের কুরুচিকর মন্তব্যে উত্তাল সোনারপুর, তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে – Read more…
  • পুলিশের হাতে গ্রেফতারি: জনগণের নিরাপত্তা বা শাসনের ফালতু ব্যবহার? – Read more…
  • ভারতপুরের রাজনীতিতে নতুন প্রবাহ

    নির্বাচন খুব কাছাকাছি। হাতে রয়েছে মাত্র পনেরো মাস। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর এখন চাপে রয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রাক্তন বিধায়কের তকমা শোভা পাচ্ছে, যা তাঁর জন্য একটি দুঃস্বপ্নের মতো। এজন্য তিনি ইতোমধ্যে পরিবর্তিত স্বর নিয়ে রাজনীতির মঞ্চে এসেছেন।

    হুমায়ুন কবীরের চ্যালেঞ্জ

    হুমায়ুন কবীরের জন্য সবচেয়ে বড় ভয়টি হচ্ছে টিকিট না পাওয়া। ভারতপুরের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এ ব্যাপারে তিনি পিছিয়ে পড়তে চান না। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক জটিল, এবং এখানে সবাই নির্বাচনে জয়লাভের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    রাজনীতির আকর্ষণীয়তা

    এখন সবার মনে প্রশ্ন, হুমায়ুন কী করবেন? তিনি এতদিন নিশ্চুপ ছিলেন, কিন্তু এখন তার পরিবর্তন কি আকস্মিক? তিনি রাজনৈতিক খেলার মাঠে প্রবেশ করে, রাতের সূর্যের মতো উজ্জ্বল হতে ইচ্ছুক। কিন্তু তাতে কি ভারতপুরের ভোটারদের মনে সন্দেহ তৈরি হবে? রাজনীতির মোহে কখনও জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করা হয়।

    জনগণের মনোভাব

    বর্তমানে বাংলা রাজনীতির পরিস্থিতি এমন যে, সাধারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন উৎপন্ন হয়েছে—রাজনীতিবিদরা কি তাদের জনগণের প্রয়োজন বুঝতে পেরেছেন? হুমায়ুন কবীরের এই নাটকীয় পরিবর্তন দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ কিনা, অথবা সত্যিই জনগণের বিশ্বাস অর্জনের প্রচেষ্টা? সময়ই এ প্রশ্নের উত্তর দেবে।

    রাজনৈতিক উত্থান-পতন

    হুমায়ুন কবীরের পদক্ষেপের ফলাফল অনিশ্চিত, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত—রাজনীতির জগতে সবাই স্বার্থ উদ্ধার করতে চায়। জনগণের স্বার্থের প্রতি যথাযথ নজরদারি কখনও হয়নি। যে কারণে, এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।

    গভীরতার আক্ষেপ

    এই রাজনৈতিক নাটকের গভীরতা মঞ্চে স্পষ্ট। নেতারা নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রয়োজন ও অস্তিত্ব ভুলে যাচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষের মনে রয়েছে প্রশ্ন—তারা কবে শুদ্ধতার পথে ফিরবেন? হুমায়ুন কবীর কি জনগণের জন্য কিছু অর্থপূর্ণ কাজ করার সুযোগ পাবেন?

    মন্তব্য করুন