News
“কলকাতায় ‘অভয়া পরিক্রমা’: চিকিৎসকদের প্রতিবাদে রক্তের আবাহন, শাসনের অন্ধকারে সামাজিক চেতনায় নতুন আলো?”
অন্যদিকে, দেবাশিস হালদার যখন কলকাতায় 'অভয়া পরিক্রমা'র প্রস্তাব দেন, তখন আমাদের সমাজের গভীরতার সঙ্গেও রাজনৈতিক নাটকীয়তার একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। নির্যাতিতার স্মরণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন, সত্যিই একটি অনন্য উদ্যোগ; তবে প্রশ্ন হলো, আমাদের নেতারা কি কখনো এই সকল কাঁদতে থাকা হৃদয়কে শুনতে সক্ষম হবেন?
শোক ও সমালোচনার মাঝে স্মৃতিবাহিত মঞ্চে রাজনীতির অন্ধকার, হারিয়ে যাওয়া নেতৃত্বের চিত্র ও জনগণের ভগ্ন হৃদয়
বাংলার মঞ্চে স্মৃতির ভার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোতে রাজনৈতিক দলাদলির আওয়াজ। নেতাদের নীরবতা যেন চুপচাপ ধুলোয় মিশে যাচ্ছে, হাতের চিঠি লিখতে ভুলে গেছে যেন। মুক্তির আশায় মোর ভাবনারা পথ হারায়, বাঁচার দামে কি মৃত্যু ছাড়া কিছু নেই? অহংকারের পুষ্প মালায় প্রস্ফুটিত এই দুর্দশা, আমাদের গভীর নিরবতায় কাঁপছে।
“ভূল ভূলাইয়া ৩: ভয়-হাস্য ও প্রেমের মেলবন্ধনে মুক্তির উন্মাদনা, সিনেমার সমৃদ্ধির আলোকোজ্জ্বল আসর!”
জয়পুরের রাজ মন্দির সিনেমাতে 'ভুল ভুলাইয়া ৩'-এর ট্রেলার উন্মোচনের আয়োজন হয়ে চলেছে, যেখানে অভিনেতাদের মধ্যে কার্তিক আরিয়ান, ত্রিপ্তি দিম্রি এবং বিদ্যা বালানের উপস্থিতি থাকবে। এই চলচ্চিত্রের মধ্যে ভয়, কমেডি এবং নাটকীয়তা মিলিয়ে এক নতুন আধিক্য নিয়ে আসবে। দর্শকদের জন্য এটি শুধু একটি ট্রেলার নয়, বরং এক সিনেমার ঐতিহ্য এবং অনুরাগীদের ভালোবাসার উদযাপন। 2024 সালের দীপাবলিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এই ছবি, তবে এটি কি সত্যিই দর্শকদের বিচিত্র স্বাদ মেটাতে সক্ষম হবে?
“মহা কুপন শোরগোল: উদয়নারায়ণের রাজনৈতিক খেলা, শাসনব্যবস্থার অসারতা ও জনমানসে হতাশার নতুন অধ্যায়”
উদয়নারায়ণপুরের কুপন নিয়ে চলা মহাশোরগোল যেন রাজনৈতিক নাটকের এক অনবদ্য দৃশ্যপট। জনতার ক্ষোভ ও নেতাদের নিশ্চয়তা, শাসনের দ্বন্দ্ব যেন এমন এক সুরের মতো, যা ম্লান করছে নাগরিক আশার শিল্পিত চিত্র। গণতন্ত্রের রঙ্গমঞ্চে নাট্যকাররা নিজেদের চরিত্র উজ্জ্বল করতে ব্যস্ত, কিন্তু জনগণের কষ্টে কোন সুর ফুটছে, তা শুনতে কি পারে তারা?
কলকাতা পুলিশের নতুন হেল্পলাইন: ফোন হারানো, কিন্তু রাজনীতিতে গভীর সংকটের প্রতিফলন!
কলকাতা পুলিশ হারিয়ে যাওয়া ফোনের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে, যেন নাগরিকদের গলির অন্ধকারে নিজেদের নিরাপত্তা খুঁজতে দেখা যায়। এই উদ্যোগ যদিও প্রশংসার, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—সমাজের প্রকৃত সুরক্ষা কি সত্যিই প্রশাসনের হাতে, নাকি প্রযুক্তির নাম করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে? জনরোষের মুসলিম নামক আতঙ্কে, নেতারা কি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার মঞ্চ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত?
“সঞ্জয়ের খুন–ধর্ষণের প্রমাণের আবিষ্কার, রাজনীতির অন্তরালে মানবতার অবিচার!”
সিবিআই চার্জশিটে উঠে এসেছে একটি গভীর কালো অধ্যায়, যেখানে সঞ্জয়ের উপস্থিতি, রক্তমাখা জামাকাপড়, এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সব কিছুই নির্দেশ করে এক নির্মম সত্যের দিকে। সমাজের নৃশংসতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন মানুষের চিৎকার জোরালো, তখন কি আমাদের নেতাদের দায়িত্ববোধ সত্যিই এতটাই বিবর্ণ? রাজনৈতিক আক্রমণ অভিজ্ঞান হয়ে দাঁড়াচ্ছে, আর সংগীতের বদলে যেন শোনা যাচ্ছে হত্যা-ধর্ষণের অসঙ্গতি। সদ্য ঘটে যাওয়া এসব ঘটনা আমাদের মানবিকতা ও নীতির পথে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
রাজনীতির নাটক: সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার, তথ্য চেপে যাওয়ার খেসারত কাকে দিতে হবে?
সিবিআইয়ের জালে তাপস মণ্ডলের সংকট যেন জাতির শেকড় খুঁজে বের করার আয়োজনের খেলা, যেখানে কথার ফুলঝুরি আর তথ্যের দুর্বলতা একে অপরকে বশ করে রাখে। তাঁর গ্রেফতারি, আর জীবন্ত সিংহের মতো জামিন পাওয়া জীবনকৃষ্ণ সাহার অবস্থা—রাজনীতির এই নাটকের পেছনে যে গলদ ঘটে চলেছে, তা যেন খোদ রবীন্দ্রনাথের পতাকা উড়িয়ে যাচ্ছে। সমাজের গতি-প্রকৃতির রূঢ় সত্য যেন হাতের কাছে, কিন্তু আমাদের চোখের সামনের উন্নয়ন আর সৎ রাজনীতির শৃঙ্খলাকেই বদলাতে হবে।
“গভীর রাতে লিজার বিদায়, নতুন কুকুরের আগমন; রাজনীতির খাঁচায় বর্তমানে কে কেমন?”
রাজনীতির আসরে আবারও নতুন কুকুরের আগমন, কিন্তু পুরনো প্রহরী লিজা কি ভুলে যাবে দিনের পর দিন একাই কাজ করার ক্লান্তি? ডায়মন্ডহারবার পুলিশের এই সিদ্ধান্ত যেন সমাজের এক পৃষ্ঠার চিত্র হয়ে দাঁড়ায়—যেখানে অবসর নিয়ে এলেম খানিকটা ফিকির। লিজার প্রকৃত মূল্যায়ন কি সত্যিই হয়েছে, নাকি চালচিত্রে নতুন সাজানোর তাগিদে পুরনোকে সরানো? এ প্রসঙ্গে আমাদের ভাবতে বাধ্য করে, নেতৃত্বের উদাসীনতা যখন মানুষের পরিশ্রমকে মূল্যহীন মনে করছে।
“পুজোর ম আনন্দে ছাড়াও কলকাতা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা: ডাক্তারদের জলও আটকে, কোথায় মানবতা?”
কলকাতা পুলিশের ওই অনুমতি বাতিল আর ডাক্তারদের জল সরবরাহে বাধা দেওয়ার ঘটনায় যেন সমাজের গভীরে একটি অর্বাচীন ক্রোধের অর্চনা। পুজোর জমকালিকে নস্যাৎ করে, সরকার এখন স্বাস্থ্যের সম্মানে মিলিত ডাক্তারদের উপর কঠোর হাতে শাসন করছে। এ হেন শাসনকালে নাগরিকদের কল্যাণ কি আদৌ জরুরি, নাকি প্রতিক্রিয়ার গতি ধারাতে বাধা দেওয়া?
“সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএমের সমালোচনায় গর্জে উঠেছে বাংলার নারী ক্ষমতায়ন, মমতার কন্যাশ্রী প্রকল্পের বিশ্বজোড়া স্বীকৃতি!”
বঙ্গের রাজনীতিতে এক পাঁক লাগাতে হয়েছে সিপিএমকে। মমতার সামাজিক প্রকল্পগুলি যেন বৃষ্টির পরের কিরণ। কন্যাশ্রী’র গুনগান হচ্ছে, অথচ নির্বাচনে ফিরে আসছে শূন্য হাতে। সোশ্যাল মিডিয়ার তীব্র লেখনীর মধ্যে সত্যি হল, কেমন করে জনসেবার ব্যাখ্যা গঠিত হয়, আর কিভাবে জনগণের মন বদলায় – এটাই তো আসল প্রশ্ন।