বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের শুটিং সেটে অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার সাথে বেশ কিছু হিংসাত্মক হুমকির যোগ রয়েছে। মার্বেললুকে দাবিত্যাগ করে, অভিযুক্ত “বিষ্ণোই কি ডাকব?” প্রশ্ন করেছে। এই ঘটনায় অভিনেতার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, কারণ সম্প্রতি আইনজীবি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সাথে সম্পর্কিত হুমকির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সালমানের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার শিকারের কারণে তাঁর সাথে সংশ্লিষ্টদের দ্বারা বারবার হুমকি পেয়েছেন। এই পরিস্থিতি বর্তমান বলিউডের নিরাপত্তা ও অস্থিরতার সমস্যা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বলিউডের নিরাপত্তার চাদরে ভেঙে পড়ল নতুন একটি উদ্বেগের ঘটনা
এক ব্যক্তি মঙ্গলবার বেআইনিভাবে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের শুটিং সাইটে প্রবেশ করার জন্য আটক হয়েছেন। যখন তাকে আটক করা হয়, তখন তিনি reportedly প্রশ্ন করেন, “আমি কি বিশ্বাসী ডাকবো?” এই সন্দেহভাজনকে তদন্তের জন্য শিবাজী পার্ক পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা সালমান খানের প্রতি সুরক্ষা উদ্বেগের তালিকায় নতুন একটি সংযোজন, যা সম্প্রতি অনেকগুলো হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ঘটেছে।
গ্যাংস্টারদের হুমকির জালে ক্ষমতার জাল
এই ঘটনা লরেন্স বিশনোই ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কিত নানা হুমকির মাঝে এসেছে, যারা সালমান খানের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালের ব্ল্যাকবক শিকার মামলার কারণে পূর্বে ক্ষতির অভিযোগ করেছে। গত মাসে, সালমান খানকে একটি গান নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যা allegedly তাঁর নামকে কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিশনোইয়ের সঙ্গে যুক্ত করে। মুম্বাইয়ের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে পাঠানো ওই হুমকিতে জানানো হয়েছিল যে, গানের লেখক এক মাসের মধ্যে কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হবে।
সালমানের বিরুদ্ধে চলমান হুমকি
৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, ভিখা রাম বা विक्रम নামে পরিচিত, हाल ही में কর্নাটকের হাবেরির কাছে সালমান খানের বিরুদ্ধে এর আগের হুমকির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। রাজস্থানের জলোর থেকে আগত ভিখা রাম পরে মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডে (এটিএস) হস্তান্তরিত হন।
১৯৯৮ সালের মামলা এবং সমাজের প্রতিফলন
সালমান খান ১৯৯৮ সালের ব্ল্যাকবক শিকার মামলার কারণে চলমান হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই মামলায় দু’টি ব্ল্যাকবক হত্যার অভিযোগ রয়েছে, যা “হাম সাথ সাথ হ্যায়” চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের সময় ঘটে। বিশনোই সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই বিষয়টিকে পবিত্র মনে করেন, যা সালমানের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। গ্যাংস্টার লরেন্স বিশনোই বার বার সালমান এবং তাঁর পিতার কাছে একটি প্রকাশ্য ক্ষমা দাবি করেছেন, অন্যথায় ফল ভোগ করতে হতে পারে। ২০২২ সালে, বিশনোই পুনরায় জানান যে, তাঁর সম্প্রদায় সালমান খানকে ক্ষমা করবে না যদি না সে ক্ষমা চায়।
বলিউডের নিরাপত্তা: একটি সতর্কবার্তা
বলিউডে এই ধরনের ঘটনা সম্প্রদায়ের লোকজনের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান রাখে, এবং এটা সমাজে দুর্বলতার একটি চিত্র তুলে ধরে। জনসাধারণের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর ফলে যেমন চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, তেমন সালমানের মতো স্টারদের জন্য নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে হুমকি, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং সামাজিক প্রতিক্রিয়া একত্রিত হয়ে একটি বড় সংকটের জন্ম দিতে পারে।
সমাপ্তি এবং সামনের পথ
এখন প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কিভাবে করবে বলিউড? পরিচালক ও প্রযোজকগণ কি এবার নতুন করে নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব দেবেন, নাকি এভাবেই চলতে থাকবে ধারাবাহিক আতঙ্ক? জুনিয়র শিল্পীদের মধ্যে কি নিরাপত্তার প্রতি ভয়বাস্তু করবে? সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা তৈরি এবং আলোচনা প্রয়োজন, যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে রোধ করা যায়।