বলিউডের সর্বাধিক প্রত্যাশিত সিনেমা রামায়নায় যাত্রা শুরু করেছেন অভিনেতা রবি দুবে। পরিচালক নিতেশ তিওয়ারীর এই প্রকল্পে কাজ করা নিয়ে উচ্ছ্বসিত রবি জানিয়েছেন, রামায়না কাহিনী আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি মৌলিক অংশ এবং এর সঠিক পুনঃকথ্য বলার গুরুতর দায়িত্ব আছে। রানবীর কাপূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে রবি “বড় ভাই” হিসেবে অভিহিত করেছেন, যিনি পেশাদারীত্বের নিদর্শন। সিনেমাটি আজকের দর্শকদের কাছে অতীতের গৌরবময় কাহিনী নতুনভাবে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে নির্মিত, যা বর্তমান সমাজে প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ।
বলিউডের নতুন অধ্যায়: রামায়ণ অভিযোজন নিয়ে রবির উচ্ছ্বাস
অভিনেতা রবি দুবে সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি নিতেশ তিওয়ারির অপেক্ষাকৃত প্ন্যেতে রামায়ণের চলচ্চিত্র অভিযোজনে অংশ নেবেন। সেগুলি নিয়ে একটি একান্ত কথোপকথনে, রবি বলেন—“আমি এই ছবির অংশ হতে পেরে সম্মানিত। এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প।”
রামায়ণের সংস্কৃতিক গুরুত্ব
রবি রামায়ণ নিয়ে তার দায়িত্বশীলতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই গল্পটি আমাদের সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গল্পটি নানা ভাবে বলা হয়েছে, কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের অংশ হওয়া বিশেষ। আমরা সঠিকভাবে এটা উপস্থাপনের চেষ্টা করছি।”
রণবীর কাপুরের প্রশংসা
রবি, রণবীর কাপুরের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি রণবীরকে তার “বড় ভাই” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। “রণবীর দয়ালু, উষ্ণ, এবং সবচেয়ে পেশাদার একজন,” বলেন রবি। তিনি রণবীরের মহানুভবতা এবং বিনয় নিয়ে আলোচনা করেন, “তার শিষ্টাচার এবং প্রশংসা উদ্বুদ্ধ হয়।”
রণবীরের কাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা
রবি আরও বলেন, “রণবীরের কাজের প্রতি উদ্যম দেখানোর পদ্ধতি অনন্য। তিনি খুব কঠোর পরিশ্রম করছেন, কিন্তু কখনও সেটিকে নিজে প্রদর্শন করেন না।”
রামায়ণের প্রতীক্ষা: দর্শকদের অপেক্ষা
নিতেশ তিওয়ারি পরিচালিত রামায়ণ সিনেমাটি বলিউডের অন্যতম সবচেয়ে প্রত্যাশিত প্রকল্প। এই সিনেমার মাধ্যমে খাস করতালিকায় থাকা রণবীর কাপুর, গল্পটিকে সমসাময়িক দর্শকদের জন্য দর্শনীয় করে তোলার চেষ্টা করছে, অদূর প্রস্ফুটিত সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে।”
বিনোদনে পরিবর্তন: সামাজিক প্রভাব
আজকের বিশ্বে, সিনেমাগুলির সামাজিক প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। রামায়ণ এর মত একটি সাংস্কৃতিক গল্পকে নতুন রূপে উপস্থাপন করা আসলেই এক চ্যালেঞ্জ। এটি শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং দর্শকদের মধ্যে দায়িত্বশীলতার অনুভূতি তৈরির একটি মাধ্যম অবলম্বন করছে।
পুঙ্খানুপুঙ্খ কাহিনীর পরিবেশন
সিনেমা গুলির ব্যবহার শুরু থেকেই শিক্ষা ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। রবি দুবে এবং নিতেশ তিওয়ারিরা আশা করেন যে, এই কর্মটি লক্ষ লক্ষ দর্শকদের মনে নতুন চিন্তার উন্মোচন করবে।