মহাকালের নাট্যমঞ্চে ২৫ বছর পর মুম্বাইয়ে ফিরে আসা মামতা কুলকার্নি, ₹২,০০০ কোটি মাদক মামলায় নিজের নির্দোষতা দাবি করেছেন। ভিডিও সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, ভিকি গোস্বামীকে ২০১৫ সালে কেনিয়ায় দেখা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে কিছু জানতেন না। আদালত তাঁকে সমস্ত অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছে, যা বলছে সমাজে অভিনেতাদের প্রতি নিগ্রহ এবং ট্যাবলয়েড সংস্কৃতি কতটা প্রভাবশালী। বলিউডের এই পরিস্থিতি দর্শকদের কাছে প্রশ্ন তুলছে, আমাদের সিনেমা কি সত্যিই শিল্প, না শুধুই বিস্তৃত বিশৃঙ্খলা?
বলিউডের আলোচনায় মমতা কুলকার্নির প্রত্যাবর্তন: ২৫ বছরের পরিণতি এবং মাসকা দাগের ঘটনা
মমতা কুলকার্নি हाल ही में ₹২,০০০ কোটি মাদক মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। ২৫ বছর পর মুম্বাইয়ে ফিরে এসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, “আমি ভিকি গোস্বামীর অপরাধমূলক কার্যকলাপে যুক্ত নই।”
তিনি সিএনএন-নিউজ১৮ এর সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “২০১৫ সালে আমি ভিকির সঙ্গে কেনিয়ায় গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে তার যেসব বৈঠক হয়েছিল সেগুর বিষয়ে আমি অজ্ঞাত ছিলাম। পুলিশ আমার নাম মাদক মামলায় যুক্ত করেছে, কিন্তু আমার তার ব্যবসার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। আদালত আমাকে এই মামলায় ক্লিন চিট দিয়েছে।”
মাদক কেলেঙ্কারির পটভূমি
২০১৫ সালে মমতা কুলকার্নি সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন যখন তাকে একটি মাদক পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। থানে পুলিশের অভিযোগ ছিল যে, তিনি বেআইনি মেথামফেটামিন উৎপাদনের জন্য এফেড্রিন সরবরাহের কথা বলেছিলেন, যা ₹২,০০০ কোটি আন্তর্জাতিক মাদক র্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
মমতার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বললে, আদালত পরবর্তীকালে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ বাতিল করে দেয় এবং সব অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি বলছেন, “আমি একবারে নিশ্চিন্ত হতে পেরেছি, এটা আমার জন্য বিশেষ।”
পুনঃপ্রকাশ ও চলচ্চিত্র অভিযাত্রা
বলিউডের জনপ্রিয় কয়েকটি ছবির মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেন মমতা। তিনি “রাম লখন,” “ওয়াক্ত আমাদের হ্যাঁ,” “করণ অর্জুন” ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় করেছেন। “করণ অর্জুন,” যার সহশিল্পী ছিলেন শাহরুখ খান, সালমান খান এবং কাজল, আবারও ২২ নভেম্বর সিনেমাতে মুক্তি পেয়েছে।
বর্তমান প্রজন্মের কাহিনী ও সিনেমা প্রসঙ্গে বলতে গেলে, মমতা কুলকার্নির ফিরে আসা এই বলিউডের পরিবর্তিত চিত্রের স্থিতি নিয়ে চিন্তায় ফেলছে। “বাংলাদেশে ফেরার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।”
চলচ্চিত্রের সামাজিক প্রভাব
মমতার বক্তব্য চলচ্চিত্রের জগতের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিচ্ছে। বর্তমান সমাজের অঙ্গীভূত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে, কীভাবে একজন অভিনেত্রীর জীবন নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয় সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছে।
তাড়াতাড়ি মমতাকে আবারও সিনেমায় দেখতে পাওয়া যাবে কিনা, সেটা ইতিমধ্যে সবার আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে। তার প্রত্যাবর্তনের সঙ্গেই বলিউডের এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে, যা আমাদের কাছে নতুন কাহিনী ও পরিবর্তন নিয়ে আসবে।