Sarkari Result
Sarkari Result
কুলতলি ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দ্রুত ফাঁসির রায়, ন্যায়বিচারের সাক্ষাৎকারে পুলিশের সাফল্য ও সমাজের প্রতিক্রিয়া
কুলতলির ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসি, আইনশৃঙ্খলার এমন দ্রুত প্রতিকার যেন হঠাৎ উদ্ভাসিত পৃথিবীর চাঁদ। রাজ্যের পুলিশ ও আইনজীবীদের চেষ্টায় কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে—এই প্রশাসনিক তৎপরতা কি কেবল একটিমাত্র ঘটনার প্রতিক্রিয়া, নাকি সমাজের এই জঘন্য বাস্তবতার বিরুদ্ধে একটি চলমান সংগ্রামের নির্দেশিকা? শাস্তি পেলেও, হারিয়ে যাওয়া প্রাণের অশান্তি কি কখনো মোক্ষ পাবে?
বিএনপি নেতার স্ত্রীর শাড়ি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক, নতুন রাজনৈতিক সঙ্কটের সূচনা!
বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতা রাহুল কবির রিজ়ভি বিতর্কিতভাবে তাঁর স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি প্রকাশ্যে পুড়িয়ে দিলেন, একদিকে বয়কটের ডাক দিয়ে যেন বিদেশি পণ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, অপরদিকে নিজেদের গঠনমূলক রাজনৈতিক দুর্বলতা লুকানোর এক প্রচেষ্টা। এভাবে প্রশ্ন জাগে, সমাজের তথা রাজনীতির এই গাঢ় সংকট কি শুধুই শাড়ির আগুনে জ্বলবে, নাকি বাস্তবতার খড়কুটোও রক্ষা পাবে!
স্ক্র্যাপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে শ্রমিকের মৃত্যু, নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু
শুক্রবার সকালে একটি বাতিল ট্যাঙ্কার কাটার সময় বিস্ফোরণ ঘটে, যা কেবল শ্রমিকের দেহ নয়, আমাদের শাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতীকও উন্মোচন করে। ৫০ মিটার দূরে গাছের ডালে ঝুলন্ত একটি জীবনের স্মৃতি, আমাদের সমাজের অদৃশ্য সংকটের প্রতিফলন। কাজের নিরাপত্তা নিয়ে বচন শোনানো নেতাদের উচিত ছিল এই বাস্তবতার সাক্ষী হওয়া।
রাজ্যসভার শূন্য আসনে রাজনৈতিক নাটকের নতুন অধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী ও জহর সরকারের ইস্তফার প্রভাব
রাজ্যসভার আসন শূন্য, আর পলিটিক্সের মাইলফলকে দীনেশ ত্রিবেদী ও জহর সরকারের ইস্তফা যেন এক বিবর্ণ নাটকের প্রতিফলন। বোঝা যায়, নেতা তো দূরে, জনগণের যাতনা নিয়ে কারও সত্যি কোনো দায়িত্ব নেই। গদিতে থাকা ওয়্যারলেসের মতো, দেশের শাসন যেন টুইটারে সিমিত। আর যদি জনমানসের উন্নতি চাও, তবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেড়িয়ে এসে অন্তরের কথাগুলো শুনতে হবে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সুজয়কৃষ্ণের জামিন, সিবিআইয়ের হেফাজত বাতিল হলো নিম্ন আদালতে
সিবিআইয়ের অনুরোধে সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন নিম্ন আদালত খারিজ করে দিয়ে জানাল যে, সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের পক্ষে জেলে গিয়ে জেরা করতে হবে। এখন জামিন পেয়ে আপাতত সুজয়কৃষ্ণের মুখে শান্তির হাসি, কিন্তু কেমন অদ্ভুত এই খেলায়—রাজনীতির মঞ্চে সতত ঘূর্ণায়মান নাট্যকাহিনী, যেখানে দুর্নীতির কুশীলবেরা নিজেদের নিরাপদে রেখে সমাজের বিশাল জালের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়েই থেকে যায়।
শিশুর শ্বাসরোধ হত্যাকাণ্ডে লুটের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতার সন্ধ্যা কি সরকারের ব্যর্থতা?
বৃহস্পতিবার সকালে নবকুমার বিশ্বাসের সন্তানের নারকীয় হত্যাকাণ্ড আমাদের সমাজের অন্ধকার ঠিকানাকে উন্মোচন করে। গয়না ও টাকার জন্য লুটেরাজি যে কেবল স্বজন হত্যার গল্প নয়, তা আমাদের শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা ও মানুষের বিপন্নতার চিত্র তুলে ধরে। কি আশ্চর্য, এসব ঘটনার মাঝে আমাদের নিরাপত্তাহীনতা গীতিতেও রূপ নেয়, তবুও নেতাদের বিবৃতি যেন অলীক স্বপ্নের মত। সমাজ পরিবর্তনের আহ্বান ছাড়াই, এভাবে চলতে থাকলে হত্যার সংখ্যা হয়তো আর্থিক ঝুঁকি থেকে কিছু কমে যাবে!
সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা, বিপ্র দাসের গ্রেফতার; ধর্মীয় সহিংসতা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম।
গত বুধবার সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা, কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর নৃশংসতার এক নতুন দৃষ্টান্ত। বিদ্রূপের মতোই, ভিডিওটি সচেতনতা বাড়ানোর পরিবর্তে বিশ্বজুড়ে বিভাজনের রাজনীতির নগ্ন ছবি ফেলে। বিপ্র দাসের গ্রেফতার, তথ্যের স্বাধীনতা ও সরকারের কার্যকারিতার প্রশ্ন নাটকীয়ভাবে উত্থাপন করে, যেন মানবতা আজও ভাসছে অর্থহীন নীরবতায়।
নারকেল গাছের ভবিষ্যৎবাংলা: পরিবেশ নিয়ে নতুন বিতর্ক, ঠাণ্ডা ছড়ালেও কি গাছ বাঁচবে জোয়ার–ভাটায়?
কী অদ্ভুত, নারকেল গাছ পরিবেশকে ঠাণ্ডা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে, অথচ আমাদের নেতারা পরিবেশের স্বার্থ রক্ষায় কি করছে তা দেখা যায় না। বিদেশের জলসীমায় নারকেলের শক্তি দেখতে পাবেন, কিন্তু এখানকার সরকারী নীতির তলানিতে কি কেবল শুকনো পাতা? জনতার প্রতিরোধের তরঙ্গ এবং রাজনৈতিক চালে, প্রকৃতির প্রজ্ঞা কি আর তাদের শুনতে পাবে?
শিক্ষিকার দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন: বরাহনগরে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করছে স্বশাসনের প্রশ্ন
বরাহনগরের মাতৃমন্দির লেনের শিক্ষিকা জসবীর কউরের কাহিনী যেন ক্ষোভের একটি মেঘলা কনার। ২০০৩ সালে স্বামীর মৃতুকালে প্রাথমিক শিক্ষার মঞ্চে দাঁড়িয়ে, তিনি নতুন ব্যবস্থাপনা ও প্রিন্সিপালের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। সমাজের কল্যাণের জন্য এক অবিচল পথিক, কিন্তু রাজনৈতিক দুষ্টচক্রের নগ্ন সত্য উদ্ঘাটন করে সমাজের গলিতে গলিতে বিস্ফোরণের সুর বাজছে। শিক্ষার জগতের সুরের সাথে সমাজের অন্ধকারের প্রতি তাঁর দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা, রাজনীতির নাটকের নিপুণ শিল্পের মাঝে এক পুঞ্জীভূত প্রশ্ন রেখে যায়; কি আদৌ একদিন আমাদের শিক্ষার মঞ্চের পরিবেশ বদলাবে?
পুনর্মূল্যায়নের আবেদনে সময়সীমা নিয়ে আদালতে শিক্ষার্থীর মামলা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মুশকিল!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ম ও অসুস্থতার অজুহাতে, এক পরীক্ষার্থী যখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন, তখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সময়সীমার কঠোরতার দিকে হাস্যকরভাবে লক্ষ্য কেন্দ্রীভূত হতে হয়। এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রশাসনিক জটিলতা আর মানবিক হতাশার মাঝে শিক্ষা ব্যবস্থা কিভাবে আমাদের আশা ও আস্থা দুটোকেই প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। আদর্শ আর বাস্তবতার এই দ্বন্দ্বে, আমাদের সমাজ কি আরও সচেতন হতে পারবে, নাকি প্রশাসনের খোলসেই আটকে থাকবে?