Sarkari Result
Sarkari Result
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাদকসন্ত্রাসের ধাক্কায় শাসক জোটের শীর্ষ নেতাদের উপর চাপ, চিন্তায় জনতা।
এই বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিশাল মাদক এবং সোনা-রূপোর পাচার ধরার চিত্র যেন আমাদের সমাজের গভীর অন্ধকারকে প্রকাশ করে। ১১ হাজার ৮৬৬ কেজি মাদক এবং ১৩০০ কোটি টাকার সোনা-রূপো উদ্ধার হলেও, কি পরিমাণ দুর্নীতি এবং শাসনের উদাসীনতা আমাদের কর্তাদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে? পাচারকারীদের বিনাশে নেওয়া কঠোর পদক্ষেপ, সত্যিই কি সামাজিক অবক্ষয় বন্ধ করতে সক্ষম হবে? সরকারের গৌরবময় বাহস চলাকালে, সাধারণ মানুষের জীবনে নৈতিকতা এবং নিরাপত্তার আবির্ভাবের আশায় কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, তা ভাবনার উদ্রেক করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রভাব: পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের আশঙ্কা সরকারকে ভাবাচ্ছে
ফিরে দেখা যাক, নবান্নের বৈঠকে যখন রাজীব কুমার ও সদানন্দ দাতের মধ্যে আলোচনা হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রচর্চা যেন এক লহরী রক্তের স্রোতে চাহিদা পায়। বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা এখানে জঙ্গি কার্যকলাপের সম্ভাবনা উঁকি দেয়, কিন্তু আমাদের নেতারা কি সেই স্রোতে ভেসে যাবেন, নাকি কেবল মুখে সুর বেঁধে চলবেন? সাংবাদিকতার কলম এবং রাজনৈতিক নাটকের গতি নিয়ে এই সমাজের ঐতিহ্যও আজকে প্রশ্নবিদ্ধ।
মমতার বাণী, বাংলার মাটি ছাড়বে না; শাসন আর দায়িত্বের প্রশ্নে নতুন বিতর্ক দেখা দিল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য বাংলার প্রতি তার অটুট ভালোবাসার ছাপ ফেলে; তবে প্রশ্ন উঠছে, সেই ভালোবাসার সুরে কি সত্যি জনগণের কল্যাণ নিহিত? ক্ষমতার জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীর খেলা চলছে, আর জনগণ যেন এক দৃষ্টিহীন দর্শক। স্বদেশের মাটিতেই তার শেষ নিশ্বাস শেষ হবে, কিন্তু কবে ফিরবে সেই স্বার্থপরতা ছাড়া রাজনীতি?
হুমায়ূনের বিস্ফোরক অভিযোগ, দলের ভেতরে ফেরিঘাটের দখল নিয়ে নৈরাজ্য চলবে না
বাংলার রাজনীতিতে আবারও হুমায়ূনের তোপের মুখে পড়েছে দলের একাংশ। ফেরিঘাটের দখলদারি নিয়ে অর্থ গোজামি করার অভিযোগ তুলে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘আমি থাকতে তা হতে দেব না।’ এর মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক নৈতিকতা ও কর্পোরেট শোষণের এক শ্লীলতাহানির গল্প শুনিয়ে দিয়ে সমাজের নৈতিক পতনকে তুলে ধরেছেন, যেন আমাদের আরেকবার ভাবাতে চাচ্ছেন, এই প্রবাহিত নদীর তীরে দাঁড়িয়ে, কি ভীষণ বিস্ফোরক আমাদের চৎকৃতির নৌকায়!
মমতার দাবি, ২০২৬ সালে ফের ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল; রাজনীতি নিয়ে নতুন আলোচনা ও উত্তেজনা বৃদ্ধি।
বাংলার রাজনৈতিক চিত্র যেন এক নাটক, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী ২০২৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের পুনরুত্থান হবে। কিন্তু অতীতের আসন্ন নায়করা, যাঁরা একসময় বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছিলেন, তাঁদের ফিরে আসার খেলা কি এবারও চলবে? গণতন্ত্রের এ এক অদ্ভুত নাট্যাভিনয়, যেখানে ভোটের রঙ্গমঞ্চে সবাই যেন নিজেদের স্বার্থের পালা করছে, আর জনগণের বোধ-বুদ্ধি ক্রমশ তালুবন্দী হয়ে যাচ্ছে।
শুভেন্দুর নেতৃত্বে শৌর্য মিছিল: হিন্দুদের অধিকার ও বাংলাদেশে অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আগ্রহ সৃষ্টি করছে
রাজনীতির অঙ্গনে এখন মহাকাব্যের তুল্য নাটক চলছে; শুভেন্দু বাবুর শৌর্য মিছিল মানে যেন রামের আসঙে রাজনীতি, কিন্তু মূল সুর হলো বাংলাদেশে হিন্দুদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। הציבורের মুখে প্রশ্ন, কখন এই শৌর্য শুধু ঢকার চেয়েও গভীর হবে? চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির বিলাসিতায় কি ভেসে যাবে বাস্তবের স্রোত?
মমতার ঘোষণার আগে সিবিআই হাতে মামলার তদন্ত, রাজনৈতিক উত্তেজনার নতুন অধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে আদালতের কাছে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিলেন, তা রাজনৈতিক নাটকের সাক্ষী। একদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অপরদিকে জনগণের দৃষ্টিতে কতটা গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব! সত্যি, এ ধরণের ঘটনাবলিতে সমাজের প্রতিচ্ছবি মহৎ বা অমার্জিত, তবে রাজনৈতিক ক্ষমতার বিন্যাসে কখনো কখনো শাসকের পরিবেশিত প্রতিশ্রুতির সুর বদলায়, যা কাহিনীর মোড়ে একটি নতুন দিক নিয়ে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ: governance ও শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন পরিবর্তনের মহড়া!
রাজ্যে ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬ জন স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এখন জোর আলোচনা। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ৩৪ জনের নাম রাজভবনে পাঠানো হলেও, প্রথমে ৬ জনের সিলমোহর হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, সেটা ভাবতেও এখন রাজনীতির ‘অপেরার’ মতো মনোরঞ্জন আর বিশ্বাসের অভাব। সুতরাং, শিক্ষার ক্ষেত্রে শাসকদের এই অবস্থা দেখে সমাজেরও সদা সমীরন।
অধ্যাপকদের আন্দোলনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ১০০ জনের জোড়ে তীব্র প্রতিবাদ, সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ।
প্রকৃতির অমানবিক চাহিদার মাঝে ১০০ জন অধ্যাপক প্রশাসনিক ভবনের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। তাঁদের এই প্রতিবাদ যেমন সরকারের প্রতি আক্রোশের প্রতীক, তেমনি দেশের বিদ্যাচর্চার মানের দুরবস্থা ও গবেষণার সংকটের করুণ ছবি তুলে ধরছে। গোটা জাতির দৃষ্টিভঙ্গি কি শুধুই মুখরোচক কথায় সীমাবদ্ধ থাকবে, না কি গহনে প্রবাহিত চিন্তার তরঙ্গে বহমান হবে?
কুলতলি ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দ্রুত ফাঁসির রায়, ন্যায়বিচারের সাক্ষাৎকারে পুলিশের সাফল্য ও সমাজের প্রতিক্রিয়া
কুলতলির ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসি, আইনশৃঙ্খলার এমন দ্রুত প্রতিকার যেন হঠাৎ উদ্ভাসিত পৃথিবীর চাঁদ। রাজ্যের পুলিশ ও আইনজীবীদের চেষ্টায় কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে—এই প্রশাসনিক তৎপরতা কি কেবল একটিমাত্র ঘটনার প্রতিক্রিয়া, নাকি সমাজের এই জঘন্য বাস্তবতার বিরুদ্ধে একটি চলমান সংগ্রামের নির্দেশিকা? শাস্তি পেলেও, হারিয়ে যাওয়া প্রাণের অশান্তি কি কখনো মোক্ষ পাবে?