Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“মানববন্ধনের মোড়কে তৃণমূলের ড্যামেজ কন্ট্রোল: উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি, কিন্তু ঝামেলা কোথায় যাবে?”
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের মানববন্ধন কর্মসূচী একটি নাটকীয় প্রচেষ্টা, যেখানে উন্নয়নের সুর তুলে তারা আরজি কর কাণ্ডের অস্বস্তি ঢাকার চেষ্টা করছে। তবে, জনতার সক্রিয় অবস্থান আর নেতাদের নীরবতা থেকে স্পষ্ট, যে এই নাটকাচ্ছলে প্রশাসনিক কৌশলই বা কতটা কার্যকরী হবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। রাজনৈতিক ভূমিকার অসঙ্গতি আর জনগণের অসন্তোষের মাঝে, কোথাও যেন নীরব অশান্তির রেশ ছড়িয়ে পড়ছে।

নিরাপত্তারক্ষী থেকে নেতা: মোটা মাইনের লোভে রাজনৈতিক সম্ভাবনার অদ্ভুত নৃত্য!
নিরাপত্তারক্ষীর কাজ ভেবে মৌলিক দায়িত্বের সঙ্গেই যেন স্রষ্টার খেলা চলছে। উরগেনের দাবি মোতাবেক, মোটা মাইনের প্রলোভনে রাজনীতির মৃতপ্রায় প্রাণীরাও একে অপরকে টেনে নিচ্ছে। সরকারী পরিচালনায় অস্বচ্ছতা এবং অভদ্রতা যে রাজনীতির হৃদয়, তার চেহারা দেখলে বিস্মিত হতে হয়। সমাজের পরিবর্তন যেন এক উল্কাপাতের মতো, যা কেবল আলো দেয়, কিন্তু সত্যের আস্তরণ খোলার স্বপ্নে মানুষকে ভুলিয়ে রাখে।

“মহালয়ার মিছিলে রাজনীতির নাটক: হেদুয়ায় প্রতিবাদের ছন্দে উঠবে সমাজের চেতনা, কি উঠবে নেতাদের বিবেক?”
রাজনীতির আঁতেলামি নিয়ে নতুন মঞ্চের উন্মোচন, ২রা অক্টোবর হেদুয়া থেকে ঝাঁপিয়ে পড়বে প্রতিবাদী এক মিছিল। মহালয়ার দিন, আরজি কর কাণ্ডের রসালো প্রসঙ্গ তুলে, নাগরিক ভাবনার নান্দনিক প্রদর্শনী হবে। যেন Governance-এর হিসাব কষতে বসেছে জনতা, অপেক্ষা করে আছে নিজেদের শ্রম ও আদর্শের সঠিক মূল্যায়নের।

“পুরনো বাজারের নতুন রূপে ইংরেজি ও উর্দুর তৎরীকে বাংলার অবহেলা, শুভেন্দুর সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু!”
কলকাতা পুরসভার ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো বাজার নতুন করে সাজানো হলেও, শহরের সংস্কৃতির ভাষা বাংলার শুন্যতা সত্যিই দৃষ্টিকটু। ইংরেজি ও উর্দুর আধিপত্য, এবং শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা যেন রাজনীতির অদ্ভুত খেলার কথা শোনায়। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন না করেই কি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সার্থক?

“মমতার চিঠিতে মোদীকে স্মরণ, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অপেক্ষায় রাজনীতির নাটকীয়তা!”
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে তৈরী হলেও মুর্শিদাবাদের ভূমিধস প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কৌশলে মোদির দৃষ্টি ফেরাতে চিঠি লিখলেন, যেন সরকারের ফিরিস্তিতে রাজনৈতিক খরচর আশ্বাসের রসদ জোগাতে ভুলবেন না আমরা। এ ঘূর্ণায়মান সময়ের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে, জনতার কান্না কি কেবল সংখ্যা?

“বিরূপাক্ষের সাসপেনশন: রাজনীতি ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের সংঘাত যাত্রার নতুন অধ্যায়?”
বউবাজার থানায় তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কর্তৃক বিরূপাক্ষর সাসপেন্ড হওয়া, যেন আমাদের সমাজের প্রভাবশালীদের শাসন ব্যবস্থার খেলায় একটি নতুন অধ্যায়। থ্রেট কালচারের দ্বারস্থ হয়ে কীভাবে চিকিৎসকরা রাজনীতির রক্তক্ষরণে পরিণত হচ্ছেন, তা বিস্ময়কর। এর ফলে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা সংকটে পড়লে, চিকিৎসকদের অধিকার হারানোর সঙ্গে সমাজের গভীরে এক দার্শনিক প্রশ্ন খাড়া হয়—আসলে কাদের হাতে আমাদের সুস্থতার দায়িত্ব?

“রেলের অরাজকতা: ইঞ্জিনের বিচ্ছিন্নতা কি রাজনীতির গতি বদলাবে, নাকি সরল সমাজে গল্পের নতুন অধ্যায়?”
ধুলিয়ানের দিক থেকে ফরাক্কার দিকে চলন্ত মালগাড়ির কামরাগুলি হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে রাজনীতির অঙ্গনে এক নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। চালক যত দ্রুত থামালেন, আমাদের নেতৃবৃন্দও ততটাই বেপরোয়া। অবস্থা যে কোনো ষড়যন্ত্রের চেয়ে কম বাজে নয়, তা যে ক’জন জানেন, তবে ঘটনা তো প্রশাসনের সামর্থ্য এবং জনগণের নিরাপত্তার চরিত্রকে ফের জাগিয়ে তুলেছে।

“সৌরভের ইস্পাত স্বপ্নের গতি মন্দ, তথাগতর কটাক্ষে উন্মোচিত রাজনৈতিক বাস্তবতা!”
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্পাত শিল্পের পরিকল্পনা ধীরে ধীরে সাদৃশ্য পেয়েছে একটি অনিশ্চয়তার গল্পে, যেখানে সময়ের চাকা থমকে গেছে। তথাগত রায় কটাক্ষ করে বলেছেন, 'কবে হবে?'—এটা যেন শাসনের দুর্বলতার এক করুণ প্রতীক। জনগণের প্রত্যাশার পালে থাকা আশা ও বাস্তবতার নিষ্ঠুর বৈপরীত্যে সমাজের নীরব বিপ্লব অপেক্ষমাণ।

“সবজির জ্বালায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সরকারী উদাসীনতার প্রভাব ফেলে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার!”
সবজির দাম আকাশ ছুঁয়েছে, পকেটের চাপ বাড়ছে প্রতিদিন; যেন সরকারে বসে কেউ হাসছে আমাদের দুঃখের ওপর। পেঁয়াজ এখন ৮০ টাকা, যখন অন্য কোথাও লুকিয়ে আছে ৯০। সুফল বাংলার ভরসায় আমরা, তবে প্রশ্ন শুনি, কোন সৎ নেতার ভোটে? রাজনৈতিক খেলা যখন খণ্ডন, তখন আমাদের মুখে জল ছাড়া আর কোনো উপায় কি?

“কংগ্রেসে শুভঙ্কর সরকারের নেতৃত্ব, অধীর রঞ্জনের অবসর: রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্বে কী শিখে নেবে জনতা?”
শনিবার পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসাবে শুভঙ্কর সরকারের নিয়োগে রাজনৈতিক বাতাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে; অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পদত্যাগের পর, যেন এক নতুন সূরে সুরেলা গীত উড্ডয়ন করছে। কিন্তু এই পরিবর্তনে কি আদৌ জনগণের আশা পূরণ হবে, নাকি পুরনো সংহারটিই আগের মতো চলবে? গণতন্ত্রের এ এক বিচিত্র নাট্যমঞ্চ, যেখানে চরিত্র বদল হলেও গাঁথুনি একই রকম।