Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“পঞ্চায়েতের পরিকল্পনা: জল বার করার নামে বাঁধ কেটে সংকট বাড়াল, জনতার পাশে না থাকায় প্রশ্ন উঠছে নেতৃত্বের!”
চণ্ডীপুরের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত "জল বার" করার নামে বাঁধ কেটে জলসাথ্য্যের খেলায় মেতে উঠলেও অদ্ভুত শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ ঘটিয়েছে; তাদের উদ্যোগে নতুন জল ঢুকে আরও এলাকা প্লাবিত। কালের চিরপরিবর্তন, রাজনীতির নাটক, আর জনগণের দুর্ভোগ — সত্যিই কি এ এক নতুন অভিজ্ঞান, নাকি পুরনো সংস্করণের পুনরাবৃত্তি?

ঝাড়গ্রামে বজ্রপাতে নিহত ৪: রাজনীতির ছিন্নভিন্ন প্রকৃতি ও সমাজের জন্য প্রশ্নবোধক মুহূর্ত!
গতকাল ঝাড়গ্রামের মাটিতে বজ্রপাতে দম্পতি-সহ ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা সাম্প্রতিক নানা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন এক আলোচনা বাড়িয়ে দিয়েছে। যখন সরকার কৃষকদের সুরক্ষায় নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়, তখন প্রকৃতির এই কঠোর পরিহাস আমাদের শেখায়, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির পুরোটাই কি শুধু কথা? অথচ আমরা আজো জনতার অশ্রুতে ভিজে যাচ্ছি, বৃষ্টির জল থেকে বাঁচার জন্য।

পুজোর মরশুমে দার্জিলিঙে পর্যটকরা হোটেলবন্দি: AC আর ফ্যানের কাছে স্থানীয়দের ভিড়, রাজনীতির নতুন নাটক কি?
পুজোর মরশুমে দার্জিলিঙে পর্যটকদের হোটেলবন্দি অবস্থার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের এসি ও ফ্যানের দোকানে ভিড় যেন এক অদ্ভুত নাটক। সভ্যতার ঊর্ধ্বে রাজনৈতিক নেতাদের অক্ষমতা আর জনসাধারণের আক্রোশকেই যেন ফুটিয়ে তোলে। উল্লেখযোগ্য, আমাদের সমাজের নেতৃবৃন্দ মানুষের জীবনযাত্রার মৌলিক চাহিদাও বুঝতে পারছেন না, যা রাজনৈতিক পর landscape-এর অন্ধকারাচ্ছন্নতার ইঙ্গিত দেয়।

“দুর্গাপুজো: ইউনেস্কোর তকমা, রাজ্যের আর্থিক কল্যাণে শাসক মহলের ‘দুর্গা ভাণ্ডার’ নাটক!”
উনিশের দুর্গাপুজোর জৌলুসে একদিকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমার গৌরব, অন্যদিকে সরকারের ‘দুর্গা ভাণ্ডার’ প্রকল্পটিতে অনুদানের নেপথ্য রাজনীতি উঠে এসেছে। কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলাটি রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্ব; আনন্দের উৎসবের মাঝে অর্থের ছৌকা যেন মেলাতে না পারে গণমানুষের প্রীতি আর প্রশাসনের দুর্বলতা।

“চাকরি খোঁজার সময়ে পুলিশের ধাক্কা: আপনি নিশ্চয় জানেন, কামরুলের ব্যারিকেডের গল্প!”
চাকরি চাইতে এসে পুলিশের ঘাড়ধাক্কার ঘটনা আমাদের প্রমাণ করে, গণতন্ত্রের গান গাওয়া মাঝে মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। কিছুদিন আগে এই পুলিশের মাধ্যমেই ডাক্তারদের আন্দোলনকে স্থান দেওয়া হয়েছিল, অথচ আজ সেই একই পুলিশ আদর্শের নামে মানুষকে দমিয়ে রাখতে দ্বিধা করছে না। রাজনীতির এই বিচিত্র খেলা কি আমাদের আসল চিত্র তুলে ধরছে, নাকি এক নতুন নাটকের জন্য পাত্র-পাত্রী সন্ধান করছে?

“রাতে হাতির দলে এসেছে নতুন অনাবৃষ্টি, মা হাতির সন্তানের জন্মের মাধ্যমে সমাজের গভীর সংকটের পেছনের গল্প”
রাতে হাতির দল মুজনাই চা-বাগানে ঢুকে একটি নতুন জীবন আনল, আর সেই জীবন এক নতুন প্রথার কোমল পথে চলা শেখার স্তম্ভ। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে যেন এটাই আমাদের গতিপথ – দ্বিতীয়বার জন্মানো সন্তানও কি কখনো বিপদের মধ্যে দাঁড়িয়ে শিখতে পারবে? নেতারা উদাসীন, প্রজন্মের মা যেন সমাজের চাপ সহ্য করে সন্তানের ভবিষ্যত নির্মাণে। হাতির জীবন যেমন বাস্তবতা, আমাদের রাজনীতির চিত্রও তেমন হতাশার।

“নাগরিকের জমি ফেলে রাখার মানে, রাজনীতির অন্ধকারে ভুলে যাওয়া মানবতার স্বরূপ!”
একদিকে সরকার অনুমোদনের জন্য জমির নকশা জমা দেয়, অন্যদিকে নাগরিকেরা জমি ফেলে রাখে, যেন প্রকৃতির হাস্যরসের সামনে মানুষের অবহেলা ফুটে ওঠে। জমির জবরদখল ও সমস্যা কেন্দ্র করে যে নাটক চলছে, তা কি আমাদের নীতির ত্রুটি, নাকি আত্মবিচ্ছিন্নতার চিত্র? সত্যি, গতিশীলতার আকাঙ্ক্ষা আর বাস্তবতার গতি যেন বিস্তর ফারাক।

“দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতি: সরকারের ‘দুর্গা ভাণ্ডার’ প্রকল্পে নীতির খাঁচায় বন্দি সংস্কৃতির স্বাধীনতা!”
দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা দেওয়ায় রাজ্যের সংস্কৃতি ও অর্থনীতি উভয়েই নতুন আলোয় উদ্ভাসিত। কিন্তু বরাবরের মতো, সরকারি অনুদান ও প্রকল্পের স্রোতেও রাজনৈতিক অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য লুকায়িত। পুজোর আনন্দের মাঝে রাজ্য সরকারের প্রতি প্রশ্ন উঠছে, কোথায় গেলো আমাদের আসল ঐতিহ্য? সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে নেতাদের ‘দুর্গা ভাণ্ডার’ প্রকল্প যেন এক শিল্পকলা, যা কেবল জনগণের চোখে ধুলো ঝোঁকায়।

বাঁকুড়ার নর্দমা থেকে উদ্ধার হওয়া জোড়া ভ্রূণের চিত্র: সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় নিয়ে উল্টো প্রশ্ন!
সাতসকালে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকায় ধরা পড়া সেই জোড় ভ্রূণের ঘটনা আমাদের সমাজের মুখোশ উন্মোচন করে। কি আফসোস, যে এই নৃশংসতার পেছনে রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তা, মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিমোহিত দৃষ্টিভঙ্গি! কবে আমরা মানবতার শাশ্বত সুর তালাশে ফিরব, যদি না নর্দমার কীটপতঙ্গের প্রতিচ্ছবিতে আমাদের রাজনৈতিক মহল অঙ্কুরিত হয়?

হাসপাতাল–সংক্রান্ত ধর্ষণ–খুন: সন্দীপ ঘোষকে ঘিরে প্রশ্নবিভ্রান্তি ও রাজনৈতিক নাটক শুরু!
রাজনীতির সরণিতে আবার একটি কালো অধ্যায়, যেখানে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম ওঠে ধর্ষণ ও খুনের সাথে। সিবিআই তদন্তে জানা যায়, আততায়ীরা ঘটনার প্রাক্কালে মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করছিল, অথচ এমন অন্ধকারবার্তা সমাজের নিরাপত্তাকে কতটা প্রশ্নবিদ্ধ করে! জনগণের মনে সন্দেহ এবং অশান্তি, নেতৃত্বের ভ্রষ্টতা। সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার পতন এক সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে, যেন রবীন্দ্রনাথের কবিতায় শিল্পীর প্রতিটি রাজনৈতিক চিত্রণ।