Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“শাসনের অচলাবস্থা: রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাঝে বর্ষার সতর্কতা, নেতৃত্বের অবহেলা কি জনগণের কপালে নতুন দুর্ভোগ?”
সোমবার দুপুরের মধ্যে নেতার ফিরে আসার অনিশ্চয়তা, আর তার ওপর আবহাওয়ার রোষ—দার্জিলিংয়ের আবহাওয়া দফতর লাল সতর্কতা জারি করেছে। কোথায় গেলেন তিনি? সরকার বনাম প্রকৃতি, কে বানাবে দেশের ভবিষ্যৎ? এই নাটকীয়তায় জনতার মনে প্রশ্ন, কে সঠিক পথের দিশারী, আর আমাদের আশার আলো, না কি বারিধারার স্রোতে ভাসছে সকলেই?

“বিধান নগরে যুবকের হত্যা: সরকারের নজরদারি কি আসলে কেবল গলির হাটে? সমাজের আজন্ম প্রশ্ন!”
শুক্রবার রাতে বিধান নগরে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া যেন আজকের রাজনীতির সারসংক্ষেপ—পুলিশের সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রশ্নে জনগণের বিশ্বাস কতটা ক্ষয়িষ্ণু! নেতাদের যশের মেলা, অথচ সমাজের ওপর ঝরা বৃষ্টির মতো ছড়িয়ে পড়ছে অশান্তির চিৎকার। মানবজীবনের মূল্যায়নে এমনকি আজকের দিনের বাণীরাও কিঞ্চিত বিষণ্ণ, যেখানে প্রতিদিনের সংবাদও যেন সাংস্কৃতিক নাট্যমঞ্চের এক অতি পরিচিত পটপরিকল্পনা।

বিদ্যুতের অমানবিক ছিন্নবিচ্ছিন্নতায় নিরন্ন মানুষদের মৃত্যু, সরকারের গা অধরানো নীরবতা!
অসহ্য দারিদ্র্যের মধ্যে একদল মানুষ জীবন-যুদ্ধে হেরে গিয়ে বিদ্যুতের ছাত্রী থেকে জীবনদায়ী জায়গায় পৌঁছানোর মরিয়া চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তখনই প্রতিবেশীদের স্বরে শোনা গেল আর্তনাদ। রাষ্ট্রের সে নিখুঁত নজরদারির মাঝে, চারটি প্রাণের করুণ পরিণতি যেন রাজনৈতিক নীতির কালো এক আড্ডার প্রতিফলন। নেতৃত্বের দায়বদ্ধতার প্রশ্ন এখন আরো ভেসে উঠছে, যখন জনগণের নিরাপত্তা আর জলবিধ্বংসী প্রতিশ্রুতি দুইই আছড়ে পড়ছে।

“জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি: একজন চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে শাসনের বিঘ্নিত মানসিকতা!”
কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার পর। এ হাস্যকর কর্তৃত্বের প্রতিটি স্তম্ভ যেন একের পর এক ভেঙে পড়ছে, যখন স্বাস্থ্য সেবায় যুক্তরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাজনৈতিক দলগুলো কার্যত নিঃশব্দ, যেন বিপন্ন জনগণের চিত্কার তাদের কানে পৌঁছায় না। সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় এবং নির্লিপ্ত নেতৃত্ব আরো একবার প্রমাণ করছে, কেমন ভাবে মানবতা পদদলিত হচ্ছে।

“কেউ কি দুর্গাপুজোর জনস্রোতে পৌঁছেন? কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নে রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন!”
কলকাতা, যেখানে দুর্গাপুজোর ভিড় চিরকালই বৃহৎ, সেখানে পাঁচজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করে এক নতুন রাজনৈতিক নাটক বর্ষিত হল; কৌতূহলে জাগছে সমাজ। আদালতে প্রশ্ন উঠেছে, এমন ঘটনায় দায়িত্ব কার? রাজ্যের নৈতিকতা ও শাসনের সংস্থানে সম্পর্কিত গভীর বিতর্ক শুরু হয়েছে, আর জনতাও এখন অন্য আয়নায় নিজেদের দেখছে। সত্যি কি, সংকটে পড়া নেতৃত্বেরা জনগণের হৃৎপিণ্ডের হালজন বুঝতে পারছেন?

সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ: অভিষেকের অফিস থেকে ছড়ানো চিঠি, দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায় কি শুরু হচ্ছে?
ফিরহাদের ওএসডির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস থেকে চিঠি বেরিয়ে আসা—রাজনীতির এই নাটকীয় মোড়ে কি অভিনয় চলছে? দ্বন্দ্বের আঁচে জনমনে অসন্তোষের আগুন জ্বলছে, আর নেতাদের ক্ষমতা পরীক্ষায় পারফর্মেন্স কি কেবল দর্শকের মনে হাসির খোরাক? সমাজের এই পাঁকে আমরা কোথায়?

কালিম্পংয়ে বৃষ্টির তাণ্ডবে ভেঙে পড়ল সংসার, নেতাদের চোখে লুকিয়ে কাশ্মীর! সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে কার দায়?
কালিম্পংয়ে ধস ও বিদ্যুতের সমস্যায় যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, তখন শাসকদলের জনসেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভারী বৃষ্টির কারণে বাড়ি ভেঙে পড়া, জলমগ্ন শিলিগুড়ি—এসব ঘটনা যেন সরকারের ‘অকল্পনা’ প্রতিফলিত করে। জনগণের দুর্ভোগকে জাতীয় রাজনীতির অনন্ত 'নাটক' হিসেবে দেখা, কি আশ্চর্য! জনগণ তো ঠিকই জানে, বিপর্যয়ের মাঝে কোন ‘নায়ক’ তাদের সাহায্য করতে আসবে কিনা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন: ক্ষমতার ছায়ায় কি ন্যায়ের আলো ঢেকে যায়?
কলকাতা হাইকোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন নিয়ে তার আইনজীবীর যুক্তি শোনা গেল, যেখানে বলা হলো, "অবশেষে, পার্থ আর কতটা প্রভাবশালী?" তাই কি ক্ষমতার স্রোত থেকে পালাতে পারবে? যখন প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতেই অপেক্ষা, তখন তার জামিনের লড়াইটা সত্যিই রাজনীতি ও সমাজের মুকাবিলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জয়-পরাজয়ের খেলা, যেন সবার চোখের সামনে এক নতুন নাট্যাভিনয়ের চিত্র।

ছন্দার ‘রফা’ আর শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি: কলকাতার রাজনীতিতে নতুন নাটকের কেতন উড়ছে!
কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের যুবকদের সঙ্গে রফা করার একটি ভিডিও রাজনীতি ও সমাজের অস্থিরতার পক্ষে নতুন আলো ফেলে। যদিও ভিডিওর সত্যতা অস্বীকার করা হয়নি, তার হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীকে 'জুতিয়ে সোজা করার' চ্যালেঞ্জ আবারো গণতন্ত্রের রঙ্গমঞ্চে প্রতিরূপ। ক্ষমতার আবহে, নেতৃত্বের এই নাটকীয়তা কি আসলেই জনসেবার পরিবর্তে নাট্যশিল্পের প্রতি আমাদের আকৃষ্ট করছে?

“কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের পরিদর্শনের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক নাটকের সূচনা, জনমনে কৌতূহল ও বিতর্কের বীজ রোপণ!”
কলকাতা পুরসভার এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের সম্প্রতি জারি করা নোটিশ জনজীবনে নতুন বিতর্কের ঝড় তোলে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল, নেতারা 'পরিদর্শনে' আসবেন বলে ঘোষণা, যেন প্রকৃতিগতভাবে ঢেকে রাখতে পারবে তাদের অদৃশ্য কর্মকাণ্ডের কুসংস্কার। সমাজের প্রতি এ এক মহৎ উপহাস, যেখানে দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে theatrics-ই মূল সারথি।