Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগে রাজ্য রাজনীতিতে সৃষ্ঠি, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে জনমনে তোলপাড়।
আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে। চিকিৎসকের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে নাটকীয় পালাবদল এবং রাজনৈতিক হানাহানি যেন প্রদর্শনীর মঞ্চে পরিণত হয়েছে। সমাজের সাদা-কালো গণ্ডী পেরিয়ে রাজনীতির অন্ধকার কোণে যে যা ঘটছে, সেই বিবেকবোধের ত্রুটি যেন ঔপন্যাসিক জীবনের এক নতুন অধ্যায় রচনার প্রচেষ্টা।

কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের ওপর হামলা: পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও সরকারের সদিচ্ছার অভাবের প্রশ্ন উঠছে!
কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আরো একবার প্রশ্নবিদ্ধ হল। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতা এক অদ্ভুত নাটকের কাহিনি, যেখানে মানবতার ডাক শোনার বদলে প্রশাসন কেবল দর্শক। বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গদি দখলের খেলায় নাগরিক নিরাপত্তা যেন এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি। সমাজের জরুরি সমস্যা নিয়ে গলদঘর্ম কর্তাব্যক্তিরা কি একবারও ভাববেন?

“দুর্গাপুজোর আগে ডাক্তারদের আন্দোলন, মহালয়ার দিন হবে মহামিছিল—রাজনৈতিক নাটকের নতুন অধ্যায়!”
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে দীপ্তি এবং সংকল্পের এমন এক মিছিলে, যেখানে দুর্গাপুজোর আগে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, রাজনীতির থমথমে আবহে নতুন মাত্রা যোগ করে। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি সামনে রেখে, মশাল মিছিল যেন সময়ের অস্তিত্বের দর্শন। মহালয়ার দিন মহামিছিলের ডাক, এ কি শুধুই চিকিৎসার দাবি, না সচেতন সমাজের কাছে রাজনৈতিক নেতাদের সাময়িক দৃষ্টি আকর্ষণের অঙ্গীকার? সরকার এবং নেতাদের প্রতি জনগণের ক্রুদ্ধ কণ্ঠস্বরের সঙ্গে বৈষম্যের উচ্চারণ, এই নাটকের পরিধিকে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে।

নন্দীগ্রামের মহম্মদপুরে বিজেপির পূর্ণ আসনজয়: শাসনের নাট্যশালায় আদর্শের খেলা!
নন্দীগ্রামের মহম্মদপুরে বিজেপির সদগতি দেখে মনে হয়, গণতন্ত্রের লড়াইতে দইয়ের কাছে কাপড়ের মূল্যবান। ৯টি আসনে বিজেপির বিজয়, তৃণমূলের গলার স্বর গায়েব, যেন এক নাটকীয় পর্ব। রাজনৈতিক পাখিরা যে সুরে গান গায়, তা কি বাঙালির হৃদয়ে অনুরণিত হয়? জনগণের সচেতনতায় নতুন আলো, অথবা পুরোনো অন্ধকার?

মমতার চাদর ও ঠান্ডা লাগছে না?—রাজনীতি ও সংযোগের কাহিনী, মানবতার ছোঁয়া নাকি ক্ষমতার খেলা?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অসহায় মানুষের চাদর প্রাপ্তিতে যেন সমাজের দুঃখের প্রতি একজন নেতার চেকপোস্ট। ঠান্ডা লাগছে না? প্রশ্নটি যেন প্রকৃত প্রস্তাবনার চেয়ে নাটকীয়তা বেশি। প্রশাসনিক বৈঠকে পারস্পরিক উষ্ণতার অভাব স্তব্ধ করে, রাজনৈতিক নাটকের পর্দায় মানবতা ভুলে যাওয়ার অভিশাপ চাপিয়ে। জনতা এখন এমন সংস্কৃতির সন্ধানে, যেখানে নেতা নিজের স্বার্থের চেয়ে মানুষের গভীর বেদনা বুঝবে।

ডাক্তারদের উপর হামলা: পুলিশ কমিশনারের হাসপাতাল সফরে প্রশ্নবিদ্ধ হলো শাসনের নৈতিকতা!
আহারের এই যুগে, যখন চিকিৎসা আতঙ্কে কাঁপছে, পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার হাসপাতাল অভিযানে সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় যুক্ত হয়েছে এক নতুন দানব। রোগীর পরিজনদের হাতে জুনিয়র ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সমাজের গভীরে, মানবিকতার প্রতি আমাদের অবহেলারই এক চিত্র। আরজি করের হুমকি কেবল চিকিৎসকদের নয়, বরং আমাদের সভ্যতার উপরও একটি প্রবল প্রশ্ন তুলে দেয়: কোথায় গেল স্বাস্থ্যসেবার প্রতি শ্রদ্ধা? মুখে শান্তির বুলি, অথচ অজস্র বেদনাকে গোপন করার ডাক—এ সংখ্যায় এর চেয়ে বড় রাজনৈতিক নাটক আর কী হতে পারে!

“নিরাপত্তা থাকতেই হাসপাতলে হামলা! নেতৃত্বের ব্যর্থতা কি নৈতিকতার সংকটের ইঙ্গিত?”
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতি সত্ত্বেও হামলার ঘটনা ঘটার পর, নির্ভরযোগ্যতা ও অদক্ষতার চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান নিরাপত্তা সংস্থাকে দুষছেন, অথচ প্রশ্ন উঠেছে—যেখানে সরকার আরেকটু মনোযোগ দিত, সেখানেই ভিড় জমায় নির্মম রাজনীতি। মিডিয়ার চাপে সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে, নিরাপত্তা শুধু বাহিনীর নয়, বরং সমাজের বিশ্বাসেরও।

“কামারহাটির হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর হামলা: স্বাস্থ্য খাতের নৈরাজ্য আর সমাজের ক্ষোভের তীব্র প্রকাশ”
কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতাল যেন একটি নাটকের মঞ্চ, যেখানে রোগীর মৃত্যু হলো মৃত্যুর চিত্রায়ন। চিকিৎসকদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ—এ যেন আমাদের সমাজের বিরূপ প্রতিফলন। ক্ষমতার আসনে যারা, তাদের রক্তের স্বাদ পেয়ে আমাদের বোধ কি কেবল ক্ষোভ? আন্দোলনের এই অঙ্গীকারে, মানবিকতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে কতটা অবক্ষয়?

“নেতার ফোন নম্বর খোঁজার ব্যর্থতায় রাজনৈতিক সংকটের পুনরাবির্ভাব: টাকার বিনিময়ে নষ্ট হচ্ছে জনশক্তির আশা!”
নতুন রাজনৈতিক নাটকের জালে বুণা, যেখানে নেতা গণ মানুষের সংখ্যা গুনতে ব্যস্ত, অনুব্রতর সম্প্রতি মন্তব্য যেন এক গভীর সৃষ্টিশীল তীব্র বিদ্রূপ। গেস্টহাউজের কমরেডেরা পরিচিতির তালিকায় কেবল ফোন নাম্বার নয়, কিন্তু জনতার অসন্তোষও সেভ করতে ভুলে যাচ্ছেন। এভাবে কি চলবে, প্রশ্ন উঠছে সমাজে; যে জনতা এখন সতর্ক, তাদের হতাশা কি নেতৃত্বের সুমধুর গীতিমালীতে হারিয়ে যাবে?

“নেপালের বিপর্যয়ে সরকারের দায়িত্বহীনতা: বৃষ্টি তো কাল, রাজনীতির গদ্যমুখী পদক্ষেপ!”
অধ্যাত্মতার গহনে, নেপালের বৃষ্টি যেন রাজনৈতিক মহলের করুণ গীত। বিপর্যয়ের মাঝে ১১২টি প্রাণ ঝরেছে, আর কাঠমান্দুর ধ্বংসস্তূপ যেন নেতাদের কর্তৃত্বের মুখোশ খুলে দিয়েছে। বন্যার পানিতে হয়ত তারা কী করেছেন, তা সবাই দেখে ফেলছে। অথচ, মাদকের আড়ালে রাজনীতির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, মানবিক অনুভূতিরও তো এক ভরা নদী।